Views Bangladesh Logo
author image

ড. জাহাঙ্গীর আলম

  • পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ

  • থেকে

ড. জাহাঙ্গীর আলম: পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ।
বোরোর উৎপাদন মৌসুম, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ও খাদ্য নিরাপত্তা
বোরোর উৎপাদন মৌসুম, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ও খাদ্য নিরাপত্তা

বোরোর উৎপাদন মৌসুম, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ও খাদ্য নিরাপত্তা

ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। এ দেশে ধান উৎপাদিত হয় তিনটি মৌসুমে। এগুলো হলো আউশ, আমন ও বোরো। উৎপাদনের পরিমাণ বিচারে বোরো শীর্ষে। তারপর রয়েছে যথাক্রমে আমন ও আউশ। একসময় আমন ও আউশ ছিল ধানের প্রধান মৌসুম। বোরোর মৌসুম ছিল কম গুরুত্বপূর্ণ। হাওড়, বিল ও অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলে এর আবাদ ছিল সীমিত; কিন্তু আধুনিক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ফলে বোরো ধানের আবাদ ক্রমাগতভাবে বেড়ে যায়। হ্রাস পায় ঝুঁকিপূর্ণ আউশ ও আমনের আবাদ।

আলুর দামে ধস: কৃষক রক্ষার উপায় কী?
আলুর দামে ধস: কৃষক রক্ষার উপায় কী?

আলুর দামে ধস: কৃষক রক্ষার উপায় কী?

বাজারে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। প্রতি কেজি আলু মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। খামার পর্যায়ে কৃষক আলুর দাম পাচ্ছেন প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা। অথচ আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। কৃষি বিপণন বিভাগের হিসাব অনুসারে এবার আলুর উৎপাদন খরচ হলো প্রতি কেজি ১৪ টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত কৃষকদের খরচের পরিমাণ কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা। সেক্ষেত্রে সামান্য মুনাফা যোগ করে খামার প্রান্তে আলুর সর্বনিম্ন দাম হওয়া উচিত প্রতি কেজি ২২ টাকা; কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে তার অর্ধেক দামে। ফলে মারাত্মক এক আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন দেশের আলু চাষিরা। তারা এর প্রতিবাদ করছেন। সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রাস্তায় আলু ফেলে এ বঞ্চনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন দেশবাসীর।

কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে
কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে

কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে

উৎপাদনে আধুনিক উপকরণ ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়নে এদের আগ্রহ থাকে কম। প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তি ও কৃষি যন্ত্র সংগ্রহে এদের প্রবেশাধিকার কম। ফলে তাদের প্রতি ইউনিট জমির উৎপানে প্রবৃদ্ধির হার কম। অপরদিকে বড় ও মাঝারি কৃষকগণ ক্রমাগতভাবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষাবাদে। তারা ক্ষয়িষ্ণু কৃষক। চাষাবাদে তাদের বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তাদের উৎপাদন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।

রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা
রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা

রমজানের বাজার: স্বস্তি-অস্বস্তির দোলাচলে ক্রেতারা

এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি সীমিত। কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল। বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। শাক-সবজির দাম অনেকটা কম। চিনি, ডাল, ছোলা, বেসনের দাম স্থিতিশীল। ক্ষেত্রবিশেষে কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে চালের দাম বেড়েছে। তেলের দামেও ঊর্ধ্বগতি। খেজুরের দাম অনেক উঁচুতে স্থির রয়েছে। ফলের দাম বেশি। লেবু, শসা ও বেগুনের দাম আকাশচুম্বি। বিভিন্ন পণ্যের বাজার দরে অনেকটা স্বস্তি এবং অস্বস্তির দোলাচলে ঘোরপাক খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার

দেশে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের অভাব। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে নিয়মিত যে পরিসংখ্যান দেয়া হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বাস্তবতার সঙ্গে তার মিল থাকে কম। আমাদের জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির হার, মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন, ভোগ ও বণ্টনের ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তাতে সাধারণ মানুষের পুরোপুরি আস্থা থাকে না। এই আস্থাহীনতা দূর করা দরকার। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে উপস্থাপন করা দরকার সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান। নতুবা যথাযথভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা যে গবেষণা করি তার জন্যও দরকার হয় সঠিক পরিসংখ্যান। নতুবা তার ফলাফল ইস্পিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয় না। অনেক সময় গবেষকগণ তাদের বিশ্লেষণের মূল ভিত্তি নির্মাণ করেন নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত থেকে। তবে তার পরিধি থাকে খুবই সীমিত। নির্দিষ্ট এলাকা ও নির্ধারিত নমুনার ভিত্তিতে প্রণীত হয় ওই সব পরিসংখ্যান। বৃহত্তর পরিসরে ও জাতীয়ভাবে তা অনেক সময় প্রযোজ্য হয় না। জাতীয়ভাবে প্রণীত পরিসংখ্যান মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ বা সংস্থা থেকে প্রকাশ করা হয়। তার ওপর প্রচ্ছন্নভাবে আধিপত্তমূলক প্রভাব থাকে ক্ষমতাশীন সরকারের। তারই ইঙ্গিতে কখনো পরিসংখ্যান হয় অতিরঞ্জিত, স্ফীত। আবার কখনো হয় কম মূল্যায়িত। নিকট অতীতে এ ধরনের আলোচনা-সমালোচনা বরাবরই আমরা শুনে এসেছি।

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক
সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

গত পঞ্জিকা বর্ষে দীর্ঘতম খরা, পরবর্তী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে শাকসবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল মূল্য। পরে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আশানুরূপ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এখন সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে শীতের সবজির বিপুল সমারোহ। হরেক রকম সবজির বৈচিত্র্যময় পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সরবরাহ বাড়ছে প্রতিদিন। ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে সবজির দাম। এখন সব ধরনের সবজির দামই ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে।