Views Bangladesh Logo
author image

কামরুল আহসান

  • কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

  • থেকে

কামরুল আহসান: কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন
পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন

পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই পোল্যান্ডকে হুমকি দিয়ে আসছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সাল থেকেই পোল্যান্ড রাশিয়ার সম্ভাব্য ভয়ে তটস্থ। তখন থেকেই অনেকে বলে আসছে, রাশিয়ার পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। অনেকে আবার এও বলছেন, পূর্ব-ইউরোপ নিয়ে পশ্চিম ইউরোপের তেমন মাথাব্যথা নেই; কিন্তু এ কথাও সত্য যে, পশ্চিম ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল দ্বন্দ্ব মূলত পূর্ব-ইউরোপ নিয়েই। তার অনেক কারণও আছে, আজকের পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা অনেকে স্বাধীন হয়েছে; কিন্তু রাশিয়া তাদের অনেককে পিছু ছাড়ছে না, যার কারণে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ করা।

শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা
শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা

শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা

‘তুমি যদি কাউকে ঘৃণাও করো তবু তুমি তাকে খুন করতে পারো না। কারণ, সমগ্র বিশ্বব্র‏হ্মাণ্ড তন্নতন্ন করে খুঁজলেও তুমি তার মতো আরেকটা মানুষ খুঁজে বের করতে পারবে না।’- কার্ল সাগান।

ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?
ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?

ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?

আজ সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫; রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর পূর্ণ হলো। যদিও এ যুদ্ধকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধই বলা হয়; কারণ, যুদ্ধ পুরোটাই হচ্ছে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। ভ্লাদিমির পুতিন আশা করেছিলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবে। তখনই অনেকে বলাবলি করছিলেন এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে রূপ নিবে। সত্যিই তাই হলো, সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর এই প্রথম রাশিয়া এমন দীর্ঘমেয়াদি এক যুদ্ধে জড়াল। ইউক্রেন দাবি করছে, এই যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ৪ লাখ সৈন্য হারিয়েছে। সঠিক সংখ্যাটা অবশ্য জানা যাচ্ছে না। তাও বিবিসি ও আল জাজিরা নানা সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া কমপক্ষে দেড় লাখ সৈন্য হারিয়েছে। ইউক্রেনের সৈন্য নিহত হয়েছে অর্ধ লাখের মতো। সৈন্য কম নিহত হলেও ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ দেশছাড়া হয়েছে, ৫০ লাখ আভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর ইউক্রেনের ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে রাশিয়া। দুদেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত ক্ষতির কথা বাদ দিলেও বলা যায় এই যুদ্ধে বিশ্ববাসীও ভুক্তভোগী হয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে এশীয় ও ইউরোপের অনেক অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে অনেক। করোনা মহামারির পর এমন একটা ভয়াবহ যুদ্ধ কারও কাছেই প্রত্যাশা ছিল না। কোনো যুদ্ধই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় থাকে না।

বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক
বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক

বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক

দিনটি ছিল মঙ্গলবার, মেলার ১৮তম দিন। শুক্র-শনিবার যতটা ভিড় হয় সাধারণত অন্য কোনোদিন ততটা ভিড় হয় না। তাও মেলায় প্রচুর লোক সমাগম ছিল। যদিও বই ছিল না অধিকাংশ পাঠকের হাতেই। দর্শনার্থীরা মেলায় ঘুরছিলেন, গল্প করছিলেন। ঢাকায় তো বেড়ানোর জায়গা তেমন নেই, বইমেলা বা যে কোনো মেলা উপলক্ষেই তাই প্রচণ্ড ভিড় চোখে পড়ে। বাতাসে ছিল শীতের পরশ। ফেব্রুয়ারি চলে যাচ্ছে, ওই দিন ছিল ফাল্গুন মাসের ৫ তারিখ। গত কয়েকদিন ধরেই গরম পড়ছে; কিন্তু কাল তত গরম ছিল না। এর কারণটা বোঝা গেল একটু পরেই। হঠাৎ আকাশ ডেকে উঠল গুড়ুম গুড়ুম করে। তারপরই এক পশলা সুন্দর বৃষ্টি। কবি শহীদ কাদরীর ভাষায়- ‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো’। সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে লাগল। মেলার মাঠজুড়ে ঘুরতে থাকা দর্শনার্থীরা দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিল বিভিন্ন বইয়ের দোকানের সামনে, খাবার দোকানগুলোর ভেতরে।

তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন
তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন

তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন

পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিস্তাপাড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নদীপাড়ের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে তিস্তা সেতুর লালমনিরহাট পয়েন্ট থেকে কাউনিয়া অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়।

বাংলা একাডেমি পুরস্কার যখন তিরস্কার হয়ে জাতির লজ্জার ইতিহাস হয়ে ওঠে
বাংলা একাডেমি পুরস্কার যখন তিরস্কার হয়ে জাতির লজ্জার ইতিহাস হয়ে ওঠে

বাংলা একাডেমি পুরস্কার যখন তিরস্কার হয়ে জাতির লজ্জার ইতিহাস হয়ে ওঠে

বাংলা একাডেমির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতি-রাষ্ট্র গড়ে ওঠার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই আমাদের জাতিসত্তা ও মাতৃভাষার অধিকারের ওপর আক্রমণ আসতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। সেই অধিকার আদায়ের লড়াই রূপ নেয় ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন যে কেবল বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা অর্জনের লড়াই ছিল তা না, ছিল আমাদের নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রক্ষার লড়াই। যার মধ্য দিয়ে মূলত একটি অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র বিকাশের সূচনা ঘটে।