Views Bangladesh Logo
author image

চিররঞ্জন সরকার

  • কলামিস্ট

  • থেকে

কলামিস্ট

চীন-ভারত ঘনিষ্ঠতা, ট্রাম্পের উদ্বেগ ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
চীন-ভারত ঘনিষ্ঠতা, ট্রাম্পের উদ্বেগ ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক সমীকরণ

চীন-ভারত ঘনিষ্ঠতা, ট্রাম্পের উদ্বেগ ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক সমীকরণ

২০২৫ সালে এসে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এমন এক মোড় নিয়েছে যেখানে ‘কৌশলগত অবিশ্বাস’ নতুন ধরনের ‘অস্থায়ী মিত্রতা’ তৈরি করছে। চীন ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা, মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ব্যবহৃত হওয়া, আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব- এই সমীকরণগুলো দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। চীন ও ভারতের মধ্যে ২০২০ সালের গ্যালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিল তিক্ত; কিন্তু বিগত এক বছরে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ বৈঠক, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO), এবং দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত আলোচনা চীন-ভারত সম্পর্ককে নতুন এক ‘পরিকল্পিত সহাবস্থান’-এ পরিণত করছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বাস্তবতা বনাম শোরগোল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বাস্তবতা বনাম শোরগোল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বাস্তবতা বনাম শোরগোল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে বারবার আশ্বাস ও চুক্তির পরও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। কিছু সময় পরপর আন্তর্জাতিক মহল কিছু আলোচনার ধোঁয়া তুলে আবার নীরব হয়ে যায়। এতে প্রশ্ন জাগে- এই প্রচারণা কি সত্যিই সমস্যা সমাধানে উৎসাহী, নাকি শুধু কূটনৈতিকভাবে চাপমুক্ত হওয়ার একটি মাধ্যম?

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস ও সত্যের অমোঘ বাস্তবতা
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস ও সত্যের অমোঘ বাস্তবতা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস ও সত্যের অমোঘ বাস্তবতা

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গভীর রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের এক সেনা মেজর ওয়্যারলেসে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে: ‘বিগ বার্ড ইন কেজ, স্মল বার্ডস হ্যাভ ফ্লোন।’ এই সংক্ষিপ্ত বার্তাটির অর্থ ছিল স্পষ্ট— বড় পাখিটিকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) খাঁচায় বন্দি করা হয়েছে, আর ছোট পাখিগুলো (অন্যান্য নেতা ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা) উড়ে গেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিন্ত হয়েছিল, ভেবেছিল যে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সমাপ্তি টানবে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, শুধু একজন নেতাকে বন্দি করলেই আন্দোলন থেমে যায় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিশ্বের অন্যান্য ঐতিহাসিক আন্দোলন প্রমাণ করে যে, নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে জনগণের সংগ্রাম আরও প্রবল হয়ে ওঠে।

স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রশ্ন
স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রশ্ন

স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রশ্ন

স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় এবং এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। এই দিনটি শুধু একটি জাতীয় দিবসই নয়, বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক; কিন্তু সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, বিশেষ করে কুচকাওয়াজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস
নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস

নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকা ও নারী দিবস

নারী দিবস এবার নারীদের জন্য এক গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কের বার্তা নিয়ে এসেছে। ইতিহাসের পরিক্রমায় এদেশে নারীসমাজ কখনোই সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল না, তবে বর্তমান পরিস্থিতি অতীতের সব সীমা অতিক্রম করেছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নতুন মাত্রা লাভ করেছে, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে নারীরা এখন আগের চেয়েও বেশি অনিরাপদ বোধ করছেন।

সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!
সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!

সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!

হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা ছিল প্রবল। অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনৈতিক প্রতিশোধ অনিবার্য। ইতিহাসও সে কথাই বলে। অতীতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় দেশে সহিংসতা, সম্পদ ধ্বংস ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার নজির কম নেই; কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘটে, যার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পালিয়ে যেতে হয়, আর যারা পারেনি, তাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়, এমনকি পুলিশ বাহিনীকেও তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে সেনাবাহিনীর ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় বর্তায়।