রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ-অক্সফাম সমঝোতা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি), এবং অক্সফাম বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। রোহিঙ্গা সংকটের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা এর মূল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক প্রমাণ করে যে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জ্ঞানভিত্তিক কৌশল ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেকসই ও সম্মিলিত সমাধানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে উদারতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই গবেষণা হোস্ট কমিউনিটির চ্যালেঞ্জ ও ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরবে এবং বৈশ্বিক উদ্যোগ ও যৌথ দায়িত্বের আহ্বানকে আরও জোরদার করবে।’
অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বলেন, ‘এই সংকট শুধুই মানবিক নয়, বরং পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকও। এই সহযোগিতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির জন্য টেকসই সমাধান তৈরিতে গভীরতর উপলব্ধি তৈরি হবে।’
স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, শরণার্থী সেলের প্রধান ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদিন এবং অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও অবকাঠামো, বিশেষত কক্সবাজার অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে