Views Bangladesh Logo
author image

মহসীন হাবিব

  • সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

  • থেকে

সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?
ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান যুগে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্ক কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের ভালো, আবার কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের বৈরী। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে প্রতিটি দেশেরই, বিশেষ করে বড় দেশগুলোর সঙ্গে স্বার্থ জড়িয়ে আছে। সেই অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি দেশের বাণিজ্যিক, সামরিক এমনকি আদর্শিক সম্পর্ক বা বিরোধিতা রয়েছে। এই সম্পর্কে আবার জোয়ার-ভাটাও দেখা যায়। মাঝখানে একটু বলে রাখা ভালো, যারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আসে না, তারা সেকেলে চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত। এমন চিন্তা পুরোনো, শীতল যুদ্ধের সময়ের। তখন যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক বলয়ের দেশগুলোর ব্যাপারে কোনো নীতির পরিবর্তন হতো না। কিন্তু বর্তমানে সেই বলয় ভেঙে গেছে। এমনকি চীনের মতো বিশাল সমাজতান্ত্রিক দেশও মুক্তবাজারের নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে।

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন, কী হচ্ছে সেখানে
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন, কী হচ্ছে সেখানে

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন, কী হচ্ছে সেখানে

প্রায় ১৪ বছর গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এই প্রথম ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ঘোষণা করেছে 'স্বৈরশাসক' প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং সিরিয়া এখন মুক্ত। দু-চার দিনের মধ্যে যদি শোনা যায় বাশার আল আসাদ ক্ষমতা ত্যাগ করার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন, অথবা বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছেন- তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে সিরিয়ার এই যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলার চেয়ে বরং আন্তঃদেশীয় যুদ্ধ বলাই সঠিক। কারণ ২০১১ সালে গণতন্ত্র এবং বাশার আল আসাদের পতনের দাবিতে যে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয় তাতে শুধু নন-স্টেট অ্যাক্টরগুলোই নয়, জড়িয়ে পড়ে তুরস্ক, ইরান, ইসরায়েল, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো জোট ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত সিরিয়ার প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা

৪ নভেম্বরের গল্প। না, পরাবাস্তব বা যাদুবাস্তব গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে ঢুকলাম দুপুরবেলা। রাস্তার দুপাশে সারি বেঁধে বসে শাক-সবজি বিক্রি করছে অত্যন্ত দরিদ্রপীড়িত, শিক্ষাবঞ্চিত খেটে খাওয়া প্রান্তিক পর্যায়ের কিছু মানুষ। হঠাৎ কানে এলো তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন তার জন্ম এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, ‘ইবার ট্রাম্প হইয়া যাবি’। আমার কান সচেতন হয়ে উঠল। ইন্টারেস্টিং ডিসকাশন! দাঁড়িয়ে পড়লাম। দেখি একটা মলিন স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে, পরনে লুঙ্গি এবং খালি পায়ে বসে লালশাক, পুঁইশাক বিক্রি করছেন লোকটি। প্রায় একই রকম কন্ডিশনের আরেকজন বিক্রেতা তার কথায় সায় দিয়ে মাথা দোলাচ্ছেন।

বিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বরের দিকে
বিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বরের দিকে

বিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বরের দিকে

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের। এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা চলছে দেশটিতে। সব মিডিয়া বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছে। এ মুহূর্তে দুই প্রার্থী এবং দলীয় প্রচারকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সুইং স্টেট, অর্থাৎ যে রাজ্যগুলো যে কোনো দিকে ঝুকতে পারে সেই রাজ্যগুলোতে। আরেকটু খুলে বললে, ২০১৬ সালে যে রাজ্যগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করেছিল, অথচ ২০২০ সালে এসে বাইডেনকে জয়ী করেছে সেই স্টেটগুলোতে অধিক মনোযোগী হয়েছেন দুই প্রার্থী।