Views Bangladesh Logo
author image

ইকরামউজ্জমান

  • কলামিস্ট ও ক্রীড়া বিশ্লেষক

  • থেকে

কলামিস্ট ও ক্রীড়া বিশ্লেষক। সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এআইপিএস এশিয়া। আজীবন সদস্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।
খেলাধুলায় তরুণরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম; কিন্তু তাদের সুযোগ নেই
খেলাধুলায় তরুণরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম; কিন্তু তাদের সুযোগ নেই

খেলাধুলায় তরুণরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম; কিন্তু তাদের সুযোগ নেই

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যারা ‘ট্রেন্ড’ নিয়ে কাজ করেন তাদের পর্যবেক্ষণে নিয়মিতভাবে উঠে আসে বয়সভিত্তিক দলীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন খেলায় দক্ষিণ এশিয়া, এমন কি আরও কিছুটা দূরে এশিয়ান লেবেলের কম্পিটিশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সমানতালে আবেগ, সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। অন্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও দেশের যুবসমাজ অন্য দেশের যুবসমাজ থেকে পিছিয়ে নেই এটাই তার স্বাক্ষর বহন করে। এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সামর্থ্য ও সৃষ্টিশীলতার তো বিকল্প নেই।

সংস্কার থেকে বেশি যৌক্তিক চলমান খেলার চর্চা
সংস্কার থেকে বেশি যৌক্তিক চলমান খেলার চর্চা

সংস্কার থেকে বেশি যৌক্তিক চলমান খেলার চর্চা

ক্রীড়াঙ্গনে পরিবর্তনের স্বপক্ষে মানুষ এখন সোচ্চার- কারণ হলো কমবেশি সচেতনতা বেড়েছে। মানুষ বুঝতে পারছে ক্রীড়াঙ্গন যেভাবে চলা উচিত ছিল গত পাঁচ যুগেও সেভাবে চলেনি। আর তাই জাতির প্রত্যাশিত ক্রীড়াঙ্গন স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে আকাঙ্ক্ষা ও অঙ্গীকার নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই ক্রীড়াঙ্গনে এখনো আস্থা ও বিশ্বাসের সংকটে ভুগছে। বারবার বিভিন্নভাবে হোঁচট খাচ্ছে। এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং অস্থিতিশীলতা থেকে ক্রীড়াঙ্গন মুক্তি পায়নি। মুখের সুন্দর সুন্দর কথা, আশ্বাস আর তথাকথিত লোক দেখানো উদ্যোগ ক্রীড়াঙ্গনকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন বাস্তবধর্মী সমষ্টিগত উদ্যোগ। মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্তরিকতা, তাদের মধ্যে সমন্বয় এবং ঐক্যবদ্ধ ইচ্ছাশক্তি।

অলিম্পিকে নারী নেতৃত্বের সূর্যোদয়
অলিম্পিকে নারী নেতৃত্বের সূর্যোদয়

অলিম্পিকে নারী নেতৃত্বের সূর্যোদয়

অলিম্পিক জনক এ উদ্দেশ্যে ‘রোড ম্যাপ’ও দিয়েছেন। ২৩ জুন কংগ্রেসে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবারতিন তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় বলেছেন ‘অন্য অপরাহ্নে বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে বিশ্বে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে কয়েক যুগের পর গ্রিক অলিম্পিক আন্দোলন পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। ‘আপনাদের সবার প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক এই ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্বের শান্তির আন্দোলন শক্তি লাভ করুক।’ কুবারতিন আরেক বার্তায় বলেছেন, ‘প্রাচীন যুগের অলিম্পিকের ধ্বংস্তূপের অন্তরালে এক মহান সমাধিস্থ হয়েছিল; কিন্তু আদর্শ অবিনশ্বর। তাই জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদের প্রচেষ্টায় অলিম্পিয়ার ধ্বংসস্তূপে আজ আশার আলোকবর্তিকা দেখা দিয়েছে।’

সামাজিক উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
সামাজিক উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে

সামাজিক উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে

বাঙালির জীবনে বিনোদনের সংস্কৃতি ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে আর এটি স্পষ্টভাবে লক্ষণীয় হতে শুরু করেছে। এক সময়ে ঈদ, পুজা, বাংলা নববর্ষ, বড় দিন, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো সামাজিক উৎসবে দেশজুড়ে গ্রামবাংলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন খেলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রা, নাটক, সার্কাস, কবিগান, বয়াতিদের মধ্যে গানের মাধ্যমে লড়াই ও গম্ভীরার আয়োজন হতো। শহর থেকে উৎসবের জন্য যোগসূত্র এবং নাড়ির টানে আবালবৃদ্ধবণিতা প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভ ও বিভিন্ন স্পর্শকাতরতায় গ্রামে ছুটে যেতেন। এরা এবং গ্রামে বসবাসরত মানুষ মিলে একসঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেন। সেসব দিন, উৎসব-উদ্দীপনার ক্ষেত্রে এখন ভাটার টান।

লক্ষ্য নির্ধারণ ও ইতিবাচক মানসিকতা
লক্ষ্য নির্ধারণ ও ইতিবাচক মানসিকতা

লক্ষ্য নির্ধারণ ও ইতিবাচক মানসিকতা

খেলা, খেলোয়াড় ও সংগঠক নিয়ে ভাবাবেগ উসকে দেয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এটি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ক্ষতিকর। বিভাজন আর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব ও বিতর্ক সৃষ্টি ক্রীড়াঙ্গনে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে দুর্বল করে। বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ ক্রীড়াঙ্গন শুধু সৌন্দর্য নয় এটাই প্রত্যাশিত। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পদক্ষেপকে না বুঝে, চিন্তা-ভাবনা না করে ঝাঁপিয়ে পড়াটার মধ্যেই নেতিবাচক মানসিকতা প্রশ্রয় পায়। যেসব ঘটনা ঘটলে লক্ষ্যের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে সে সব ঘটনার সম্ভাবনায় আকাঙ্ক্ষিত হয়ে থাকার নামই উদ্বেগ।

ভারত জিতেছে, পাকিস্তানও স্বস্তি পেয়েছে
ভারত জিতেছে, পাকিস্তানও স্বস্তি পেয়েছে

ভারত জিতেছে, পাকিস্তানও স্বস্তি পেয়েছে

দুবাইয়ে ভারত হোম গ্রাউন্ড বানিয়ে যেভাবেই হোক অপরাজিত থেকে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় করে গায়ে সাদা ‘ব্লেজার’ পরার স্বপ্ন বাস্তবে বাস্তবায়িত করেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত টানা দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতল। এই জয় নিশ্চয়ই শেষবারের মতো (২০১৭) ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় এবং ২০২৩ সালে নিজ দেশে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের ভারকে হালকা করেছে। এবার নিয়ে ভারতের এটি সপ্তম আইসিসি ট্রফি জয়। এর মধ্যে আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ দুটি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তিনটি এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুটি। ভারতের ক্রিকেট সামনে তাকাচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা শুধু দেশে নয় বিদেশেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জিতছে।