Views Bangladesh Logo
author image

মাহবুব সরকার

  • সাংবাদিক

  • থেকে

লেখক: সাংবাদিক
রক্তক্ষরণ বন্ধের পর ক্ষতটাও শুকিয়ে যাক!
রক্তক্ষরণ বন্ধের পর ক্ষতটাও শুকিয়ে যাক!

রক্তক্ষরণ বন্ধের পর ক্ষতটাও শুকিয়ে যাক!

শরীরের কোনো অঙ্গ কেটে গেলে, রক্তপাত হলে দূর্বাঘাস চিবিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়াটা ছিল আমাদের শৈশবের কার্যকরী প্রাথমিক চিকিৎসা। দেশের নারী ফুটবলে রক্তক্ষরণ হলো, ক্ষতস্থান থেকে সংক্রমণের অবস্থা তৈরি হলো; জল অনেকদূর গড়াল- প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষণ কিন্তু দেখা গেল না। ১৮ সিনিয়র ফুটবলার একাট্টা হয়ে কোচ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, বিষয়টি তিক্ততা ছড়ানোর মাধ্যমে ইতিবাচক নারী ফুটবল নেতিবাচক হয়ে উঠল। ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী বিভাগের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের ঘোষণার পর মনে করা হচ্ছে, নারী ফুটবল-সংক্রান্ত সংকটের কালো মেঘ কেটে গেছে। সেটা আদৌ কতটুকু কাটল বুঝতে হলে আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে। কারণ এখনো কিছু বিষয়ে জটিলতার আশঙ্কা কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

চাপে থাকা আবাহনীই সেরাটা দেয়!
চাপে থাকা আবাহনীই সেরাটা দেয়!

চাপে থাকা আবাহনীই সেরাটা দেয়!

অতীতের সেই আবেদন নেই- আবাহনী-মোহামেডান এখন ঐতিহ্যের কঙ্কাল! এ অবস্থার মাঝেও কিছু সমর্থক আছেন এখনো জনপ্রিয় দুটি ক্লাবকে অনুসরণ করেন, নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। আজিমপুরের বাসিন্দা মাজেদ হোসেন টুটুল তেমনই একজন। শত ব্যস্ততার মাঝে আবাহনীর খবর রাখেন। সময়-সুযোগ পেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন, ফিরে যান ফুটবলের সেই সমৃদ্ধ অতীতে। ধানমন্ডির ক্লাবটির এমন কট্টর সমর্থকরা গেল কয়েক মৌসুম বেশ চাপে ছিলেন। বুসন্ধরা কিংসের দাপটে মাঠের লড়াইয়ে প্রিয় ক্লাব বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার চাপ ওটা।

দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা
দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা

দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা

বিশ্বকাপে নাম লেখানো যে কোনো দেশের ফুটবলারদের কাছে স্বপ্নের বিষয়। স্বপ্ন দেখছিলেন জাম্বিয়ান ফুটবলাররাও। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দেশটি অসাধারণ ফুটবল খেলছিল। ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দল বিশেষ বিমানে সেনেগাল যাচ্ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব যাত্রীর সলিলসমাধি ঘটে, হাওয়ায় মিলিয়ে যায় প্রতিভায় ঠাসা একটি ফুটবল প্রজন্ম। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে ইতালিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করা জাম্বিয়া কিন্তু এখনো বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাদ নিতে পারেনি।

প্রতিশ্রুতি এবং নিষ্ঠুর বাস্তবতার বিপিএল
প্রতিশ্রুতি এবং নিষ্ঠুর বাস্তবতার বিপিএল

প্রতিশ্রুতি এবং নিষ্ঠুর বাস্তবতার বিপিএল

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলতে অধিকাংশ দর্শক বোঝেন চার-ছক্কার সমাহার, রানের ফুলঝুরি। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দিন দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসের তিনটি ছিল ১৯০ ছাড়ানো। ব্যতিক্রমী আসরের প্রতিশ্রুতি ছিল এবার, সূচনায় দারুণ ব্যতিক্রম ছিল ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর। কেবল কি সূচনা? নানা দিক থেকে ব্যতিক্রম এ আসর, এখনো ব্যতিক্রমী নানা ঘটনা জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যার অধিকাংশই কিন্তু ইতিবাচক নয়, বরং নেতিবাচক।

বিসিবিতে দ্বন্দ্ব: ক্রিকেটের এ কোন রূপ!
বিসিবিতে দ্বন্দ্ব: ক্রিকেটের এ কোন রূপ!

বিসিবিতে দ্বন্দ্ব: ক্রিকেটের এ কোন রূপ!

ড. ভূপেন হাজারিকা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের নানা ঘটনাচক্রে হয়তো লজ্জায় মুখ লুকাতেন! প্রয়াত এ শিল্পীর লেখা ‘এই পৃথিবী এক ক্রীড়াঙ্গন’ গানের ‘ক্রীড়া হলো শান্তির প্রাঙ্গণ’ কথাটা যে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ভূখণ্ডে একদমই খাটছে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) স্বীকৃতি অর্ধশতাধিক ক্রীড়া ফেডারেশনের কোথাও বিখ্যাত ভারতীয় শিল্পীর গানের ওই কথাটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনে তা স্পষ্ট হয়েছে আগেই। এবার সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক ঘটনাচক্র।

উল্টোরথে দেশের ব্যাডমিন্টন
উল্টোরথে দেশের ব্যাডমিন্টন

উল্টোরথে দেশের ব্যাডমিন্টন

শীতের ভরা মৌসুমের প্রতিটি দিন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় খ্যাপ (দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাড়ায়) খেলে যে অর্থ আয় হয়, তা দিয়ে সারা বছরের খরচ মেটান শাটলাররা। ভরা মৌসুমে আয়োজিত ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ ও ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ তাদের জন্য ‘লস প্রজেক্ট’। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই জাতীয় দলে খেলার মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশের চিত্রটা উল্টো- ক্ষতি মেনেই জাতীয় দলে খেলেন বাংলাদেশি শাটলাররা।