বিশ্বসেরা ৫০ ক্লাইমেট-টেক স্টার্টআপের তালিকায় বাংলাদেশের টেট্রা
টেট্রা বাংলাদের একটি ক্লাইমেট-টেক স্টার্টআপ। ইতোমধ্যে এই স্টার্টআপটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতিও। এমনকি বিশ্বসেরা ৫০টি ক্লাইমেট টেক স্টার্টআপের মধ্যে এটি জায়গা করে নিয়েছে, যা ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের করা তালিকায় প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া এই স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠা করেন সাবরিনা রশিদ সেওঁতি। তার এই স্টার্টআপটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পানি সম্পদ কৌশল, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, এনার্জি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করা। তাই তিনি পরিবেশ এবং পানি সম্পদ কৌশল নিয়ে কাজ করছেন।
আরও জানা গেছে, সেওঁতির ক্লাইমেট-টেক স্টার্টআপটি বিশ্বের মানচিত্রে এগিয়ে যেতে চায়। এজন্য তার টেট্রা অর্থাৎ স্টার্টআপটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বের পরিবেশ, পানি, জলবায়ু ও জ্বালানি বিষয়ক সমস্যাগুলোকে কীভাবে প্রযুক্তিগতভাবে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে ভিউজ বাংলাদেশকে সেওঁতি বলেন, বাংলাদেশের পানি বিষয়ক সমস্যাগুলো আমাকে অনেক আগে থেকেই ভাবায়। এ সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান করতেই টেট্রা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এদিকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা ছাড়াও পলিসি এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে দেশের পরিবেশ, জলবায়ু, জ্বালানি এবং পানি সম্পর্কিত ইস্যুগুলোতে নীতি নির্ধারণী হিসেবে কাজ করতে চান সেওঁতি।
এ ছাড়াও টেট্রার এই প্রতিষ্ঠাতার ঝুলিতে রয়েছে নানান অর্জন। ২০১৬ সালে ব্র্যাক আয়োজিত প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় অগ্নি নিরাপত্তার ওপর প্রজেষ্ট উপস্থাপন করে বিজয়ী হন সেওঁতি। ২০১৭ সালে জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় বাজিমাত আইডিয়া দিয়ে বিজয়ী হন তিনি। ২০১৮ সালে ইউএনডিপি ও ইউনিলিভার সেইফ ওয়াটার চ্যালেঞ্জে প্রথম হন এবং একই বছরে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন আয়োজিত হাল্ট প্রাইজের রিজিওনাল ফাইনালিস্ট খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৮-১৯ সালে ওয়াশ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জে জয়ী হন তিনি। এমনকি ২০১৬ সালে এশিয়ার সব থেকে বড় ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশ। সেখানে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
তা ছাড়াও ইয়ুথ পলিসি ফোরামের এনার্জি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার পলিসি টিমে লিডার হিসেবে কাজ করছেন সেওঁতি।
আরও জানা গেছে, সাবরিনা রশিদ সেওঁতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করেন। আর কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা থেকে স্নাতকোত্তর করেন তিনি।
ময়মনসিংহে জন্ম নেয়া সেওঁতি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি কানাডায় সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতেও কাজ করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে