বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১
নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম এবং এই স্থানকে 'বেশিরভাগই অসফল' ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আয়োজিত সমৃদ্ধি ও সুশাসন শীর্ষক সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ইউএসএআইডি ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘প্রতিটি দেশই দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করার মতো বিষয়গুলিতে লড়াই করে। সমস্যা এড়ানো নয়, সমস্যাকে সক্রিয়ভাবে স্বীকার করা এবং তা মোকাবিলা করাই হচ্ছে মূল চাবিকাঠি।’
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন।
লেমোইন প্রতিবেদনটির মূল ফলাফলগুলি সম্মেলনে তুলে ধরেন, যেসব ফলাফল দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ও শাসন সূচকগুলিকে পরিমাপ এবং অবস্থান নির্ধারণ করে। এর পাশাপাশি সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বৃহত্তর স্বাধীনতাসহ দেশগুলো উচ্চ স্তরের সমৃদ্ধি উপভোগ করে, যেখানে কম স্বাধীনতা রয়েছে সেগুলো নিম্ন স্তরের সমৃদ্ধি উপভোগ করে। শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রচারকারী দেশগুলো এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও স্বাগত জানায়।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক স্বাধীনতা জোরদার করা গেলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এই প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি উপাদান। সেই সূচকে ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে সূচকটি পরামর্শ দেয় যে স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মূল চাবিকাঠি।
এদিকে তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি উপাদানসহ নানান কারণে টানা ২২ বছর ধরে ফ্রিডম সূচকের নিম্নমুখীতে রয়েছে বাংলাদেশে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে