বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড: ৪১ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত, হস্তান্তর ৩৮
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪১ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন-১. ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), পিতা: কুরবান আলী, ঢাকার কাকরাইল; ২. পপি রায় (৩৬), পিতা: প্রলেনাথ রায়, মা: বাসনা রানী রায়; ২১৬ মালিবাগ, ঢাকার শান্তিবাগ, ৩. সম্পনা পোদ্দার (১১), পিতা: শিপন পোদ্দার, মা: পপি রায়; সূত্রাপুর, ঢাকার দয়াগঞ্জ; ৪. আশরাফুল ইসলাম আসিফ (২৫), পিতা: মৃত জহিরুল ইসলাম, উত্তর গোড়ান, ঢাকার খিলগাঁও, গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়; ৫. নাজিয়া আক্তার (৩১), পিতা: মোহাম্মদ আলী, মা: নাজনীন আক্তার বেবি; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা।
৬. আরহাম মোস্তফা আহামেদ (৬), পিতা: আশিক, মা: নাজিয়া আক্তার; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা; ৭. নুরুল ইসলাম (৩২), পিতা: মুসলেম; বংশাল, ঢাকার বেচারাম দেউড়ি; ৮. সম্পা সাহা (৪৬), পিতা: জয়ন্ত কুমার পোদ্দার; নবীপুর, কুমিল্লার মুরাদনগর; ৯. শান্ত হোসেন (২৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা;
১০. মেহেরা কবির দোলা (২৯), পিতা: কবির খান, ঢাকার মতিঝিল এজিবি কলোনি; ১১. জান্নাতি তাজরিন নিকিতা (২৩), পিতা: গোলাম মহিউদ্দিন; আর্কিট হাউজ, শান্তিনগর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী; ১২. লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মা: জহুরা ইসলাম, ঢাকার রমনা সার্কিট হাউজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা।
১৩. মোহাম্মদ জিহাদ (২২), পিতা: জাকির হোসেন; পূর্বচর আলিমবাগ, কালকিনি, মাদারীপুর, ১৪. কামরুল হাসান (২০), পিতা: কবির হাসান; যশোর সদর উপজেলার মধ্যপাড়া; ১৫. দিদারুল হক (২৩), পিতা: মাইনুল হক, ভোলা সদরের উত্তর পাড়া, ১৬. অ্যাড. আতাউর রহমান শামীম (৬৫), পিতা: ফজলুল রহমান, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা; ১৭. মেহেদী হাসান (২৭), পিতা: মোয়াজ্জেম মিয়া, টাঙ্গাইলে মির্জাপুর; ১৮. নুসরাত জাহান শিমু (১৯), পিতা: আব্দুল কুদ্দুস, হাতিগাড়া, কুমিল্লা সদর; ১৯. সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৬), পিতা: সৈয়দ মোবারক কাউসার; ৩৭৭ মগবাজার, ঢাকার মধুবাগ। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার শাহবাজপুরে। তার একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়।
২০. সৈয়দ মোবারক কাউসার (৪৮), পিতা: সৈয়দ আবুল কাশেম, ইতালি প্রবাসী ছিলেন; ২১. সৈয়দা আমেনা আক্তার নুর (১৩), সৈয়দ মোবারক কাওসার। শাহাবাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২২. জারিন তাসনিম প্রিয়তি (২০), পিতা: আওলাদ হোসেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর, ২৩. জুলেল গাজী (৩০), পিতা: ইসমাইল গাজী, বাড্ডার গুলশান মডেল টাউন; ২৪. প্রিয়াংকা রায় (১৮), পিতা: উত্তম কুমার রায়, মা: রুবিয়া রায়, শাহজাহানপুরের ১৩৪ মালিবাগ; ২৫. রুবি রায় (৪৮), স্বামী: উত্তম কুমার রায়।
২৬. তুষার হাওলাদার (২৩), পিতা: দিনেশ চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের ঝালকাঠি। খিলগাঁওর গোড়ানে বসবাস করতেন। চাকরি করতেন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে।
২৭. কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৫), পিতা: ওয়ালিউল্লাহ খান, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের। বর্তমানে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন, একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতেন; ২৮. সাগর (২৪), পিতা: তালেব প্রামাণিক, ফরিদপুর জেলা। সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে রাখা যেসব মরদেহের পরিচয় মিলেছে তারা হলেন-
২৯. তানজিলা নওরিন (৩৫), পিতা: নুরুল আলম, পিরোজপুর সদর; ৩০. শিপন (২১), পিতা: ফজর আলী, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কালারচর; ৩১. আলিসা (১৩), পিতা: ফোরকান; কালারচর, রমনা, ১০৪ কাকরাইল; ৩২. নাহিয়ান আমিন (১৯), পিতা: রিয়াজুল আমিন, বরিশাল সদর কাউনিয়া। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র; ৩৩. সংকল্প সান (৮), পিতা: শিপন পোদ্দার, যাত্রাবাড়ী, ২৬/সি দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া; ৩৪. লামিশা ইসলাম (২০), পিতা: নাসিরুল ইসলাম, মালিবাগের রমনা। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির মেয়ে।
৩৫. মো. নাঈম (১৮), পিতা: মো. নান্টু, বরগুনা; ৩৬. অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (২৫), দা রিপোর্ট ডটকম নিউজপোর্টালের রিপোর্টার।
এ ছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে যাদের ঠিকানা জানা যায়নি তারা হলেন- ৩৭. সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮) ও তার ভাই সৈয়দ মোবারক কাউসার, ৩৯. স্বপ্না আক্তার (৪০), ৪০. আব্দুল্লাহর মা ও ৪১, মায়শা কবির মাহি (২১), পিতা: কবির খান,
তা ছাড়াও যারা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন তারা হলেন-ফয়সাল আহমেদ (৩৮), সুজন মণ্ডল (২৪), প্রহিত (২৫), আবিনা (২৩), রাকিব হাসান (২৮), কাজী নাওশাদ হাসান আনান (২০), আজাদ আবরার (২৪), মেহেদী হাসান (৩৫), রাকিব (২৫) ও সুমাইয়া( ৩১)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইকবাল হোসেন (২৪) ও যোবায়ের (২১)।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় বেইলি রোডের সাততলার ওই ভবনে আগুন লাগে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট, খানাস, ফুকো, অ্যাম্ব্রোশিয়াসহ একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল ও দোতলায় কাপড়ের দোকান 'ক্লজেট ক্লাউড' ও 'ইলিয়েন' ছিল। এসব দোকানপাট অনেকাংশেই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে