জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারও বেরিয়ে এলো বাংলাদেশের ‘আসল চেহারা’
সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হওয়া সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাটিংয়ের আসল চেহারা বেরিয়ে এলো বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো একদিন ব্যাটিং করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। ৬১ ওভার খেলে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তোলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বেনেট ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। কারেন ৪৯ বলে করেন ১৭ রান।
জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণ যে আহামরি কিছু ছিল, তা কিন্তু নয়। নিজেদের অসহায়ত্বই ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। আবারও ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দৃষ্টিকটু শট খেলে আউট হন। মুজারাবানির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন শান্ত। ফলে উইকেটে থিতু হওয়ার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অধিনায়ক। ৬৯ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। যেভাবে আউট হলেন শান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
দলের সেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের আউটটি ছিল আরও বেশি দৃষ্টিকটু। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মুশফিক। তার মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার যে বলে আউট হলেন, সেটি মেনে নেয়ার মতো নয়। টেস্টে বিশেষজ্ঞ মুমিনুল হকের উল্টো রথে চড়লেও শূন্য রানে ‘জীবন’ পান। কোনো রান না করা মুমিনুলের ক্যাচ ড্রপ হয়। মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সেই জীবন পেয়ে মুমিনুল খেললেন ৫৬ রানের ইনিংস। এটি বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
বিশেষজ্ঞ ও দলের সেরা ব্যাটার শান্ত, মুশফিক ও মুমিনুল আউট হওয়ায় বাংলাদেশের যে ব্যাটিং ধস নামে, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষের দিকে জাকের আলী ২৮ রানের ইনিংস খেলে লড়াই না করলে হয়তো আরও আগেই অলআউট হতে পারতো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে মুজারাবানি ও মাসাকাদজা ৩টি করে উইকেট নেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে