Views Bangladesh Logo
author image

রায়হান আহমেদ তপাদার

  • থেকে

গবেষক এবং কলামিস্ট 

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ
জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইনে তাদের নিজেদের ভিটামাটিতে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি রোহিঙ্গারা যত দিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন যাতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চান। জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানান। তিনি কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী মধ্যে আমি দেখিনি।’

বিশ্ব ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কোন দিকে যাচ্ছে
বিশ্ব ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কোন দিকে যাচ্ছে

বিশ্ব ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কোন দিকে যাচ্ছে

বৈশ্বিক শৃঙ্খলা কিছুদিন ধরে ভেঙে পড়েছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমা আধিপত্য ক্ষয় এবং বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি চাপে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বশক্তি বহু ধারার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তনের পাটাতনে মধ্যপন্থি শক্তিগুলোর ভূমিকা ভূরাজনীতি গঠনে দিন দিন বাড়বে। চলতি সালের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি হলো সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বৈশ্বিক বিষয়ে আরও অস্থির সময় শুরু হবে কিনা? তার কিছু নীতি-পরিকল্পনা ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খল বিশ্বের জন্য আরও বিপর্যয়কর হওয়ার শঙ্কা জাগায়। ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র, প্রতিপক্ষ ও প্রতিযোগীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, তা দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির মধ্যে ভূরাজনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপার বোঝা যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিধারা আগামী বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিক। ট্রাম্পের অনাকাঙ্ক্ষিত ও পরিবর্তনপ্রবণ ব্যক্তিত্বের কারণে চীন-মার্কিন সম্পর্কে হয় উত্তেজনা বাড়বে, নতুবা বড় ধরনের দর কষাকষি দিয়ে ট্রাম্পের লেনদেন চালিত হবে।

গণতন্ত্রকে অবহেলা করে ক্ষমতার দম্ভ আর নয়!
গণতন্ত্রকে অবহেলা করে ক্ষমতার দম্ভ আর নয়!

গণতন্ত্রকে অবহেলা করে ক্ষমতার দম্ভ আর নয়!

সে জন্যই আইন কী হবে এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে রাজনীতিতে নানা মতের ও নানা পথের এত জটিলতা। সে জটিলতার কেন্দ্রীয় সমস্যা ভারসাম্যের। সম্মতি ও প্রতিবাদের এক পাল্লা যাতে অন্যটার চেয়ে বেশি ভারী হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে গণতন্ত্রের হুঁশিয়ারিতে ঢিলেমি অমার্জনীয়। ব্রিটেন ও ভারতের মতো পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রে তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসক দলকে সতর্ক থাকতে হয়, যাতে গণভোটে নির্বাচিত কোনো প্রতিষ্ঠানে বিরোধী পক্ষের সম্মান ক্ষুণ্ন না হয়। এর জন্য অনেক প্রতীকী বিধিব্যবস্থাও আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো মেনে না চললে শাসকগোষ্ঠীই জনসাধারণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন হয়।

ট্রাম্পের যুগে আমেরিকার গণতন্ত্রের আড়ালে অমাবস্যার হাতছানি
ট্রাম্পের যুগে আমেরিকার গণতন্ত্রের আড়ালে অমাবস্যার হাতছানি

ট্রাম্পের যুগে আমেরিকার গণতন্ত্রের আড়ালে অমাবস্যার হাতছানি

আর দরিদ্র মানুষের জন্য আইনের শাসন কেবল কাগজে-কলমেই আছে; কারণ তারা পর্যাপ্ত পয়সা খরচ করে ভালো আইনজীবী নিতে পারে না। তবুও আমেরিকার গণতন্ত্র অনেক দিন ধরে এমনভাবে টিকে আছে যেন এটি এক ধরনের বিশ্বাসের অংশ। খ্রিষ্টধর্মের অনেক ধারণা আমেরিকার রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। যেমন, আমেরিকা মনে করে তাদের মূল্যবোধ সব মানুষের জন্য এবং তারা সেসব মূল্যবোধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সও একই কাজ করেছে, কারণ ফ্রান্স ও আমেরিকার গণতন্ত্র দুই বিপ্লব থেকে এসেছে। আর এই বিপ্লব আলোকিত যুগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।

ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে
ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে

ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার একটি কঠিন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তবে তাদের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র-জনতা ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এই সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা অনেক উচ্চ ছিল, যা পূরণ করা স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনে কিছুটা অদক্ষতা ও দুর্বলতা দেখা গেলেও, মূলত আগের সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে রেখে যাওয়ার প্রবণতার কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি।

ভাষাহীন মানুষ বেঁচে থাকতে পারলেও বৈচিত্র্যময় কাজ করা সম্ভব নয়
ভাষাহীন মানুষ বেঁচে থাকতে পারলেও বৈচিত্র্যময় কাজ করা সম্ভব নয়

ভাষাহীন মানুষ বেঁচে থাকতে পারলেও বৈচিত্র্যময় কাজ করা সম্ভব নয়

বাঙালির সভ্যতার ভিত রচিত হয়েছে একুশের শহীদদের আত্মদানের ওপর। ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে। নির্মম সত্য কথা। মানুষের যখন ভাষা ছিল না, তখন মানুষ ও পশুর সঙ্গে পার্থক্য ছিল না।মানুষের ব্যক্তি জীবন, সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন ও জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষা মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার। এ হাতিয়ার কেড়ে নিতে চেয়েছিল শাসকরা, রুখে দিয়েছিল ভাষাশহীদরা। মানুষের মতো মানুষ হতে হলে চাই মাতৃভাষা, চাই নিজেদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি। স্বদেশ প্রেম জন্মভূমির জন্য মানুষের এক ধরনের অনুরাগপূর্ণ ভাবাবেগ। এক কথায় স্বদেশ প্রেম বলতে বোঝায় নিজের জন্মভূমিকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা।