Views Bangladesh Logo

গানের সুর ও কবিতায় রমনায় বর্ষবরণ

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

গানের সুর ও কবিতায় শেষ হলো এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ছয়টায় রমনার বটমূলে আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। প্রায় ১০ মিনিট চলে এই অমৃত সুর। তারপর গানের পর্ব শুরু হয়। যেখানে ঠাই পায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, লালন ও বাংলাদেশের লোকজ ধারার বেশ কিছু গান।

একক ও সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করা গানগুলো ছিল-আধার রজনী পোহালো, বিমল আনন্দে জাগো রে, তোমার সুর শোনায়ে যে ঘুম ভাঙাও, প্রেমের দুয়ার খোলো, ওঠো ওঠো রে, অধরা দিলো ধরা, আজ প্রথম আলোক, আনো আনো অমৃত বারি, এ পথ গেছে কোনখানে, মেঘবিহীন খর বৈশাখে, ওরে মন তোর বিজনে, বহে নিরন্তর আনন্দধারা, আমার মন চেয়ে রয় মনে মনে, নম নম নম বাংলাদেশ মম, আমি বাউল হলাম ধূলির পথে, আমার সোনারই বাংলায়, এই না বাংলাদেশের গান গাইতে রে দয়াল, কারার ওই লৌহ-কপাট, বিপ্লবের রক্তরাঙা ঝাণ্ডা ওড়ে আকাশে, নাই নাই ভয় হবেই হবেই জয়, মনে ময়লা থাকে যদি, যে পথে মরণ ফাঁসি-লালন ও আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল।

এর ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি করেছেন নন্দিত অভিনেতা ও বাচিক শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং রামেন্দু মজুমদার। এ ছাড়াও ছায়ানটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য সারওয়ার আলী।

এরপর সকাল সাড়ে আটটার দিকে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন শতাধিক ক্ষুদে ও বড় শিল্পী। দীর্ঘ আড়াই মাস অনুশীলনের পর তারা চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী রমনার বটমূলের মঞ্চে উঠেন। দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ