Views Bangladesh Logo
author image

রাশেদ মেহেদী

  • থেকে

সাংবাদিক, সম্পাদক, ভিউজ বাংলাদেশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য

সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদনটি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কারণ ২৯ বছরের পেশাগত জীবনে ২৭ বছর এক নাগারে মাঠের রিপোর্টিং করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য নিজেও গণমাধ্যমে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। কোনো রাজনৈতিক সরকারের আমলেই এ ধরনের সংস্কার কমিশন হয়নি। এ কারণেই এই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পড়ার জন্য প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি। ১৮০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরিতে নিশ্চিতভাবেই কমিশনের প্রধানসহ সম্মানিত অন্যান্য সদস্য অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। এই প্রতিবেদনে কয়েকটি দেশে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সামনে আনা হয়েছে।

‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’
‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’

‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’

রাজনীতির অঙ্ক বড়ই জটিল। সুখীনগর রাজ্যে সেই জটিল অঙ্ক জটিলতর হলো মহারাজার “দুঃখবিষয়ক মন্ত্রী” নিয়োগের ঘোষণায়। কারণ মহারাজ ঘোষণায় বলেছেন, এমন একজনকে তিনি দুঃখবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করতে চান, যিনি সত্যিকার অর্থে দুঃখ ভোগের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং দুঃখকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারেন। ঘোষণার পরের দিন থেকেই নতুন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী দুঃখী মানুষের রাজদরবারের সামনে লাইন পড়ে গেল। সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে মহারাজা দেখলেন, এরা কেউই দুঃখী নয় এবং দুঃখ ভোগ বিষয়ে এদের সবিশেষ কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। অতএব দুঃখবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি মহারাজার নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়াল।

টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।

বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?
বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?

বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?

বাংলাদেশের তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিগত ১৫ বছরে কি ঘটেছে, কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর। সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে অনিয়মের চিত্র যা পেয়েছি তা রিপোর্ট করেছি; কিন্তু পতিত সরকারের আমলে সাংবাদিকদের জন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়াও সহজ ছিল না। সম্ভবত, বিগত সময়ের সেই তথ্য পাওয়ার সেই চ্যালেঞ্জের মুখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরাও পড়েছেন। যে কারণে মুখে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অনেক অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব কমই জনগণের সামনে এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে তদন্ত কমিটি হয়েছে। দু-একটি কমিটি রিপোর্টও দিয়েছে; কিন্তু সেই কমিটির রিপোর্ট জনগণের সামনে আসেনি।

নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত
নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত

নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত

নতুন একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হলো রাজপথ থেকে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের নেতৃত্বে এই রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। এখন বড় প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন দল সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দল কি না? কিংবা দলটির কর্মসূচিতে বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রতিফলিত হয়েছে?

ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা
ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা

ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা

কনফারেন্সের শিরোনামগুলো অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী। আয়োজক সংগঠনের নামও আকর্ষণীয়। সংগঠনের ওয়েবসাইট খুব ভালো ডিজাইনের এবং সুনির্মিত। যে কেউ প্রথম দেখায় বিশ্বাস করতে বাধ্য যে এটি সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন; কিন্তু বাস্তবে এই সাইটগুলো সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ফাঁদ। প্রতি বছর প্রায় একশ কনফারেন্সের তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে কনফারেন্স ফি আদায়ের নামে প্রতারণার মাধ্যমে শত শত ডলার হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে এ চক্রের কাজ। বিভিন্ন নামের একই ধরনের প্রায় ২০টি ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংঘবদ্ধ চক্র। ভিউজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে ভারত থেকে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা আছেন। এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একজন নাগরিকেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতারকদের অন্যতম ওয়েবসাইট “Sciencesociety.co” বাংলাদেশি এক নাগরিকের পরিচয় রয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে।