Views Bangladesh Logo
author image

ড. জাহাঙ্গীর আলম

  • পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ

  • থেকে

ড. জাহাঙ্গীর আলম: পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ।
রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা
রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা

রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা

এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি সীমিত। কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল। বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। শাক-সবজির দাম অনেকটা কম। চিনি, ডাল, ছোলা, বেসনের দাম স্থিতিশীল। ক্ষেত্রবিশেষে কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে চালের দাম বেড়েছে। তেলের দামেও ঊর্ধ্বগতি। খেজুরের দাম অনেক উঁচুতে স্থির রয়েছে। ফলের দাম বেশি। লেবু, শসা ও বেগুনের দাম আকাশচুম্বি। বিভিন্ন পণ্যের বাজার দরে অনেকটা স্বস্তি এবং অস্বস্তির দোলাচলে ঘোরপাক খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার

দেশে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের অভাব। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে নিয়মিত যে পরিসংখ্যান দেয়া হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বাস্তবতার সঙ্গে তার মিল থাকে কম। আমাদের জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির হার, মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন, ভোগ ও বণ্টনের ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তাতে সাধারণ মানুষের পুরোপুরি আস্থা থাকে না। এই আস্থাহীনতা দূর করা দরকার। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে উপস্থাপন করা দরকার সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান। নতুবা যথাযথভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা যে গবেষণা করি তার জন্যও দরকার হয় সঠিক পরিসংখ্যান। নতুবা তার ফলাফল ইস্পিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয় না। অনেক সময় গবেষকগণ তাদের বিশ্লেষণের মূল ভিত্তি নির্মাণ করেন নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত থেকে। তবে তার পরিধি থাকে খুবই সীমিত। নির্দিষ্ট এলাকা ও নির্ধারিত নমুনার ভিত্তিতে প্রণীত হয় ওই সব পরিসংখ্যান। বৃহত্তর পরিসরে ও জাতীয়ভাবে তা অনেক সময় প্রযোজ্য হয় না। জাতীয়ভাবে প্রণীত পরিসংখ্যান মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ বা সংস্থা থেকে প্রকাশ করা হয়। তার ওপর প্রচ্ছন্নভাবে আধিপত্তমূলক প্রভাব থাকে ক্ষমতাশীন সরকারের। তারই ইঙ্গিতে কখনো পরিসংখ্যান হয় অতিরঞ্জিত, স্ফীত। আবার কখনো হয় কম মূল্যায়িত। নিকট অতীতে এ ধরনের আলোচনা-সমালোচনা বরাবরই আমরা শুনে এসেছি।

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক
সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

গত পঞ্জিকা বর্ষে দীর্ঘতম খরা, পরবর্তী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে শাকসবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল মূল্য। পরে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আশানুরূপ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এখন সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে শীতের সবজির বিপুল সমারোহ। হরেক রকম সবজির বৈচিত্র্যময় পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সরবরাহ বাড়ছে প্রতিদিন। ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে সবজির দাম। এখন সব ধরনের সবজির দামই ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে।

চালের মূল্য বৃদ্ধি : গুড়ের লাভ পিঁপড়া খাচ্ছে
চালের মূল্য বৃদ্ধি : গুড়ের লাভ পিঁপড়া খাচ্ছে

চালের মূল্য বৃদ্ধি : গুড়ের লাভ পিঁপড়া খাচ্ছে

কিছুদিন ধরে চালের বাজার অস্থির। আগে দাম কিছুটা কমেছিল। নির্বাচনের পর আবার বাড়ছে চালের দাম। বর্তমানে মোটা জাতের স্বর্ণা ও চায়না প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি ব্রিধান ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা। মিনিকেট নামে পরিচিত সরু ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সরু নাজিরশাইল বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। কাটারিভোগ ও অন্যান্য সুগন্ধি চালের দাম আরও বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুমে এ মূল্য অস্বাভাবিক। সাধারণভাবে অনুধাবন করা যায় যে, ব্যবসায়ীরা অন্যায্য মুনাফা অর্জন করছে ভোক্তাদের কাছ থেকে। তাতে কষ্ট পাচ্ছে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ।

খাদ্য নিরাপত্তায় অশনিসংকেত
খাদ্য নিরাপত্তায় অশনিসংকেত

খাদ্য নিরাপত্তায় অশনিসংকেত

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনে মন্থরগতি, আমদানি হ্রাস ও সরবরাহ চেইনে বিপত্তি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। সাধারণত ২০ থেকে ২২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা অবহিত ছিলাম। এখন তা বেড়ে ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।