Views Bangladesh Logo
author image

রাসেল মাহমুদ

  • জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক

  • থেকে

রাসেল মাহমুদ: জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক
ঋণের ৬৬ শতাংশই খেলাপি, ধুঁকছে জনতা ব্যাংক
ঋণের ৬৬ শতাংশই খেলাপি, ধুঁকছে জনতা ব্যাংক

ঋণের ৬৬ শতাংশই খেলাপি, ধুঁকছে জনতা ব্যাংক

দেশের ব্যাংক খাতে গত দেড় দশক ধরে আলোচনা-সমালোচনার ‘শীর্ষস্থানটি’ ধরে রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘জনতা ব্যাংক পিএলসি’। ক্ষমতার বলয়ে থাকা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তোষণ, তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নামমাত্র জামানতে বিশাল অঙ্কের ঋণ দিয়ে সমালোচনা আরও সমৃদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে। এতে ব্যাংকটিতে জমেছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৩৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের ৬৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। বিশাল অঙ্কের এই খেলাপি নিয়ে ধুঁকছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি।

ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকা দীর্ঘ হলেও ফিরছে না টাকা
ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকা দীর্ঘ হলেও ফিরছে না টাকা

ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকা দীর্ঘ হলেও ফিরছে না টাকা

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর রাজনীতিসহ প্রায় সব অঙ্গনেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। বাদ যায়নি অর্থনীতিও। তার অংশ হিসেবে ব্যাংক খাত ঢেলে সাজানোর ‘অঙ্গীকার’ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠন করেন। উদ্যোগ নেন পুরো ব্যাংক খাত সংস্কারের। ব্যাংক খাত থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার আশ্বাসও দেন তিনি; কিন্তু গত ৬ মাসে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তবে এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৩৭৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এসব হিসাবে পাওয়া গেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি ছাড়ানোর শঙ্কা
খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি ছাড়ানোর শঙ্কা

খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি ছাড়ানোর শঙ্কা

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এক লাফে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা বেড়ে ঠেকেছে পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকায়। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষ হলেও এখনো খেলাপি ঋণের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়নি। এই প্রান্তিকের হিসাব প্রাক্কলন হলে খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

দাবি আদায়ে অনড় তিতুমীর শিক্ষার্থীরা, বিপাকে সরকার
দাবি আদায়ে অনড় তিতুমীর শিক্ষার্থীরা, বিপাকে সরকার

দাবি আদায়ে অনড় তিতুমীর শিক্ষার্থীরা, বিপাকে সরকার

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দুপুর ১২টার দিকে তারা কলেজের সামনের মহাখালী-গুলশান সড়ক বাঁশ দিয়ে অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া আন্দোলনে চারজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরপরও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন তারা। তবে সরকার বলছে, তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই। দাবির মুখে সরকার আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না বলেও জানানো হয়।

বছরজুড়ে নেতিবাচক আলোচনা, শঙ্কা ছিল আমানত হারানোর
বছরজুড়ে নেতিবাচক আলোচনা, শঙ্কা ছিল আমানত হারানোর

বছরজুড়ে নেতিবাচক আলোচনা, শঙ্কা ছিল আমানত হারানোর

অনিয়ম, খেলাপি ঋণ, নামে-বেনামে অর্থ লোপাটসহ নানা কারণে বছরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ব্যাংকিং খাত। বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের লুট, দখলদারিত্ব, অর্থ পাচারসহ জুলাই-আগস্টের আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন, বেসরকারি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেয়া, সরকারি ব্যাংকের শীর্ষ পদে পরিবর্তন, তারল্য সংকটে গ্রাহকদের চাহিদামতো অর্থ সরবরাহ করতে না পারায় পুরো খাতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

৯ মাসে পলিসি বন্ধ করেছেন সাড়ে ৩ লাখ বীমাগ্রাহক
৯ মাসে পলিসি বন্ধ করেছেন সাড়ে ৩ লাখ বীমাগ্রাহক

৯ মাসে পলিসি বন্ধ করেছেন সাড়ে ৩ লাখ বীমাগ্রাহক

দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা ৩৬টি জীবন বীমা কোম্পানি থেকে চলতি বছরের ৯ মাসে পলিসি বন্ধ করেছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার জন গ্রাহক। বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।