Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

এম এ খালেক

  • অর্থনীতি বিষয়ক লেখক
  • শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে

অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক

অর্থ পাচার রোধ করা না গেলে উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে
অর্থ পাচার রোধ করা না গেলে উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে

অর্থনীতি

বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

অর্থ পাচার রোধ করা না গেলে উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম গত ২০ জুন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপনকালে অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’। ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের যে সংকট চলছে তার পেছনে অর্থ পাচার একটি বড় কারণ। সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য অর্থ পাচার জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে।

আসন্ন মুদ্রানীতিতে ট্যাক্স আদায় বৃদ্ধির সুস্পষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে
আসন্ন মুদ্রানীতিতে ট্যাক্স আদায় বৃদ্ধির সুস্পষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে

অর্থনীতি

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

আসন্ন মুদ্রানীতিতে ট্যাক্স আদায় বৃদ্ধির সুস্পষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে

জুলাই মাসের প্রথম পাক্ষিকে ঘোষিত হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) প্রথম ষান্মাসিক মুদ্রানীতি। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ প্রায় ইতিমধ্যেই শেষ করে এনেছে। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি কেমন হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য যে মুদ্রানীতি প্রণীত হচ্ছে, তা কার্যত সংকোচনমূলক হবে। পরপর গত কয়েকটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তাবিত মুদ্রানীতিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন সাধন করবে না। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) চাচ্ছে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ যেন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করে। তাই সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই ঘোষণা করবে।

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে গভীর শঙ্কা
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে গভীর শঙ্কা

অর্থনীতি

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে গভীর শঙ্কা

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফআইসিসিআই) বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বিনিয়োগ (স্থানীয় ও বিদেশি) একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। তাই বিনিয়োগ আহরণ এবং ধরে রাখার জন্য নীতির ধারাবাহিকতা থাকা খুবই প্রয়োজন। ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির নিরাপত্তার স্বার্থে নীতির ধারাবাহিকতা কামনা করে। কারণ কোনো দেশ বা অঞ্চলের বিনিয়োগ করা হলে চাইলেই তা প্রত্যাহার করে নেয়া যায় না; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গৃহীত নীতিগুলো মাঝে মাঝেই পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন। বেসরকারি মালিকানাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। এতে পাইপলাইনে থাকা বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগদান কার স্বার্থে?
কালো টাকা সাদা করার সুযোগদান কার স্বার্থে?

অর্থনীতি

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

কালো টাকা সাদা করার সুযোগদান কার স্বার্থে?

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তার সার্বিক আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয় ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য স্থানীয় ও বিদেশি বিভিন্ন সূত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড শেষে আসে অর্থনৈতিক মন্থরতা: আমরা কি প্রস্তুত?
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড শেষে আসে অর্থনৈতিক মন্থরতা: আমরা কি প্রস্তুত?

অর্থনীতি

সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড শেষে আসে অর্থনৈতিক মন্থরতা: আমরা কি প্রস্তুত?

যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রম শক্তির কোনো বিকল্প নেই। শ্রমশক্তি যত দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত হবে, সেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা ততটাই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যান্ত্রিক শক্তির যতই উন্নয়ন ঘটুক না কেন, যন্ত্রের পেছনের মানুষটি যদি অদক্ষ এবং অপরিপক্ব হয়, তাহলে কোনোভাবেই উন্নয়ন সাধিত হবে না। জনশক্তি যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ হয়, তাহলে তা একটি দেশের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হতে পারে। আবার সেই জনশক্তিই যদি অপ্রশিক্ষিত এবং অদক্ষ হয়, তাহলে তা জাতির জন্য দায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। কোনো দেশের মোট জনশক্তিকে চারটি বিশেষ শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতে পারে; শিশু, তরুণ, পূর্ণ বয়স্ক এবং বৃদ্ধ। সাধারণভাবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা যেতে পারে। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের তরুণ এবং ৩৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের পূর্ণ বয়স্ক এবং তার বেশি বয়সীদের বৃদ্ধ বলা যেতে পারে। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলা যেতে পারে।

আর্থিক শক্তির নির্দেশক ব্যক্তির পার্চেজিং পাওয়ার
আর্থিক শক্তির নির্দেশক ব্যক্তির পার্চেজিং পাওয়ার

অর্থনীতি

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

আর্থিক শক্তির নির্দেশক ব্যক্তির পার্চেজিং পাওয়ার

ব্যক্তিগত জাগতিক সুখার্জনে কনজ্যুমার্স পার্চেজিং পাওয়ার বা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই। যদিও বলা হয়, অর্থই সকল অনর্থের মূল অথবা টাকা-পয়সা হাতের ময়লা। এতসব বিরূপ মন্তব্যের পরও আমরা কোনোভাবেই ব্যক্তির জীবনে অর্থের আবশ্যকতা উপেক্ষা করতে পারি না। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাস্তবতা হচ্ছে এটাই যে, অর্থ ছাড়া আমাদের একমুহূর্তও চলে না। যে কোনো কাজের জন্যই অর্থের প্রয়োজন হয়। বিনিময়ের মাধ্যম হচ্ছে টাকা, যা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার ভিত রচনা এবং শান্তির পথ রচনা করে। তিন ধরনের শক্তি মানুষের জীবনকে আবর্তন করে রাখে। এগুলো হচ্ছে শারীরিক শক্তি, মানসিক শক্তি এবং আর্থিক ক্ষমতা বা শক্তি। এই তিনটি শক্তি কারও জীবনে একত্রিত হলে তিনি সবচেয়ে বেশি সুখি মানুষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।