Views Bangladesh Logo
author image

রাশেদ মেহেদী

  • থেকে

সাংবাদিক, সম্পাদক, ভিউজ বাংলাদেশ
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।

বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?
বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?

বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?

বাংলাদেশের তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিগত ১৫ বছরে কি ঘটেছে, কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর। সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে অনিয়মের চিত্র যা পেয়েছি তা রিপোর্ট করেছি; কিন্তু পতিত সরকারের আমলে সাংবাদিকদের জন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়াও সহজ ছিল না। সম্ভবত, বিগত সময়ের সেই তথ্য পাওয়ার সেই চ্যালেঞ্জের মুখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরাও পড়েছেন। যে কারণে মুখে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অনেক অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব কমই জনগণের সামনে এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে তদন্ত কমিটি হয়েছে। দু-একটি কমিটি রিপোর্টও দিয়েছে; কিন্তু সেই কমিটির রিপোর্ট জনগণের সামনে আসেনি।

নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত
নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত

নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটা হওয়া উচিত

নতুন একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হলো রাজপথ থেকে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের নেতৃত্বে এই রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। এখন বড় প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন দল সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দল কি না? কিংবা দলটির কর্মসূচিতে বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রতিফলিত হয়েছে?

ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা
ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা

ভারত থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ‘কনফারেন্স স্ক্যামার’ গ্রুপের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষক ও গবেষকরা

কনফারেন্সের শিরোনামগুলো অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী। আয়োজক সংগঠনের নামও আকর্ষণীয়। সংগঠনের ওয়েবসাইট খুব ভালো ডিজাইনের এবং সুনির্মিত। যে কেউ প্রথম দেখায় বিশ্বাস করতে বাধ্য যে এটি সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন; কিন্তু বাস্তবে এই সাইটগুলো সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ফাঁদ। প্রতি বছর প্রায় একশ কনফারেন্সের তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে কনফারেন্স ফি আদায়ের নামে প্রতারণার মাধ্যমে শত শত ডলার হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে এ চক্রের কাজ। বিভিন্ন নামের একই ধরনের প্রায় ২০টি ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংঘবদ্ধ চক্র। ভিউজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে ভারত থেকে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা আছেন। এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একজন নাগরিকেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতারকদের অন্যতম ওয়েবসাইট “Sciencesociety.co” বাংলাদেশি এক নাগরিকের পরিচয় রয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে।

একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ
একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ

একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভাঙচুরের ঘটনা অনেক পুরোনো। সেই নব্বইয়ের দশক থেকেই আমরা দেখছি, কোনো আন্দোলন, দাবি-দাওয়া, হরতাল-অবরোধ, ধর্মঘট সবকিছুতেই যানবাহন, স্থাপনা ভাঙচুর ঘটেছে বার বার। গত তিন দশকে বিভিন্ন সময়ে যাত্রবাহী চলন্ত বাস-ট্রেনে আগুনও দেখেছি আমরা। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। ভাঙচুরমুক্ত একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়তে পারিনি।

কোন দিকে যাচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা, কার হাতে থাকবে নিয়ন্ত্রণ
কোন দিকে যাচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা, কার হাতে থাকবে নিয়ন্ত্রণ

কোন দিকে যাচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা, কার হাতে থাকবে নিয়ন্ত্রণ

পরিসংখ্যানটা খবরের শিরোনামের জন্য বেশ চটকদার। ‘মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ৪৪ লাখ।’ টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিআরসি যেহেতু প্রতি মাসেই দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সেবার গ্রাহক তথ্যের একটি পরিসংখ্যান দেয়, সে কারণে খুব সহজে সাংবাদিকরা তথ্যটিও পায়। আগের মাসের তথ্যের সঙ্গে নতুন মাসের গ্রাহক তথ্যের পার্থক্যটা দিয়ে সহজেই বাজার চলতি একটা রিপোর্টও করা যায়। গ্রাহকসংখ্যার পার্থক্য নিজেদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটা নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি বিশ্লেষণও দেখা যায়। গ্রাহকসংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে না বুঝেই আঁতকে ওঠার মতো আবেগঘন বক্তব্য দিতেও দেখা যায় দু-একজন বিশ্লেষককে। বড় বড় সংবাদমাধ্যমে যখন গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়, তখন ব্যবসা-বাজারের গতি-প্রকৃতি বুঝি-না বুঝি আমরা আমজনতাও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ি!