বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা দিতে পারে বাংলালিংক

আগেই জানা গেছে, ইলন মাস্কের স্টারলিংক শিগগিরই বাংলাদেশে সেবা চালু করতে যাচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দুবাইভিত্তিক টেলিকম কোম্পানি ভিওন লিমিটেড স্টারলিংকের সঙ্গে স্যাটেলাইট নির্ভর সেলুলার সেবা প্রসারের জন্য নতুন বাজারে অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা করেছে।

বাংলালিংকের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ভিওন এবং স্টারলিংকের মধ্যে অংশীদারিত্ব চূড়ান্ত হলে বাংলালিংক এই সেবা দেশে প্রদান করবে। বাংলালিংক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর, যেটি ভিওনের মালিকানাধীন।

দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে এক সাক্ষাৎকারে ভিওনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তেরজিওগ্লু বলেন, ‘ভিওন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানে স্পেস-ভিত্তিক সংযোগ প্রদান করতে চায়, যেখানে স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে পারে না।’

স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্কের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে, তেরজিওগ্লু বলেন, ‘এটি শুধু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নয় বরং বন্যা বা জ্বালানি সংকটের সময়সহ, যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হই সেসব যায়গায় স্পেস-ভিত্তিক ও স্থলভিত্তিক উভয় নেটওয়ার্কেরই প্রয়োজন রয়েছে।’

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে ভিওনের ইউক্রেনীয় সাবসিডিয়ারি এবং দেশটির বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর কিভস্টার পিজেএসসি স্টারলিংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।

এই বছর শেষ প্রান্তিকে স্যাটেলাইট-টু-সেল টেক্সট মেসেজিং সেবা এবং পরবর্তী ধাপে ভয়েস ও ডেটা সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্টারলিংক এমন কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে একটি, যারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভোক্তা স্মার্টফোনে সংযোগ প্রদানের চেষ্টা করছে। তবে এই সেবা এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক হারে চালু হয়নি।

যেকোনো চুক্তি বাস্তবায়নে স্পেকট্রাম বরাদ্দ প্রয়োজন, যা ব্যয়বহুল এবং সবসময় সহজলভ্য নয় বলে তেরজিওগ্লু উল্লেখ করেন।

ভিওনের প্রবৃদ্ধির কৌশল হলো, টেলিকম সংযোগের সুবিধাবঞ্চিত বাজারগুলোতে প্রবেশ করা এবং সেখানে আর্থিক সেবা ও বিনোদন সেগমেন্ট প্রসারিত করা।

তেরজিওগ্লু বলেন, ‘ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া এবং মেক্সিকোর মতো বাজারে আমরা আগ্রহী। আমরা এসব দেশের কম কার্যকর সম্পদগুলোর প্রতি ক্রমাগত নজর রাখছি।’