মানবাধিকার ও পুলিশিং
মানবাধিকার প্রত্যয়টি অত্যন্ত স্পর্শকতার, স্পর্শকাতর এই অর্থে পরিস্থিতি এবং পরিবেশ বিবেচনায় মানবাধিকারের রকমফের পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। মানবাধিকার হচ্ছে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সমন্বয় যার ভিত্তিতে মানবিক আচরণের একটি মাপকাঠি নির্ধারিত হয় এবং সেসব স্পষ্টতই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। প্রত্যেক মানুষই জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সমান মর্যাদা এবং অধিকার লাভের স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১ম অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি বর্ণিত রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানও সুস্পষ্টভাবে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতে তাগিদ প্রদান করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মানবাধিকার কর্মীরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে ক্রসফায়ার, টর্চার, গুম ইত্যাদিতে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে একজন নাগরিক জন্মগতভাবে মানবাধিকার অধিকার লাভ করে থাকে, পাশাপাশি একজন নাগরিক তার জাতীয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদেয় অধিকার ভোগ করার অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে।