বাংলাদেশের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা পাঠ্যক্রম
বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্কুল ব্যবস্থা আক্ষরিক অর্থেই খুবই দুর্বল। এমনকি তা ভারত এবং চীনের শিক্ষাব্যবস্থার চেয়েও অনেক পিছিয়ে। এই আলাপ কেবল দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অন্ধকার সত্যের উন্মোচন নয়। খুব বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই সবাই যেন সচেতন হতে পারেন। নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে প্রত্যেক অভিভাবক, শিক্ষার্থী এমনকি বেশিরভাগ শিক্ষকই বেশ নাখোশ। এটা যে পুরোপুরি হতাশাজনক তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নেতৃত্বে আসন্ন ভবিষ্যত প্রজন্ম গঠনে এ জাতি শেষ অবধি ব্যর্থ হতে চলেছে। ক্রমশ তা এক গভীর জাতীয় সংকটে পরিণত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া তীব্রতর। কে এর দায় নেবে? কে এই বিনাশ বয়ে নিয়ে যাবে? কে-ইবা এ পরিস্থিতি সামলে নিতে এগিয়ে আসবে? এটা জাতির অতি সাধারণ ও মৌলিক জিজ্ঞাসা। জাতির জানা প্রয়োজন কিভাবে এবং সমাধানের পথ খুঁজতেও জাতি বড়ই মরিয়া। কেন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এতটা দূর্বল, কেন এতটা ক্রুর এবং সহজ কেন নয়। কেনইবা পশ্চিমা দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার মতো কার্যকর নয়। নয়া এই পাঠ্যক্রমে অভিভাবকদের অংশগ্রহণের সুযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যা কি না দেশের জন্য অশনিসংকেত।