Views Bangladesh Logo
author image

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

  • অর্থনীতিবিদ

  • থেকে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টাকশাল (দ্যা সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস) 

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে

চট্টগ্রাম বন্দরের ৯টি টার্মিনালের মধ্যে একটির পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে তার সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার ভার পৃথিবীর সেরা কোনো কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে হবে এবং এই ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা মানুষকে বোঝাতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বিদেশি কোম্পানিও নির্বাচিত করে ফেলেছে- ডিপি ওয়ার্ল্ড, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। এই কোম্পানির সিইও বা প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেশে-বিদেশে ড. ইউনূসের দুইবার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং তাদের প্রস্তাবিত কাজ হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমানো, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা এবং বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র গেটওয়ে হিসেবে এর কার্যকারিতা বাড়ানো।

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

১০ মে, ২০২৫; কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ মেয়েকে হত্যা করেছে মা-বাবা। গভীর রাতে ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় মা-বাবা তাদের কন্যা নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি খাতুনকে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার লক্ষ্যে তারা বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ঠিক এক বছর পূর্বে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে আট বছর বয়সী শিশু মরিয়মকে হত্যা করে তার নিজ মা ও চাচা, কারণ একই, জমি সংক্রান্ত বিরোধ। মা রিনা বেগম মেয়ে মরিয়মকে পাশের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নতুন পোশাক পরিয়ে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে রাখেন আর চাচা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন আদৌ হবে কি না সন্দেহ
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন আদৌ হবে কি না সন্দেহ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন আদৌ হবে কি না সন্দেহ

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ড. ইউনূসের খ্যাতি আকাশচুম্বী, তার আহ্বানে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশে ছুটে এলেন, রোজার মাসে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতারও করলেন। ড. ইউনূস ঘোষণা দিলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান বললেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক বাছাইকৃত ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ার বন্দোবস্ত করতে পারবেন; কিন্তু এই ঘোষণার পর শোনা গেল গত এক বছরে নতুন করে আরও ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অথচ জাতিসংঘের মহাসচিব ও অন্তর্বর্তী সরকারের দৌড়ঝাঁপ দেখে আমাদের মনে এই প্রতীতি জন্মেছিল যে, এবার কিছু একটা হবে। হয়েছে, রোহিঙ্গাদের সমাবেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রেখে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর আত্মিক সম্পর্কের কথা বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ঠুনকো সংস্কার না, লোক দেখানো সংস্কার না, একদম ফান্ডামেন্টাল সংস্কার। এটা এমনভাবে করব আর কেউ পাল্টাতে পারবে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমার একটাই কথা- সংস্কার। সংস্কারে কী কী বিষয় হবে, সেটা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেন; কিন্তু সংস্কার না করে যেন নির্বাচন না করি।… এই সুযোগ হারাবেন না।’ তিনি চমৎকার বলেন; কিন্তু তা তিনি বাস্তব অবস্থা বিচার করে বলেন না। তিনি স্বপ্ন দেখেন; কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে হতাশ হন। কেউ যাতে সংস্কার পাল্টাতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি নেবেন- এই কথাটি বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগের কথা।

‘নাকচের সংস্কৃতি’ থেকে বাংলাদেশ কবে বেরিয়ে আসবে
‘নাকচের সংস্কৃতি’ থেকে বাংলাদেশ কবে বেরিয়ে আসবে

‘নাকচের সংস্কৃতি’ থেকে বাংলাদেশ কবে বেরিয়ে আসবে

পহেলা এপ্রিল, ২০২৫; দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ নিচ্ছে ইসলামি কট্টরপন্থিরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে ‘মিসিলিডিং’ বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে শুধু বাছাই করা কিছু ঘটনা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের মতে এতে বিশ্বে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

বিদেশি ব্র্যান্ডের ওপর হামলা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে
বিদেশি ব্র্যান্ডের ওপর হামলা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে

বিদেশি ব্র্যান্ডের ওপর হামলা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে

ইসরায়েলের বোমার আঘাতে এখন আর কেবল বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয় না, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনকণার সঙ্গে মানবদেহও আকাশে উড়ছে। অকল্পনীয় ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। ইসরায়েলকে কেউ থামাতে পারল না, পারবেও না। অসহায় সাধারণ মুসলমান অহর্নিশ সৃষ্টিকর্তার করুণা ভিক্ষা করছে, দোয়া করছে, প্রার্থনা করছে বিগত ৭৬ বছর ধরে। ছিয়াত্তর বছর ধরে ভিটেবাড়ি ছাড়া ফিলিস্তিনিরা, ২০ লাখ অধিবাসীর গাজা বিগত পনেরো মাস ধরে আমেরিকা আর ইসরায়েলের বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, প্রতিদিন লোক মরছে, আহত হচ্ছে, অসংখ্য লাশ ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে, খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। এত লাশ, কবর দেয়ার জায়গা নেই। স্বজন, সম্পদ, আশ্রয় সব হারিয়ে নিঃস্ব গাজাবাসী। এমন রোমহর্ষক দৃশ্য দেখেও জগতবাসী নির্বিকার। মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা মানুষ পদবাচ্য নয়, মানুষ হলে শত শত শিশুর মৃত্যুতে যুদ্ধ এতদিনে থেমে যেত। জগতে সৃষ্ট প্রজাতির মধ্যে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দিয়ে তা প্রমাণ করা সহজ।

...