Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

মো সাখাওয়াত হোসেন

  • সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি,
  • বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে
সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিএনপির ভারত বিরোধিতা কতটা যৌক্তিক
বিএনপির ভারত বিরোধিতা কতটা যৌক্তিক

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

বিএনপির ভারত বিরোধিতা কতটা যৌক্তিক

২০০৮ সালের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সরকারপ্রধান যতবার ভারত সফরে গিয়েছেন ততবারই সফর বিশ্লেষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। প্রত্যেকবার বিএনপি সফরের বিরোধিতা করে বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে সফরের সমঝোতা ও দুই দেশের মধ্যকার চুক্তিকে নিয়ে বিএনপি নেতিবাচক মন্তব্য উপস্থাপন করেছে। আচ্ছা সম্মানিত পাঠক আপনারাই বলুন তো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সব কিছুই কি অযৌক্তিক ও দেশবিরোধী? বিএনপির দৃষ্টিতে অন্তত এমনই, আচ্ছা এমন কি হতে পারে? বিএনপি এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে ভারতের বিরোধিতাও করে ফেলছে।

মানবাধিকার ও পুলিশিং
মানবাধিকার ও পুলিশিং

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মানবাধিকার ও পুলিশিং

মানবাধিকার প্রত্যয়টি অত্যন্ত স্পর্শকতার, স্পর্শকাতর এই অর্থে পরিস্থিতি এবং পরিবেশ বিবেচনায় মানবাধিকারের রকমফের পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। মানবাধিকার হচ্ছে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সমন্বয় যার ভিত্তিতে মানবিক আচরণের একটি মাপকাঠি নির্ধারিত হয় এবং সেসব স্পষ্টতই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। প্রত্যেক মানুষই জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সমান মর্যাদা এবং অধিকার লাভের স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১ম অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি বর্ণিত রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানও সুস্পষ্টভাবে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতে তাগিদ প্রদান করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মানবাধিকার কর্মীরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে ক্রসফায়ার, টর্চার, গুম ইত্যাদিতে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে একজন নাগরিক জন্মগতভাবে মানবাধিকার অধিকার লাভ করে থাকে, পাশাপাশি একজন নাগরিক তার জাতীয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদেয় অধিকার ভোগ করার অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে।

ঈদে অপরাধ প্রবণতা
ঈদে অপরাধ প্রবণতা

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে অপরাধ প্রবণতা

ঈদুল ফিতর আয়োজন উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি পর্যায়ের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে সুপ্ত বাসনায় বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা থাকে। এ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের নিমিত্তে বছরব্যাপী কর্মযজ্ঞ থাকে জনসাধারণের মধ্যে। আপনি যদি ব্যবসায়ীদের কথাই সামনে নিয়ে আসেন, তাহলে দেখা যাবে ফুটপাতের ব্যবসায়ীসহ অন্য সব শ্রেণি-পেশার ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঈদকে উপজীব্য করে ব্যবসার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে নবরূপ দিতে চেষ্টার কমতি রাখে না কেউই। ব্যবসায়ীসহ অন্য সব পর্যায়ের জনসাধারণের মধ্যে ঈদকে প্রাণবন্ত করার মানসে কর্মকাণ্ডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সে জায়গা থেকে বাংলাদেশের নিরীহ, সহজ-সরল আপামর জনসাধারণকে লক্ষ্য করে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি (অতিমাত্রায় লাভ, পণ্যের কারসাজি) লালনের চেষ্টা করে একটি বিশেষ শ্রেণি। একই ধারাবাহিকতায় অপরাধীরা ঈদকে টার্গেট করে থাকে তাদের অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে, কারণ ঈদ মৌসুমে অর্থনীতির চাকা বিস্তৃত হয় এবং অর্থনীতির সচল রূপকে কাজে লাগিয়ে তাদের মধ্যে অপরাধ করার মনোবাসনা ব্যাপৃত হয়।

ষড়যন্ত্রকারীদের মোক্ষম জবাব দিতে হবে
ষড়যন্ত্রকারীদের মোক্ষম জবাব দিতে হবে

বিশেষ লেখা

সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

ষড়যন্ত্রকারীদের মোক্ষম জবাব দিতে হবে

সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা, দুর্নীতিবাজরা, অর্থ পাচারকারীরা, লুটেরা ও দুর্বৃত্তরা। এ শ্রেণির গোষ্ঠীটি সর্বত্রই দেশকে নিয়ে দেশের মানুষদের নিয়ে মিথ্যার বেসাতি রচনা করেছে, সত্যর আড়ালে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রের জাল ফেলে তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দিতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে, সুযোগটিকে লুফে নিয়েছে এবং নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কিংবা ক্ষমতার মসনদে ছড়ি ঘুরিয়েছে। আবার এও স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশের কিছু মানুষজন এদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন করে।

বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না
বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না

সন্ত্রাসবাদ একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক প্রপঞ্চ। ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী দাভিদ এমিল দ্যুর্কেম বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ একটি সামাজিক ইস্যু এবং এটি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মানে হচ্ছে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সন্ত্রাসবাদের কার্যক্রম প্রবেশ করেছে। সন্ত্রাসবাদ অন্যান্য সচরাচর অপরাধ থেকে ব্যতিক্রম, কেননা এর কার্যক্রম সাধারণত বেসামরিক জনগণকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সন্ত্রাসবাদের ঘটনাগুলোর অধিকাংশ বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে। বেসামরিক জনগণকে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল দেখানোর স্বার্থেই, আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের মনোবলে ঘাটতি আনার লক্ষ্যেই মূলত সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসীদের যে আনাগোনা দেখা যায়, তার পেছনে রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশ রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতসংখ্যক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, রাজনৈতিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংঘাত ও সহিংসতা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংঘাত ও সহিংসতা

জাতীয় সংসদ

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংঘাত ও সহিংসতা

রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়, রাজনীতির মাধ্যমে নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তার অবকাশ ঘটে থাকে। রাজনীতিকে বাদ দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ অসম্ভব। অর্থাৎ রাজনীতি আমাদের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। সঙ্গত কারণেই রাজনীতি নিয়ে এ দেশের মানুষের আগ্রহও তুলনামূলকভাবে বেশি। রাজনীতি সচেতন মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।