Views Bangladesh Logo
author image

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

  • অর্থনীতিবিদ

  • থেকে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টাকশাল (দ্যা সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস) 

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ছিল। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করে জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নিমিত্তে ৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের ওপর সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মতে সংস্কার ভাবনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দেশের জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক নাগরিককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে জনগণকে এগিয়ে আসতেও আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে
অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে

অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে

বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসনা অনেক বড়, তিনি মনে করেন আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ভিত্তিতে যে চার্টার তৈরি হবে তা থাকবে অক্ষয় ও অমর, কোনো রাজনৈতিক দল চার্টার থেকে সরতে পারবে না। ড. ইউনূস জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি হলেও রাজনীতিতে তিনি কতটা পরিপক্ব তা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে। রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচের অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি শুধু স্বপ্ন বুনতে ভালোবাসেন। স্বপ্নের বাস্তবায়নও তার আরাধ্য বাসনা। এই বাসনা থেকেই তিনি জাতির জন্য কতগুলো দিকনির্দেশনা রেখে যেতে চান। তবে ঐকমত্যের স্বাক্ষরিত চার্টারের স্থায়িত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।

সব দলীয় সরকারই অন্য সরকারের অবদানকে কেন অস্বীকার করে?
সব দলীয় সরকারই অন্য সরকারের অবদানকে কেন অস্বীকার করে?

সব দলীয় সরকারই অন্য সরকারের অবদানকে কেন অস্বীকার করে?

জুলাই এবং আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিজয়ে বড় ভাগ বসাতে চায় বিএনপি; জামায়াতে ইসলামও চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জামায়াতকে স্বীকৃতি দিলেও বিএনপিকে বেশি কৃতিত্ব দিতে আগ্রহী নয়। তাই দুপক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝে বাকযুদ্ধ হয়। বিএনপি মনে করে তারা পনেরো বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে, তাদের সংগ্রাম অব্যাহত না থাকলে শুধু জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সম্ভব হতো না। কথাটি মিথ্যা নয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ার ফলে ১৬ ডিসেম্বরে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।

চিন্তা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা মিলবে কবে!
চিন্তা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা মিলবে কবে!

চিন্তা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা মিলবে কবে!

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চমৎকারভাবে গুছিয়ে কথা বলেন, তাই তার বক্তৃতা শুনে সারা পৃথিবী। তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই সবাইকে সরকারের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অবাধ বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি অতীতের দলীয় সরকারের রুদ্ধদ্বার পরিবেশ থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। শুধু প্রধান উপদেষ্টা নন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময় এই প্রতিশ্রুতি বারবার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। উপরন্তু ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট নতুন পরিবেশের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে মিডিয়ার স্বাধীনতা। কিন্তু বাস্তবে দেশে যে ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে তা প্রধান উপদেষ্টার অজ্ঞাত থাকার কথা নয়। সরকারের সমালোচনা করার উদাত্ত আহ্বান থাকা সত্ত্বেও মিডিয়া প্রকৃত তথ্য প্রকাশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংযত। ‘মব জাস্টিস’ আর ‘স্বৈরাচারের দোসর’ ট্যাগের ভয়ে বিগত পনের বছরের মতো তোষামোদি কথা বলে মিডিয়া নিজেদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করছেন। সম্পাদক পরিষদ তাই মনে করছে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে।

যে কারণে শ্বেতপত্র কোনো আলোড়ন তোলেনি
যে কারণে শ্বেতপত্র কোনো আলোড়ন তোলেনি

যে কারণে শ্বেতপত্র কোনো আলোড়ন তোলেনি

অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো সংস্কার কমিটি করেছে। ‘স্বৈরাচারের’ রেখে যাওয়া অর্থনীতির ওপর পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি সম্প্রতি একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে এবং শ্বেতপত্রের ওপর সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কমিটি শ্বেতপত্রের তথ্য-উপাত্তের ব্যাখ্যা করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য থেকে প্রতিপন্ন হয়, বিগত সরকারের আমলে ‘চামচা পুঁজিবাদ থেকেই চোরতন্ত্র’ তৈরি হয়েছিল এবং তাতে অংশ নিয়েছে রাজনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক আমলা, বিচার বিভাগসহ সবাই। শ্বেতপত্র বলছে, বিগত ১৫ বছরে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। শ্বেতপত্র দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেনি, কারণ চোর ধরা নয়, চুরির বর্ণনা দেয়াই নাকি শ্বেতপত্রের কাজ। তাই শ্বেতপত্র শুধু চুরির প্রক্রিয়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে হলে দুদক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে ধর্ণা দিতে হবে।

তাহলে কি ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসাদের পতন হলো
তাহলে কি ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসাদের পতন হলো

তাহলে কি ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসাদের পতন হলো

১৯৭১ সাল থেকে বার্থ পার্টির বাশার আল-আসাদ ও তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ সিরিয়া শাসন করেছেন। ২০০০ সালে হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর তার ছেলে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় আরোহণ করেন।