আন্তর্জাতিক সাঁওতাল সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব অনিশ্চিত
আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ভারতের শিলিগুড়ি সংলগ্ন সন্তোষিণী বিদ্যাচক্র হাইস্কুল মাঠে শুরু হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাঁওতাল কাউন্সিল অনুষ্ঠান’। দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেপাল, ভুটান ও আমেরিকার সাঁওতাল প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।
আয়োজকরা বলছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কেউ অংশ নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। যদি বাংলাদেশ অংশ নেয়, তাহলে আমাদের ভালো লাগবে। তবে আমরা এখনো আশাবাদী।’
প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন শুরুর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশে আয়োজনের, তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তা সরিয়ে আনা হয়েছে ভারতের ফাঁসিদেওয়ায়। আয়োজকদের মতে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়ায় কনফারেন্স হলে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের যাতায়াতে সুবিধা হবে।
ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও মাটিগাড়া—এই চারটি ব্লকে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সাঁওতাল ও অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার, বসবাস করেন ফাঁসিদেওয়ায়। তাই এলাকাটি সম্মেলনের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাঁওতাল কাউন্সিলের সদস্য ও ফাঁসিদেওয়ার প্রাক্তন বিধায়ক ছোটন কিসকু বলেন, ‘সম্মেলনে সব দেশের প্রতিনিধি তাদের নিজ নিজ দাবি তুলে ধরবেন। আমরাও জমির অধিকারসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরব।’
সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
এই সম্মেলনে সাঁওতাল সমাজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। আন্তর্জাতিক এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাঁওতাল সমাজের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে আনার লক্ষ্য নিয়েই আয়োজকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে