বিমানবন্দরে ভুটানের রাজাকে অভ্যর্থনা জানালেন রাষ্ট্রপতি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুককে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ভুটানের রাজাকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান এবং ভুটানের রানী জেটসান পেমা ওয়াংচুককে স্বাগত জানান বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা। রাজা নামগিয়েল ওয়াংচুক জাতীয় সংগীতের পর বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজও পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ‘মিলিটারি হার্ডওয়্যার অ্যাকজিবিশন ২০২৪’-এ যোগ দেন।
রাজা মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে একটি বৃক্ষরোপণ করবেন।
রাজা বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি।
জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন। ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) তিনি কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন। সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বীকৃতির বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান। সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয় এবং ফলস্বরূপ, ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে