Views Bangladesh Logo
author image

মহসীন হাবিব

  • সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

  • থেকে

সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

সংস্কার কতটা প্রয়োজন, কতটা টেকসই
সংস্কার কতটা প্রয়োজন, কতটা টেকসই

সংস্কার কতটা প্রয়োজন, কতটা টেকসই

‘সংস্কার’ শব্দটি ছোট; কিন্তু এর অর্থ এবং তাৎপর্য অশেষ, অসংখ্য। সংস্কারের ইংরেজি প্রতিশব্দ Reform. অক্সফোর্ড-ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে লেখা আছে, to make an improvement, especially by changing a person's behavior or the structure of something: এক কথায় বলা যায়, কোনো বিদ্যমান কাঠামো, কোনো বিদ্যমান সিস্টেম বা কোনো ব্যক্তির বিদ্যমান আচরণকে পরিবর্তন করে উন্নীত করাই হচ্ছে সংস্কার। তাই সংস্কার শব্দটি শুনলে পোড় খাওয়া জনগণ আশান্বিত হয়।

পর্দার আড়ালে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কৃতিত্ব
পর্দার আড়ালে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কৃতিত্ব

পর্দার আড়ালে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কৃতিত্ব

ঝগড়াপূর্ণ মিটিং শেষ হতেই জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস স্টাফরা সাফ জানিয়ে দিলেন, মি. প্রেসিডেন্ট, আপনি এখন চলে যান। ডিনারটাও হলো না! এবং জেলেনস্কি কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দ্রুত হোয়াইট হাউস ছেড়ে ইউরোপের উদ্দেশে রওয়ানা হলেন। তিনি এসেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং ব্রিটেন তাকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অভ্যর্থনা দিল। কিং তৃতীয় চার্লস তাকে নরফোক বাসভবনের স্যানড্রিংহাম স্যালুনে অভ্যর্থনা জানিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা করলেন। ব্রিটেনের এই উষ্ণতার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়ে দেয়া হলো যে শুধু ব্রিটেনের সরকার নয়, স্বয়ং রাজাও জেলেনস্কি তথা ইউক্রেনকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।

সোজা কথায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মপদ্ধতি
সোজা কথায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মপদ্ধতি

সোজা কথায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মপদ্ধতি

যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপার পাওয়ার এতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাকে ম্যাকডোনাল্ড আইল্যান্ড, চুখোতকা অখরুক থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা পর্যন্ত নজর রাখতে হয়। ওই যে দুটি অতি ক্ষুদ্র দূরদ্বীপের নাম বললাম, আমরা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, হয়তো আমাদের ফরেইন অফিসও জানে না; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জানতে হয়। ওইসব স্থানের অর্থনীতি, কৌশলগত অবস্থান, বেনিফিট সম্পর্কে নিয়মিত পলিসি অবলম্বন করতে হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভয় দেখাচ্ছেন, নাকি সত্যি?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভয় দেখাচ্ছেন, নাকি সত্যি?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভয় দেখাচ্ছেন, নাকি সত্যি?

সবেমাত্র ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এরই মধ্যে তিনি তার ক্ষমতাবলে বহু আদেশ দিয়ে এবং আগামীতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করে বিশ্বব্যাপী অনেকের পিলে চমকে দিয়েছেন। রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই তিনি এতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা অনেকের কাছেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। বিগত দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেই এভাবে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি; অন্য দেশকে হুমকি দেননি। সমালোচকরা কেউ কেউ তাকে উগ্র জাতীয়তাবাদী হিসেবে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেয়া এবং গাজার অধিবাসীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করা, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে একাধিকবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে উল্লেখ করেছেন; পরবর্তীতে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর উচ্চহারে ট্যারিফ ধার্য করা, ইউএসএইড বন্ধ করে দেয়া, অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করা, ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে নেয়া, পানামা ক্যানেলের দখল পুনরুদ্ধার করা, ইউক্রেনের খনিজসম্পদের বিনিময়ে সামরিক সাহায্য দেয়া এবং সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের গোয়েন্দা তথ্যে প্রবেশের অধিকার বন্ধ করাসহ আরও অনেকগুলো বিষয়।

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?
ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান যুগে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্ক কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের ভালো, আবার কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের বৈরী। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে প্রতিটি দেশেরই, বিশেষ করে বড় দেশগুলোর সঙ্গে স্বার্থ জড়িয়ে আছে। সেই অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি দেশের বাণিজ্যিক, সামরিক এমনকি আদর্শিক সম্পর্ক বা বিরোধিতা রয়েছে। এই সম্পর্কে আবার জোয়ার-ভাটাও দেখা যায়। মাঝখানে একটু বলে রাখা ভালো, যারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আসে না, তারা সেকেলে চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত। এমন চিন্তা পুরোনো, শীতল যুদ্ধের সময়ের। তখন যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক বলয়ের দেশগুলোর ব্যাপারে কোনো নীতির পরিবর্তন হতো না। কিন্তু বর্তমানে সেই বলয় ভেঙে গেছে। এমনকি চীনের মতো বিশাল সমাজতান্ত্রিক দেশও মুক্তবাজারের নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে।