বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষ তিন প্রশাসক অপসারণ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিনকে অপসারণ করা হয়েছে ।একই সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকেও অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদেরকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ড. শুচিতা শারমিনকে তার পূর্বের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পুনঃবহাল করা হয়েছে। উপ-উপাচার্যকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কোষাধ্যক্ষকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের দায়িত্বে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উপাচার্য অপসারণের ঘোষণার পর আন্দোলনরত ১২ শিক্ষার্থী তাদের আমরণ অনশন শেষ করেছেন। রাতেই তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।
এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকায় অবস্থানরত উপাচার্য ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। তবে তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। শিক্ষার্থীরা তাকে নানা প্রশ্নে ঘিরে ফেলে। বিশেষ করে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা জিমিকে অর্থ সহায়তা না দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। জেবুন্নেছা সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রতিবাদেই আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মধ্যরাতে অনশন শুরু করে।
এদিকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এই সড়কটি কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ রুট হওয়ায় দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য , অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর ববির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে আট মাসও পদে থাকতে পারেননি। গত ২২ এপ্রিল চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে