এই তরুণরা কেন বড় হতে পারেন না?
এই তরুণরা কেন বড় হতে পারেন না?
এই তরুণরা কেন বড় হতে পারেন না?
সব্যসাচী ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তার ক্যারিয়ার নিয়ে আক্ষেপ না থাকলেও আমাদের কিন্তু আক্ষেপ থেকে যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ধাপে ধাপে সরে দাঁড়ালেও তাকে নিয়ে তেমন কোনো মনোকষ্ট নেই। ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অনেক আগেই তার সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন। যদিও মাঝে মাঝেই বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখিয়েছেন, কিন্তু সেটার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়েছে। তারপরও যে কোনো কারণেই হোক, নিজের গ্ল্যামার ভাঙিয়ে ক্যারিয়ারটাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দীর্ঘ করার পথ বেছে নিয়েছেন।
সব কিছুর মধ্যে একটি রহস্য রেখে দিয়ে মজা নিতে পছন্দ করেন সাকিব আল হাসান, যিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের 'পোস্টার বয়' হিসেবে পরিচিত। প্রতীকী অর্থে ধরা যাক, তিনি যদি 'বুমেরাং' নিক্ষেপ করেন, ঠিকই তা ঘুরে ঘুরে সবাইকে বিস্মিত করে আবার তার কাছে সাবলীলভাবে ফিরে আসবে। অনেকটা এ ধরনের চমক বা দক্ষতা দেখাতে তিনি পছন্দ করেন এবং তাতে ব্যাপক বিনোদন পেয়ে থাকেন।
ব্রিটিশরা যেখানে ঔপনিবেশ গড়েছিল, সেখানেই মোটামুটি রোপিত হয়েছে ক্রিকেট খেলার বীজ। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করার পর, কোনো কোনো দেশ সেই বীজের পরিচর্যা করে বৃক্ষে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন তো বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করছে তারাই। অথচ ব্রিটিশদের প্রথম ঔপনিবেশ আমেরিকায় ক্রিকেটের প্রচলন ঘটলেও সেই ধারাটা অব্যাহত থাকেনি। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় খেলাটি সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। সেই জনপ্রিয়তা একটা পর্যায়ে তলানিতে নেমে আসে।
কিছু কিছু সূচক আছে, যা অনুসরণ করলে মোটামুটিভাবে বুঝতে পারা যায় কতটা পরিবর্তন হয়েছে সমাজ-সংসারে। তার মধ্যে অন্যতম নারীর জীবন ও জীবিকা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমূল বদল এসেছে নারীর জীবনযাপনে। চারপাশে তাকালেই সহজেই অনুধাবন করা যায় পরিবর্তনের হাওয়া। অতীতের সঙ্গে এর মিল পাওয়া যাবে না। অবশ্য সব সূচক একই রকম ঈঙ্গিত বহন করে না। কিছু দিন আগে তো বটেই এমনকি পাকিস্তানের রক্ষণশীল আমলেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েদের পোশাক-আশাকে যে ফ্যাশন সচেতনতা ও স্মার্টনেস ফুটে উঠেছে, হাল আমলে তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে মনে হওয়ার সংগত কারণ আছে যে, সময় বুঝি পেছনে ফিরে গেছে।
এ দেশে যে কোনো বিষয় নিয়ে মাতামাতি বা হুল্লোড় না হওয়াটা অস্বাভাবিক। মোটামুটিভাবে নিজের বিষয় ছাড়া আর সব প্রসঙ্গ নিয়ে মতামত দেওয়া বা পাণ্ডিত্য জাহির করার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের তুলনা মেলা ভার। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসার পর নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতাই নেই। ইচ্ছে হলেই যা খুশি প্রকাশ করা যায়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো জানাশোনা কিংবা চিন্তাভাবনার প্রয়োজন পড়ে না। খুব মামুলি বা সাধারণ ঘটনা নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে দারুণভাবে ঝড় তোলা হয়। আর ধর্ম, রাজনীতি, নারী আর হাল আমলে ক্রিকেট তো হট আইটেম। এর মধ্যে যে কোনো একটি বিষয় বাগে পেলে আগুনে রীতিমতো ঘৃতাহুতি পড়ে। কোনো যুক্তি বা বিবেচনা বোধ কাজ করে না। অধিকাংশের মনোভাব এমন, বিচার মানি, কিন্তু তালগাছ আমার। যে কারণে যুক্তির চেয়ে কুযুক্তি তুলে ধরতে বিবেকে একটুও বাধে না।