স্থানীয় সরকারে শূন্যতা : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?
কালের পরিক্রমায় অনেক কিছুই বদলে যায়। এটা খারাপ কিছু নয়; অস্বাভাবিকও নয়। তবে গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকারে যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা ভালো কিছু বয়ে আনেনি। সিটি করপোরেশন; ৬১ জেলা পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত); উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার সব মেয়র ও কাউন্সিলরকে কলমের এক খোঁচায় বরখাস্ত করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান এখন জনপ্রতিনিধিশূন্য। সেখানে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিলেও ন্যূনতম সেবা মিলছে না। প্রশাসকরা কেবল ‘রুটিন ওয়ার্ক’ করছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বরখাস্ত করা হয়নি বটে; তবে তাদের সিংহভাগ পলাতক। কারণ তারা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিলেন। ফলে জন্ম-মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা মিলছে না। দিনের পর দিন সেবাপ্রার্থীকে ঘুরতে হচ্ছে। তাদের কণ্ঠে এখন ক্ষোভ আর হতাশার সুর। অনেক স্থানে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেই।