Views Bangladesh Logo
author image

কামরুল আহসান

  • কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

  • থেকে

কামরুল আহসান: কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরায়েলি লেখকদের
গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরায়েলি লেখকদের

গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরায়েলি লেখকদের

চলতি বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মার্চেই তা ভেঙে পড়ে। ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অমানবিক যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র, মরোক্ক, তুরস্ক, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এবার প্রতিবাদকারীদের দলে যোগ দিলেন খোদ ইসরায়েলের লেখক-কবি-সাংবাদিকরা। ইসরায়েলি নেতাদের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এক চিঠিতে সই করেছেন ইসরায়েলের কমপক্ষে ৩৫০ জন লেখক।

এই ধ্বংসযজ্ঞের মানসিকতা থেকে উত্তরণ কি সম্ভব?
এই ধ্বংসযজ্ঞের মানসিকতা থেকে উত্তরণ কি সম্ভব?

এই ধ্বংসযজ্ঞের মানসিকতা থেকে উত্তরণ কি সম্ভব?

ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান বলে যে বাটার দোকানে হামলা ও চুরি হলো সেই বাটা কোম্পানি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান নয়, এর জন্ম চেক প্রজাতন্ত্রে, অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের সময়, ১৮৯৪ সালে। কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন (কেএফসি)-এর প্রতিষ্ঠা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল শহরে, যার প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল স্যান্ডার্স একজন খ্রিষ্টান, পরবর্তীতে যারা কোম্পানিটি কিনে নেন তারাও খ্রিষ্টান। তারপরও প্রতিষ্ঠান দুটিতে হামলা করা হলো কোন যুক্তিতে? কিংবা হামলাকারীরা কি আদৌ কোনো যুক্তি খুঁজেছিল?

পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন
পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন

পুতিন কি পোল্যান্ড আক্রমণ করবেন

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই পোল্যান্ডকে হুমকি দিয়ে আসছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সাল থেকেই পোল্যান্ড রাশিয়ার সম্ভাব্য ভয়ে তটস্থ। তখন থেকেই অনেকে বলে আসছে, রাশিয়ার পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। অনেকে আবার এও বলছেন, পূর্ব-ইউরোপ নিয়ে পশ্চিম ইউরোপের তেমন মাথাব্যথা নেই; কিন্তু এ কথাও সত্য যে, পশ্চিম ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল দ্বন্দ্ব মূলত পূর্ব-ইউরোপ নিয়েই। তার অনেক কারণও আছে, আজকের পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা অনেকে স্বাধীন হয়েছে; কিন্তু রাশিয়া তাদের অনেককে পিছু ছাড়ছে না, যার কারণে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ করা।

শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা
শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা

শান্তির জন্য যুদ্ধ না কি শিক্ষা

‘তুমি যদি কাউকে ঘৃণাও করো তবু তুমি তাকে খুন করতে পারো না। কারণ, সমগ্র বিশ্বব্র‏হ্মাণ্ড তন্নতন্ন করে খুঁজলেও তুমি তার মতো আরেকটা মানুষ খুঁজে বের করতে পারবে না।’- কার্ল সাগান।

ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?
ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?

ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: যুদ্ধ থামবে না কি অন্যদিকে মোড় নেবে?

আজ সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫; রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর পূর্ণ হলো। যদিও এ যুদ্ধকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধই বলা হয়; কারণ, যুদ্ধ পুরোটাই হচ্ছে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। ভ্লাদিমির পুতিন আশা করেছিলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবে। তখনই অনেকে বলাবলি করছিলেন এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে রূপ নিবে। সত্যিই তাই হলো, সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর এই প্রথম রাশিয়া এমন দীর্ঘমেয়াদি এক যুদ্ধে জড়াল। ইউক্রেন দাবি করছে, এই যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ৪ লাখ সৈন্য হারিয়েছে। সঠিক সংখ্যাটা অবশ্য জানা যাচ্ছে না। তাও বিবিসি ও আল জাজিরা নানা সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া কমপক্ষে দেড় লাখ সৈন্য হারিয়েছে। ইউক্রেনের সৈন্য নিহত হয়েছে অর্ধ লাখের মতো। সৈন্য কম নিহত হলেও ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ দেশছাড়া হয়েছে, ৫০ লাখ আভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর ইউক্রেনের ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে রাশিয়া। দুদেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত ক্ষতির কথা বাদ দিলেও বলা যায় এই যুদ্ধে বিশ্ববাসীও ভুক্তভোগী হয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে এশীয় ও ইউরোপের অনেক অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে অনেক। করোনা মহামারির পর এমন একটা ভয়াবহ যুদ্ধ কারও কাছেই প্রত্যাশা ছিল না। কোনো যুদ্ধই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় থাকে না।

বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক
বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক

বইমেলা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না অধিকাংশ প্রকাশক

দিনটি ছিল মঙ্গলবার, মেলার ১৮তম দিন। শুক্র-শনিবার যতটা ভিড় হয় সাধারণত অন্য কোনোদিন ততটা ভিড় হয় না। তাও মেলায় প্রচুর লোক সমাগম ছিল। যদিও বই ছিল না অধিকাংশ পাঠকের হাতেই। দর্শনার্থীরা মেলায় ঘুরছিলেন, গল্প করছিলেন। ঢাকায় তো বেড়ানোর জায়গা তেমন নেই, বইমেলা বা যে কোনো মেলা উপলক্ষেই তাই প্রচণ্ড ভিড় চোখে পড়ে। বাতাসে ছিল শীতের পরশ। ফেব্রুয়ারি চলে যাচ্ছে, ওই দিন ছিল ফাল্গুন মাসের ৫ তারিখ। গত কয়েকদিন ধরেই গরম পড়ছে; কিন্তু কাল তত গরম ছিল না। এর কারণটা বোঝা গেল একটু পরেই। হঠাৎ আকাশ ডেকে উঠল গুড়ুম গুড়ুম করে। তারপরই এক পশলা সুন্দর বৃষ্টি। কবি শহীদ কাদরীর ভাষায়- ‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো’। সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে লাগল। মেলার মাঠজুড়ে ঘুরতে থাকা দর্শনার্থীরা দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিল বিভিন্ন বইয়ের দোকানের সামনে, খাবার দোকানগুলোর ভেতরে।