সাকিবকে ফেরাতে চান বিসিবিপ্রধান
বাংলাদেশের সামনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। এই মেগা আসর সামনে রেখে সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ দলে ফেরাতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলানোর চেষ্টা করবেন তিনি। এ জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি।
শুক্রবার মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের খেলা চলাকালীন সংবাদ মাধ্যমকে এমন কথাই বলেছেন ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া তিনি জানান, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাজমুল হোসেন শান্তই থাকবেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
সরকারের পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফেরেননি সাকিব। বিদেশে থেকেই বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ক্রিকেট সিরিজ খেলেছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। গত বছর ভারত সফরের সময় টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন এই বিশ্ব তারকা। এ সময় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিজের ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এর আগে গত অক্টোবরে মিরপুরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। বিদায়ী ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে দুবাই পর্যন্ত এসেও ছিলেন; কিন্তু তার বিরুদ্ধে ঢাকায় আন্দোলন হয়েছে। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে সাকিবকে দেশে আসতে বারণ করা হয়। পরে আর বিদায়ী টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি তার।
এরপর স্বেচ্ছায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও খেলেননি। বর্তমানে বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বিপিএলে চিটাগং কিংসের সঙ্গে থাকলেও দেশে আসেননি তিনি। এ ছাড়া তার বোলিং অ্যাকশনের ক্রুটিও ধরা পড়েছে। বাস্তবতা বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা কম। তবুও বিসিবি সভাপতি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
সাকিব প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘একটা ছেলে ১৭ বছর ধরে খেলছে, এত পারফর্ম করেছে। আমি চেয়েছিলাম তার বিদায়টা ভালো হোক। সেটা হয়নি...। এখন যে অবস্থা, গত কয়েকটি সিরিজ সে খেলেনি, সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ছিল না। তার জন্য কঠিন (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা)।’
তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিতই কথা হতো। গত কিছুদিনে কথা হয়নি। সে অবশ্যই খেলতে চায়। এই বিপিএলের মধ্যেই ওকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। সাকিব এখনও অবসর নেয়নি, তেমন কিছু হয়নি। যদি অবসর নিয়ে ফেলত, তাহলে বলতাম যে সাকিব এখন আর নেই। তার যে ইস্যুগুলো আছে। সে তো মাঝেমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে ওইটা কী করা যায়।
ওই ব্যাপারগুলোয় আমার সাহায্য করার কোনো ব্যাপার নেই। এটা আগেও বলেছি, এখনো বলছি। এটা শুধু সরকারি পর্যায় থেকে যদি নিদের্শনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে, ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারপর তার ফিটনেস, মানসিক অবস্থা, এসব নির্বাচক কমিটি দেখে ঠিক করবে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে