Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

ব্যাংক একীভূতকরণ করতে কেউ যেন ফায়দা লুটতে না পারে

Md Main  Uddin

মো. মাইন উদ্দিন

বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতে কিছু ব্যাংককে একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। অনেক দিন ধরেই দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যবসায়রত কোনো কোনো ব্যাংক ভালোভাবে চলছিল না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই মূলত ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একীভূতকরণ বলতে আমরা এমন একটি অবস্থাকে বুঝি যেখানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করা। এখানে এমন কোনো বিষয় নেই যে সব সময় দুর্বলের সঙ্গে সবলের অথবা সবলের সঙ্গে দুর্বলের একীভূতকরণ করা হয়। একই পর্যায়ের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও একীভূতকরণ হতে পারে। দুটি দুর্বল প্রতিষ্ঠান এবং দুটি সবল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূতকরণ হতে পারে। একীভূতকরণের একটি প্রধান উদ্দেশ্য থাকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বাড়ানোর মাধ্যমে মার্কেটে নিজেদের অবস্থানকে আগের তুলনায় বাড়ানো অথবা শক্তিশালী করা। আর কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যখন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয় তাকে অধিগ্রহণ বলা হয়। সাধারণত যে প্রতিষ্ঠান ভালো তার নামেই অধিগ্রহণকৃত প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কাযৃক্রম চালাতে থাকে। একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য থাকে মুনাফা অর্জনের পথ নিশ্চিত করা। অথবা দুর্বল কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তাকে মার্কেট থেকে বের না করে দিয়ে তাকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে চলতে দেয়া।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ব্যাংকের যে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে। বাজারের চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতেই একীভূতকরণ হওয়া উচিত; কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বাংলাদেশের ব্যাংকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বেশ কিছু ব্যাংক বাজার প্রতিযোগিতার টিকে থাকার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এসব ব্যাংক ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই এসব ব্যাংকের ব্যাপারে বিকল্প চিন্তা-ভাবনার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ের চাহিদাকেই মেনে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো অনুমোদনকালে এটা বিবেচনা করা হয়নি যে আমাদের অর্থনীতিতে এতগুলো ব্যাংক প্রয়োজন আছে কি না। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ব্যক্তি খাতে সর্বশেষ ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দানকালে বলেছিলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। তারপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হলো; কিন্তু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণ কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। তাই এগুলোর অনুমোদন দানকালে অর্থনীতির আকার এবং চাহিদাকে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।

আমাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল দেশের অর্থনীতি এতগুলো ব্যাংক ধারণ করার মতো সক্ষমতা রাখে কি না। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হলে বাজারে অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয় যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ২০১০ সালের পর যেসব নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেকই সংকটে পতিত হয়েছে। এসব দুর্বল ব্যাংকের অনেকই দেউলিয়া হয়ে বাজার থেকে চলে যাবার কথা ছিল; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক চায় না দেশের কোনো ব্যাংক ব্যর্থ বা দেউলিয়া হোক। সরকারও চায় না কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হোক। ফলে এসব দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিকল্প পন্থা অনুসন্ধানের প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই বিকল্প ব্যবস্থাই হচ্ছে এক ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংককে একীভূতকরণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যবসায়রত ৭ থেকে ১০টি ব্যাংক ভালোভাবে চলছে না। তাই এগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদিও ৭ থেকে ১০ দুর্বল ব্যাংক ভালোভাবে চলছে না বলে স্বীকার করেছে কিন্তু আসলে এমন দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যা বাস্তবে আরও অনেক বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত হবার জন্য এক ধরনের চাপই দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা আছে কি না। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করার জন্য প্রচুর কাজ করতে হয়। নতুন নতুন বিধিবিধান তৈরি করতে হয়। বাংলাদেশে ব্যাংক একীভূতকরণের চর্চাটা খুবই কম। নিকট অতীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থাকে একীভূত করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড গঠন করা হয়। তারপর আর কোনো ব্যাংককে একীভূত করা হয়নি।

তাই ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। সবল ব্যাংক তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করছে নাকি স্বেচ্ছায় এই উদ্যোগ নিচ্ছে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একীভূতকরণ করা যাবে না। একীভূত করার পর দুর্বল ব্যাংককে কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে সেটিও দেখার বিষয় বটে। কোনো ব্যাংকই অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়ে অবমূল্যায়িত হতে চাইবে না।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার দেখা গেছে, তুলনামূলক দুর্বল কোনো ব্যাংক যদি সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয় তাহলে দুর্বল ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা বেশি মুনাফা লাভের আশায় বেশি বেশি শেয়ার ক্রয় করতে শুরু করে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য বেড়ে যায়। অথচ বাস্তব অবস্থায় শেয়ারের দাম এতটা বৃদ্ধি পাবার কথা ছিল না। আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেট মৌল ভিত্তি দ্বারা পরিচালিত হয় না। আমাদের দেশের শেয়ারবাজারে গুজব বেশি কাজ করে। এর বাইরে কিছু মানুষ আছে যারা নানাভাবে শেয়ার বাজারকে ম্যানিপুলেট করে স্বার্থ হাসিল করে নেয়। সামান্য কিছু মানুষ শেয়ার বাজার থেকে বেনিফিটেড হয়। আর বেশির ভাগ শেয়ার হোল্ডার লোকসানের মুখোমুখি হয়। ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক হতে হবে।

দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ হিসাব করার সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। পরীক্ষিত অডিট ফার্ম দিয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে হিসাবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। একীভূতকরণের প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড গঠন করা হয়েছিল সেই লক্ষ্য কতটা অর্জিত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ব্যাংক একীভূতকরণের মূল উদ্দেশ্য থাকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা; কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ৪০ শতাংশ। এক্ষেত্রে একীভূতকরণের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। একীভূতকরণের যে প্রধান উদ্দেশ্য খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো তা এ ক্ষেত্রে সাধিত হয়নি। আমাদের দেশে দুটি ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ যে খুব একটা সফল হয়নি তার প্রকৃত উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড। অনেকে হয়তো বলতে পারেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক যেহেতু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংক তাই সেখানে প্রচুর পরিমাণে দুর্নীতি-অনিয়ম বিরাজমান রয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের মাঝে অদক্ষতার ব্যাপারটিও আছে; কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো একীভূত হবার পর তারা কেমন পারফর্ম করে।

যেহেতু আমাদের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই তাই প্রয়োজনে বিদেশ থেকে এক্সপার্ট এনে কাজটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যাংক একীভূতকরণ করতে গিয়ে স্থানীয়দের কেউ ফায়দা লুটতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। হয়তো দেখা গেলো, কিছু মানুষ একটি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা সময় মতো ফেরত দিচ্ছে না। যে কারণে ব্যাংকটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবার একীভূতকরণের পর সেই মানুষগুলোই তাদের কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছেড়ে দিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। এ ধরনের প্রবণতা কঠোর হস্তে প্রতিহত করতে হবে। কেউ যদি এভাবে ডাবল বেনিফিট নিতে পারে তাহলে একীভূতকরণের ব্যাপারে আমাদের সদিচ্ছাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সত্যি সদিচ্ছা নিয়ে একীভূতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় তাহলে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের মনে যেনো এ ধরনের কোনো ধারনার সৃষ্টি না হয় যে একীভূতকরণ আসলে লোক দেখানো একটি প্রক্রিয়া মাত্র।

দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত হবার পর কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের মনঃস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে। এটা হলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই কোনো দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত করার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতার মনোভাবে নিয়ে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। প্রশাসনিক দিক থেকে যে কোনো প্রকার বৈরী আচরণ কারও প্রতি করা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সবার প্রতি আইন অনুযায়ী সমআচরণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান একীভূত করার সময় বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কেউ চাকরিচ্যূত হবেন না; কিন্তু এই অঙ্গীকার অধিকাংশ সময়ই রক্ষিত হয় না। কারণ যে কোনো প্রতিষ্ঠান লাভজনকতা অর্জনের জন্য কর্মীদের ছাঁটাই করে থাকে। দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত করা হলে সেখানে উদ্বৃত্ত লোকবলের সৃষ্টি হয়। ফলে ছাঁটাই করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। মুনাফা অর্জনের একটি বড় উপায় হচ্ছে কর্মী ছাঁটাইকরণ। কাজেই দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত করা হলে সেখানে কিছু উদ্বৃত্ত কর্মীর সৃষ্টি হবে। তাদের চাকরিচ্যুতির আশঙ্কা থাকবেই। আর সব কর্মীর একই রকম যোগ্যতাও থাকে না। তুলনামূলক কম যোগ্য কর্মীর চাকরিচ্যুতির আশঙ্কা থাকে।

দুর্বল প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত লোকসান দিতে থাকে। এই লোকসান থেকে তাদের কর্মীদের অদক্ষতার বিষয়টি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। যেসব দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে সেই প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী ছাঁটাই হতে পারে এমন আশঙ্কা থাকবেই। একীভূত হবার পর নতুন প্রতিষ্ঠানটি যখন দেখবে যে তার মুনাফা কমে যাচ্ছে তখন সে তুলনামূলক কম লোকবল দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেষ্টা করবে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এই অবস্থাকে মেনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অবশ্য ব্যাংকগুলোকে চেষ্টা করতে হবে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মরত লোকবলকে যাতে কাজে লাগানো যায়। কারণ এই দুর্মূল্যের বাজারে একজন মানুষের চাকরি চলে যাওয়া বেদনাদায়ক। এক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কর্মরত লোকবলের জন্য পারফরম্যান্স টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। তাদের বলা যেতে পারে আপনি আগামীতে এই এই কাজ করবেন। যদি কাজগুলো সঠিকভাবে করতে না পারেন তাহলে আপনার চাকরি থাকবে না। এ ধরনের টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়া হলে কর্মীরা সেই টার্গেট অর্জন করার জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালাবে। যারা সফল হবেন তাদের চাকরি থাকবে। আর যারা ব্যর্থ হবেন তারা চলে যাবেন। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণের মাধ্যমে এই খাতের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায় তাই সুষ্ঠু পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোতে হবে। যাতে কোনোভাবেই এই উদ্যোগ ব্যর্থ না হয়।

লেখক: অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ