বাংলাদেশ-ভারত বিমানযাত্রী নেমেছে চারভাগের একভাগে, কমেছে ফ্লাইটও
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হলেও যোগাযোগ চালু রয়েছে আকাশপথে। তবে চলমান কূটনৈতিক সংকটে ঢাকা থেকে কলকাতায় যাওয়া যাত্রী নেমে এসেছে চারভাগের একভাগে, কমেছে ফ্লাইট সংখ্যাও।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও ফ্লাইট সংখ্যা প্রায় চারভাগের একভাগে নেমে গেছে। গত জুলাই মাস পর্যন্ত ৮৪টি ফ্লাইট চলাচল করত, নভেম্বর সেই সংখ্যা ২৪টিতে নেমে এসেছে। একইভাবে, এসব ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন জুলাই মাসের সাত হাজার ৯৩১ জন থেকে নভেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪৬ জনে।
বাংলাদেশ থেকে কলকাতাগামী উড়োজাহাজ ও ফ্লাইটও কমেছে প্রায় একই হারে। জুলাই মাসে বিমান বাংলাদেশের ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইট চলেছিল ৫৯টি, যা নভেম্বরে নেমে এসেছে ২৮টিতে। ঢাকা থেকে ইন্ডিগোর ফ্লাইট জুলাইতে কলকাতায় গিয়েছিল ৬২টি, নভেম্বরে তা ৪৪টিতে নেমে এসেছে।
কলকাতা-ঢাকা ফ্লাইট পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করেছে ভারতীয় এয়ারলাইন্স সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিশীলতা ও সংকটে ভ্রমণ করছেন কম যাত্রী। দু’দেশের কূটনৈতিক অস্থিশীলতায় বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা পেতে সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় বাংলাদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছেন ভারতীয়রাও।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ ১০ আগস্ট দুটি দৈনিক ফ্লাইটের পরিবর্তে একটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৭ আগস্ট থেকে দৈনিক তিনটি ফ্লাইটের পরিবর্তে একটি বহাল রেখেছে। অন্তত ৫০ শতাংশ যাত্রী না হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে এয়ারলাইন্সগুলোর। ফলে এ নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগও।
অন্যদিকে গত বছর শীতকালীন সময়সূচিতে কলকাতা ও চেন্নাই থেকে ঢাকায় বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। যা বাংলাদেশের নাগরিকদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাতায়াতকে খুব সহজ করতো বলে সংস্থাটির দাবি। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণকে সহজ করত। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতাবস্থা, বিশেষত বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে পরিকল্পনাটি স্থগিত রয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে