Views Bangladesh Logo
author image

চিররঞ্জন সরকার

  • কলামিস্ট

  • থেকে

কলামিস্ট

নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস
নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস

নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস

নারী দিবস এবার নারীদের জন্য এক গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কের বার্তা নিয়ে এসেছে। ইতিহাসের পরিক্রমায় এদেশে নারীসমাজ কখনোই সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল না, তবে বর্তমান পরিস্থিতি অতীতের সব সীমা অতিক্রম করেছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নতুন মাত্রা লাভ করেছে, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে নারীরা এখন আগের চেয়েও বেশি অনিরাপদ বোধ করছেন।

সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!
সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!

সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!

হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা ছিল প্রবল। অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনৈতিক প্রতিশোধ অনিবার্য। ইতিহাসও সে কথাই বলে। অতীতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় দেশে সহিংসতা, সম্পদ ধ্বংস ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার নজির কম নেই; কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘটে, যার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পালিয়ে যেতে হয়, আর যারা পারেনি, তাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়, এমনকি পুলিশ বাহিনীকেও তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে সেনাবাহিনীর ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় বর্তায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠন শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। দল গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি ছাত্র আন্দোলন মনে হলেও, বাস্তবে এর রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিলে সংঘাত বাড়বে
ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিলে সংঘাত বাড়বে

ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিলে সংঘাত বাড়বে

কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবে; কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতানৈক্য বাড়ছে। এমনকি রাষ্ট্র সংস্কারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এরই মধ্যে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত বেশ কয়েকটি কমিশন তাদের প্রস্তাব পেশ করলেও রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বরং কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি তুলেছে। এ নিয়ে সরকারের মধ্যেও এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বেশ জোরের সঙ্গেই বলা হয়েছিল যে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই দেশে নির্বাচন হবে; কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারকেও নির্বাচনের ব্যাপারে নমনীয় মনে হচ্ছে

শীতের হাত ধরে রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ
শীতের হাত ধরে রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ

শীতের হাত ধরে রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ

প্রকৃতিতে শীত একটু একটু করে জেঁকে বসছে। এ মাসে বেশ কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তদের জন্য শীত উপভোগ্য হলেও গরিব শ্রমজীবী মানুষের জন্য তা মোটেও আরামের নয়। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে শীত তাদের জবুথবু বানিয়ে দেয়। অসুস্থ ও প্রবীণদের জন্যও শীত একটা আতঙ্ক। তারা একটু উষ্ণতা চায়, চায় গরম পোশাক। কিন্তু তাদের সেই নিশ্চয়তা দেয়ার কেউ নেই।

তেল নিয়ে তেলেসমাতিতে সরকার নাজেহাল কেন?
তেল নিয়ে তেলেসমাতিতে সরকার নাজেহাল কেন?

তেল নিয়ে তেলেসমাতিতে সরকার নাজেহাল কেন?

ভোজ্যতেল নিয়ে সংকট কিছুতেই কাটছে না। বাজারে হঠাৎ করে বোতলের সয়াবিন তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই দাম বাড়ানোর ফলে এখন বোতলের এক লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৫৭ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা হয়েছে। তবে এ দামে কোথাও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ দোকানে বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর খোলা সয়াবিন তেল নিয়ে এক প্রকারের নৈরাজ্য চলছে। ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম ইচ্ছামতো রাখছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন।