Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

জাহাঙ্গীর আলম

  • বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩ থেকে
কৃচ্ছ্রসাধনের বাজেট ২০২৪-২৫
কৃচ্ছ্রসাধনের বাজেট ২০২৪-২৫

অর্থনীতি

রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

কৃচ্ছ্রসাধনের বাজেট ২০২৪-২৫

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংসদে নয়া বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের এটি ২৫তম ও বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ২১তম বাজেট এটি। এ সরকারের আমলে বাজেটের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ১৫ বছর পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৬২১ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত নয়া বাজেট ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এ বাজেটের আকার হচ্ছে জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূলবাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বাজেটের পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত নয়া বাজেট ওই বাজেট থেকে ১০১৪ গুণ বেশি।

বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন
বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন

অর্থনীতি

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন

দেশের বিভিন্ন খাতে অধুনা যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান খাতটি হলো কৃষি। অতীতে বাংলাদেশ ছিল একটি খাদ্য ঘাটতির দেশ। এ অঞ্চলে প্রতি বছর গড়ে খাদ্য আমদানি করা হতো ১৫ থেকে ২০ লাখ টন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদেশে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয় কৃষির উৎপাদন। ফলে ১৯৭১-৭২ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখ টন। এটি ছিল মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ। বর্তমানে সে ঘাটতির হার নেমে এসেছে ১৫ শতাংশেরও নিচে।

মাংসের উৎপাদন বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট খরচ হ্রাস করা জরুরি
মাংসের উৎপাদন বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট খরচ হ্রাস করা জরুরি

নিবন্ধ

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

মাংসের উৎপাদন বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট খরচ হ্রাস করা জরুরি

সামনে ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ)। এর প্রধান আনুষ্ঠানিকতা পশু জবাই। বাংলাদেশে সারা বছর যতগুলো পশু জবাই হয়, তার প্রায় অর্ধেক হয় কোরবানির ঈদে। গত বছর কোরবানির ঈদে জবাই করা হয়েছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু। এর মধ্যে ছিল ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ছাগল ও ভেড়া এবং বাকি ৮৭৭টি অন্যান্য পশু (উট, হরিণ ইত্যাদি)। এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পশু। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ধরে নিয়ে এবার পশুর চাহিদা হতে পারে ১ কোটি ১০ লাখ। তাতে উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ২০ লাখ পশু। করোনা মহামারি ও আর্থিক স্থবিরতার কারণে গত ৩ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল কম। ফলে অবিক্রিত থেকে গেছে অনেক পশু। এবার কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে চাহিদা। তবে সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে পশুর মূল্য বেশি হতে পারে। সে কারণে পশু বিক্রি কম হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে খামারিরা। এমন পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পশু আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রাখা উচিত।

দেশে চালের সংকট নেই, তবুও কেন বাড়ছে চালের দাম!
দেশে চালের সংকট নেই, তবুও কেন বাড়ছে চালের দাম!

নিবন্ধ

সোমবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

দেশে চালের সংকট নেই, তবুও কেন বাড়ছে চালের দাম!

বেশ কিছুদিন ধরে চালের বাজার অস্থির। জাতীয় নির্বাচনের আগে দাম কিছুটা কমেছিল। নির্বাচনের পর আবার বাড়ছে চালের দাম। বর্তমানে মোটা জাতের স্বর্ণা ও চায়না প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। মাঝারি ব্রিধান ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট নামে পরিচিত সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সরু নাজিরশাইল বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাটারিভোগ ও অন্যান্য সুগন্ধি চালের দাম আরও বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুমে এ মূল্য অস্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা অন্যায্য মুনাফা অর্জন করছে ভোক্তাদের কাছ থেকে। তাতে কষ্ট পাচ্ছে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। এবার চালের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ৪৩ টাকা। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ বাজারজাতকরণে করচ ও মুনাফা যোগ করা হলে ভোক্তা পর্যায়ে মোটা চালের দাম হয় প্রতি কেজি ৫০ টাকা। মানভেদে চালের মূল্য সর্বোচ্চ হতে পারে ৭০ টাকা; কিন্তু বর্তমানে আমন চালের পূর্ণ মৌসুমে বাজারে যে দামে চাল বেচা-কেনা হচ্ছে, তা অযৌক্তিক।

কৃষি খাতে নীরব বিপ্লব
কৃষি খাতে নীরব বিপ্লব

অন্যান্য

শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

কৃষি খাতে নীরব বিপ্লব

কৃষির ইংরেজি প্রতিশব্দ এগ্রিকালচার। শব্দটি ল্যাটিন এজারো এবং কালচারা শব্দদ্বয় দিয়ে গঠিত। এর আভিধানিক অর্থ মাটি কর্ষণ। বাংলা শব্দ কৃষি। শব্দার্থ অনুসারে শস্যের চাষ ও বৃক্ষরোপণ সরাসরিভাবে কৃষিকর্মের অন্তর্ভুক্ত। এর সঙ্গে পশুপাখি পালন ও মৎস্য চাষও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতএব, কৃষি খাত বলতে আমরা শস্য, মৎস্য, বন ও পশুপাখি উপখাতগুলোকে সমন্বিতভাবে বুঝে থাকি। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১২ শতাংশ। মোট রপ্তানিতে কৃষিজাত পণ্যের শরিকানা প্রায় ৩ শতাংশ। এর সঙ্গে হিমায়িত মৎস্য ও পাটজাত দ্রব্য যোগ করা হলে মোট রপ্তানিতে কৃষির হিস্যা প্রায় ৭ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। এখনো দেশের শতকরা ৪০ ভাগ শ্রমিক কৃষিখাতে নিয়োজিত। শিল্প ও সেবা খাতের অগ্রগতিও বহুলাংশে নির্ভরশীল কৃষি খাতের অগ্রগতির ওপর। ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কৃষি খাতের উন্নয়ন একান্তভাবে প্রয়োজন।

পেঁয়াজের বাজার বারবার কেন অস্থির হয়?
পেঁয়াজের বাজার বারবার কেন অস্থির হয়?

নিবন্ধ

সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজের বাজার বারবার কেন অস্থির হয়?

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দফায় দফায় এর দাম বেড়েছে। এখন আবার কমতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। দেশটির অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য এমন ঘোষণা দেয় ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের দপ্তর। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তবে গত এপ্রিল মাস থেকে এর দাম বাড়তে থাকে। জুনের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় পৌঁছে। এরপর গত ৫ জুন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার।