ইন্টারনেট ও ফোনসেবায় বর্ধিত ভ্যাট কমানোর আহ্বান বেসিসের
ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবায় বর্ধিত ভ্যাট কমানোর আবেদন জানিয়েছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্যিক সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে পাঠানো চিঠিতে বেসিস বলেছে, মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ টেলিফোন পরিষেবায় ভ্যাটের হার ২৩ শতাংশ থেকে বাড়ানো হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবায় ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
সংস্থাটির যুক্তি, এ ধরনের বৃদ্ধি প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
২০ শতাংশ নারীসহ তিন লাখেরও বেশি তরুণ পেশাদার ও ছয় লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার ইন্টারনেট পরিষেবায় খুব বেশি নির্ভর করে আইটি সেক্টরে নিযুক্ত রয়েছেন৷
বেসিস সতর্ক করেছে, ভ্যাট বৃদ্ধি তাদের কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অধ্যাদেশের ভ্যাট সমন্বয়গুলো দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ই-কমার্স, এফ-কমার্স এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগের তিন কোটি টাকার থ্রেশহোল্ডের পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকার বার্ষিক টার্নওভারসহ আইটি কোম্পানিগুলোকে ভ্যাট নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা আরোপের সিদ্ধান্তকেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বড় বাধা হিসাবে দেখছে বেসিস।
সরকারকে এই ব্যবস্থাগুলো পুনর্বিবেচনা এবং ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবাগুলোতে ভ্যাট বৃদ্ধি প্রত্যাহার এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির সমর্থনে প্রযুক্তি-চালিত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য টার্নওভার থ্রেশহোল্ড ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে