Views Bangladesh Logo
author image

প্রভাষ আমিন

  • সাংবাদিক ও কলাম লেখক

  • থেকে

কালমিস্ট ও হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

দুর্নীতিবাজদের দেশত্যাগ নিশ্চিত হওয়ার পর কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়!
দুর্নীতিবাজদের দেশত্যাগ নিশ্চিত হওয়ার পর কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়!

দুর্নীতিবাজদের দেশত্যাগ নিশ্চিত হওয়ার পর কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়!

বাংলাদেশে দুর্নীতি হয়, এটা সবাই জানেন। এটা এখন এক সর্বগ্রাসী প্রবণতা। তবে এতদিন যেটা নিছক ধারণা ছিল, সেটা এখন প্রবল সত্য হয়ে সামনে এসেছে। বাংলাদেশে সব খাতেই কমবেশি দুর্নীতি হয়। যেখানে কম হয়, সেখানে দুর্নীতির সুযোগ কম; যেখানে বেশি হয়, সেখানে দুর্নীতির সুযোগ বেশি। পার্থক্য শুধু সুযোগের। কেউ যদি দাবি করেন, কোনো খাতে দুর্নীতি হয় না, তাহলে বুঝতে হবে সেখানে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। সুযোগের অভাবে অনেকে সৎ। সেই সৎ মানুষটিকে কোনো দুর্নীতির জায়গায় পাঠিয়ে দেন, দেখবেন তিনিও সেই দুর্নীতির চক্রে মিশে গেছেন। এটা আসলে সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলে ভাববেন না, বাংলাদেশে সৎ মানুষ নেই।

পুলিশ হেফাজত মানে সুরক্ষা, মৃত্যু নয়
পুলিশ হেফাজত মানে সুরক্ষা, মৃত্যু নয়

পুলিশ হেফাজত মানে সুরক্ষা, মৃত্যু নয়

বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে ভয় পায়, পুলিশের কাছ থেকে দূরে থাকে। অথচ পুলিশের হওয়ার কথা জনগণের বন্ধু। আগে বন্ধুত্বের দুটি উদাহরণের কথা বলি। কদিন আগে এক চোর গিয়েছিল বাজারে এক দোকানে চুরি করতে; কিন্তু চুরির মাল গোছাতে গোছাতে ভোর হয়ে যায়। লোকজন চলে আসে। চারপাশে লোকজনের আওয়াজে চোর ভয় পেয়ে যায়। তার ভয় ছিল, লোকজন যদি দোকানের ভেতরে তাকে পায়, তাহলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। চতুর চোর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চায়। পুলিশ এসে দোকানের ভেতর থেকে চোরকে উদ্ধার করে। পরে অবশ্য তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়; কিন্তু সময়মতো পুলিশ এসেছে বলেই চোরটি প্রাণে বাঁচতে পেরেছে।

ডোনাল্ড লুর কণ্ঠে উল্টো হাওয়া
ডোনাল্ড লুর কণ্ঠে উল্টো হাওয়া

ডোনাল্ড লুর কণ্ঠে উল্টো হাওয়া

বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করতে হলে দুটি তারিখ মাথায় রাখতে হবে। একটি হলো গত বছরের ২৮ অক্টোবর, আরেকটি চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি। মূল তারিখটি আসলে ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের আর পরের বাংলাদেশ এক নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু করেছিল।

অদূরদর্শিতার কারণে জনগণের আর কত অর্থ জলে যাবে
অদূরদর্শিতার কারণে জনগণের আর কত অর্থ জলে যাবে

অদূরদর্শিতার কারণে জনগণের আর কত অর্থ জলে যাবে

ঢাকার পাশেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আর গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬ হাজার ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে গড়ে তোলা হচ্ছে পূর্বাচল নামে একটি নতুন শহর। পূর্বাচলে ২৬ হাজার প্লট, ৬২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট, আধুনিক স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সুউচ্চ আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ১৯৯৫ সালে নেয়া পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটি প্রায় ৩০ বছরেও পুরোপুরি বাসযোগ্য হয়নি। অথচ পূর্বাচলের পাশেই রূপগঞ্জে ২০১০ সালে নেয়া জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এরই মধ্যে ব্যস্ততায় মুখরিত। মূলত সেনা কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটি এরই মধ্যে ঢাকার সবচেয়ে পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একদম পাশাপাশি দুটি আবাসিক প্রকল্পের এই চিত্র বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্রেরই একটি ছোট্ট ছবি মাত্র। সরকারি উদ্যোগের আবাসন প্রকল্পটি ৩০ বছরেও বাসযোগ্য হয়নি। আর বেসরকারি উদ্যোগে ও সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় জলসিঁড়ি প্রকল্পটি এর অর্ধেক সময়েই প্রায় তৈরি।

ন্যায্য অর্থ না হোক, মর্যাদাটা যেন পায় শ্রমিকরা
ন্যায্য অর্থ না হোক, মর্যাদাটা যেন পায় শ্রমিকরা

ন্যায্য অর্থ না হোক, মর্যাদাটা যেন পায় শ্রমিকরা

বাংলাদেশের অর্থনীতি, অগ্রগতি, সম্ভাবনা সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে ইংরেজি 'R' আদ্যাক্ষরের তিনটি শব্দের ওপর- Rice, Remittance, RMG. সোজা বাংলায় কৃষকের উৎপাদিত ধান, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক রপ্তানি- এই তিন হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। এই তিনটিই শ্রমঘন কাজ। সরলভাবে বললে, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে মেধা, প্রতিভা, দক্ষতার অবদান সামান্যই। বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে আসলে শ্রমিকের ঘামে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলা শ্রমে। আসলে বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজলভ্য হলো মানুষ, তাই সবচেয়ে সস্তা হলো শ্রম।

কারিগরী বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কারিগররা কি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে!
কারিগরী বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কারিগররা কি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে!

কারিগরী বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কারিগররা কি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে!

দেখেশুনে আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, বাংলাদেশ আসলে দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্য। একজন সৎ লোকের পক্ষে টিকে থাকাই মুশকিল। কেউ যদি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি জীবনেও ঘুষ খাবেন না; তাহলে পাশের টেবিলের সহকর্মীরাই তার জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলবেন। নিজেদের ঘুষ খেতে অসুবিধা হবে বলে, তাকে সরানোর চেষ্টা করবেন। দেখা যাবে, ঘুষ না খাওয়া কর্মকর্তার চাকরি যাবে দুর্নীতির অভিযোগে। কোনো কোনো অফিসে ঘুষের রেট বাধা আছে। ঘুষ আসবে, সেটা আনুপাতিক হারে ভাগ হয়ে যাবে। কম বেশি সবাই ভাগ পাবে। এর মধ্যে কেউ যদি ঘুষ খেতে না চান, পুরো চেইনটা বিঘ্নিত হয়।