Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

রায়হান আহমেদ তপাদার

  • সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে

গবেষক এবং কলামিস্ট 

ট্রাম্পের কারণে বদলে যাচ্ছে ইইউর কূটনীতি
ট্রাম্পের কারণে বদলে যাচ্ছে ইইউর কূটনীতি

কূটনীতি

সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের কারণে বদলে যাচ্ছে ইইউর কূটনীতি

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারের পর নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও সমর্থকদের উসকে দিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে মামলা ও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বুঝি শেষ হতে চলল; কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প দোর্দণ্ডপ্রতাপে ফিরে এসেছেন ক্ষমতার মসনদে, যা ইতিহাস গড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছিল আরেকবার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৮৮৮ সালে হেরে যান। ঠিক চার বছর পর ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে জিতে তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে ১৩২ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বেশি বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক কনভেনশন গণহত্যা বিষয়ে নিশ্চুপ কেন?
আন্তর্জাতিক কনভেনশন গণহত্যা বিষয়ে নিশ্চুপ কেন?

কূটনীতি

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক কনভেনশন গণহত্যা বিষয়ে নিশ্চুপ কেন?

মানুষে মানুষে সংঘাতের ক্ষেত্রে নিয়ম নির্ধারণের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে; কিন্তু আধুনিক যুগের আগে, বিশ্বের কোনো শক্তিরই সব দেশের ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ ছিল না কিংবা মিত্র দেশগুলোর জোট ছিল না-যাদের ওপর এই কাঙ্ক্ষিত নিয়মগুলো প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের মধ্য কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন পালন করা বাধ্যতামূলক করা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত এই সিদ্ধান্তে আসে যে, ওই চুক্তিগুলো আমলে নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক আইন পালনে বাধ্যবাধকতা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপের এই দেশগুলো সামুদ্রিক নিয়মনীতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যা ছিল যুদ্ধের আইনের প্রথম ভিত্তি। এই আইনগুলো বিংশ শতকে ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে এবং এর মধ্যে কিছু আইন আজ অবধি বলবৎ রয়েছে। দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে, মানবিক বিপর্যয় এবং গণহত্যা নির্মূলের ক্ষেত্রে এই আইনের মানবতার দিকগুলো আরও বেশি নজর কাড়ে।

মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন
মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন

কূটনীতি

সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগামী ৫ নভেম্বরে ভোট দেবেন সে দেশের নাগরিকরা। আর সেই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী কিন্তু বিজয়ী নাও হতে পারেন। মার্কিন গণতন্ত্রের আলাদা কিছু দিক রয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গণতন্ত্রকে অনুকরণীয় হিসেবে দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, স্বাধীনতা অর্জনের পরে কিংবা স্বৈরশাসককে সরিয়ে দেয়ার পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনে কোনো দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ হতে পারে। আজকের ডেমোক্র্যাটরা যেখানে বহুজাতিগত গণতন্ত্রের ধারণাকে গ্রহণ করছেন, সেখানে রিপাবলিকানরা পুরোনো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশকে আবার মহান করতে চাচ্ছেন। ফলে বহু জাতির গণতন্ত্রের ধারণা এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের ধারণা এখন সাংঘর্ষিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু’ যে দিকে ধাবিত হচ্ছে
চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু’ যে দিকে ধাবিত হচ্ছে

কূটনীতি

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু’ যে দিকে ধাবিত হচ্ছে

চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের সমর্থক; কিন্তু সম্প্রতি, নতুন এবং অনেকটাই ভিন্ন রকমের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বেইজিং ও মস্কোকে। প্রায় এক বছর আগে গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষে তারা অবতীর্ণ হয়েছে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। জুলাই মাসে, হামাস, ফাতাহ এবং অন্যান্য প্রায় এক ডজন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মিলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করে। গাজার যুদ্ধ শেষে সেখানকার প্রশাসনের জন্য একটি জাতীয় পুনর্মিলনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ওই চুক্তি হয়েছিল। এই গোষ্ঠীগুলো একই ধরনের চুক্তির জন্য ফেব্রুয়ারিতে মস্কোতেও বৈঠক করেছিল। চীন ও রাশিয়া উভয়ই ইরান, সিরিয়া আর তুরস্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তিমত্তার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো, বেইজিং বা মস্কো কেউই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে না। তাই হামাসকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে কোনো সমস্যা নেই চীন ও রাশিয়ার। তবে এই ধরনের মধ্যস্থতায় কোনো বাস্তব ফলাফল হবে কি?

ইসরায়েলের যুদ্ধ বিস্তৃতির কারণে আরও যুদ্ধ অপেক্ষা করছে
ইসরায়েলের যুদ্ধ বিস্তৃতির কারণে আরও যুদ্ধ অপেক্ষা করছে

কূটনীতি

বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলের যুদ্ধ বিস্তৃতির কারণে আরও যুদ্ধ অপেক্ষা করছে

গাজায় গণহত্যার রক্তে নেতানিয়াহুর পিপাসা মেটেনি, তাই তো লেবাননের রক্ত দিয়ে পিপাসা মেটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর তাইতো লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি লেবাননে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হামলা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। লেবাননে ইসরায়েলের হামলাকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র লেবাননে ২১ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে তারা।

জাতিসংঘে ইউনূস ও বাইডেন বৈঠক যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ
জাতিসংঘে ইউনূস ও বাইডেন বৈঠক যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ

কূটনীতি

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘে ইউনূস ও বাইডেন বৈঠক যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ

শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চেনা পরিবেশে নতুন পরিচয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। দীর্ঘদিনের পরিচিতজনদের সামনে তুলে ধরবেন তার নতুন দায়িত্ব, নতুন বাংলাদেশকে। নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের আগমন ঘিরে এখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে বেশ আলোচনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ড. ইউনূস অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তার সবচেয়ে বড় সুবিধা, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তাকে নতুন করে পরিচিত হতে হবে না এবং নতুন সরকারের বৈধতা নিয়ে কারও কাছে দেনদরবারও করতে হবে না।