Views Bangladesh Logo
author image

তোফায়েল আহমেদ

  • রাজনীতিবিদ

  • থেকে

আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য ও সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদ।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস

আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস

মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জনাব শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা দলের আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে ইতিহাস থেকে ২৩ জুন তারিখটি বেছে নিয়েছিলেন। কারণ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল।

ঐতিহাসিক ৭ জুন স্বাধীনতার চেতনার প্রারম্ভ বিন্দু
ঐতিহাসিক ৭ জুন স্বাধীনতার চেতনার প্রারম্ভ বিন্দু

ঐতিহাসিক ৭ জুন স্বাধীনতার চেতনার প্রারম্ভ বিন্দু

প্রতি বছর ৭ জুন, ‘৬ দফা দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় আমরা পালন করি। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ৬ দফা ও ৭ জুন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। জাতীয় জীবনে ৬ দফা ও ৭ জুনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার গণমানুষ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন স্বাধিকার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। এ দিনে মনু মিয়া, মুজিবুল্লাহসহ অসংখ্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। পরে ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সূচনালগ্নে ৬ দফা দাড়ি-কমা-সেমিকোলনসহ ১১ দফায় ধাবিত হয়ে, ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা এক দফা তথা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য
মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য

মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য

১৭ এপ্রিল আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহান তাৎপর্যময় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। শেখ মুজিবুর রহমান এই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন; কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানে কারাগারে বন্দি। তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ভয়াল ২৫ মার্চের স্মৃতি
ভয়াল ২৫ মার্চের স্মৃতি

ভয়াল ২৫ মার্চের স্মৃতি

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। মনে পড়ে, ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকদের সঙ্গে বৈঠকে কর্নেল এমএজি ওসমানী সাহেব (মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি) বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ডু ইউ থিংক দ্যাট টুমরো উইল বি এ ক্রুসিয়াল ডে?’ বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেন, ‘নো, আই থিংক, ইট উইল বি টুয়েন্টি ফিফথ্।’ তখন ওসমানী সাহেব পুনরায় তীক্ষ্ণ স্বরে তার কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘কাল তো ২৩ মার্চ। পাকিস্তান দিবস। সে উপলক্ষে ওরা কী কিছু করতে চাইবে না?’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ওরা যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কিছু করতে পারে। তার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কী নিখুঁত হিসাব বঙ্গবন্ধুর। হিসাব করেই তিনি বলেছিলেন ২৫ মার্চেই পাকিস্তানিরা ক্র্যাকডাউন করবে।

বিশ্বনেতাদেরও কাছের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু
বিশ্বনেতাদেরও কাছের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু

বিশ্বনেতাদেরও কাছের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধু জীবনব্যাপী একটিই সাধনা করেছেন, বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ। ধাপে ধাপে প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য আন্দোলন; ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ; ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন; ১৯৬৪তে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতা; ১৯৬৬তে জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্থাৎ স্বাধিকার তথা ৬ দফা; ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে মৃত্যুকূপ থেকে মুক্তমানব হয়ে বেরিয়ে এসে সর্বজনীন ভোটাধিকারের দাবি এবং সংখ্যাগুরুর অধিকার আদায়; ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভূমিধস বিজয় অর্জন ও পরিশেষে ১৯৭১-এ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

আমার স্মৃতিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
আমার স্মৃতিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

আমার স্মৃতিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের দিনগুলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কালপর্ব। এই পর্বে আইয়ুবের লৌহ শাসনের ভিত্ কাঁপিয়ে বাংলার ছাত্রসমাজ ১৯৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। প্রতি বছর জাতীয় জীবনে জানুয়ারি মাস ফিরে এলে ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের অগ্নিঝরা দিনগুলো স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে। জীবনের সেই সোনালি দিনগুলোর প্রতিটি মুহূর্তের কথা মনে পড়ে। অনেক সময় ভাবি, কী করে এটি সম্ভব হয়েছিল!