২০২৯ সালের পর কোনো টিকা অনুদান পাচ্ছে না বাংলাদেশ: ইপিআই
নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফলে ২০২৯ সালের পর থেকে কোনো প্রকার টিকা অনুদান পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) দেয়া তথ্য মতে, ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোগের টিকা অনুদান পাবে এবং ২০৩০ সাল থেকে সরকারকে নিজস্ব তহবিল থেকে সব ধরনের টিকা কিনতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআইর লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘বর্তমানে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে ১১টি রোগের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে টিকা দেয়া হয়। সরকার প্রতি বছর অনুদান হিসেবে বিভিন্ন উন্নত দেশ থেকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ পেয়ে থাকে। তবে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ায় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘২০২৯ সালের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে যেসব টিকা অনুদান পেত তা আর পাবে না এবং ২০৩০ সাল থেকে এসব টিকা কিনতে হবে সরকারি তহবিল থেকে।’
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে যে ১১টি রোগের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে টিকা দেয়া হয় সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে কোভিড-১৯ টিকার গুরুত্ব বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন ডা. মুরাদ।
তিনি বলেন, অনুদান না পাওয়ার ফলে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে।
‘তাছাড়া ইতোমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে জন্ম নিবন্ধনের নির্দেশনা দিয়েছে। টিকার আওতায় রয়েছেন গর্ভবতী নারী, সরাসরি যে কোনো রোগীর সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মী, ১৮ বছর তদূর্ধ্ব স্বল্পরোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ব্যক্তিসহ ৬০ বছর তদূর্ধ্ব ব্যক্তি।’
তবে ইপিআরের তথ্য মতে, মজুত থাকা টিকার মধ্যে ফাইজার ভিসিভি ৩,৩৪,১৪০ ডোজ আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই শেষ করতে হবে। ফাইজার মনোভ্যালেন্ট রয়েছে ৩,২০২,৫৬০ ডোজ যার মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে