বিদায়ী ভাষণে উদীয়মান অভিজাততন্ত্র নিয়ে বাইডেনের হুঁশিয়ারি
বিদায়ী ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের অতি-ধনীদের ক্রমবর্ধমান শক্তি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, একটি উদীয়মান অভিজাততন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।
বাইডেনের এই ভাষণটি এমন সময়ে আসল যখন বাইডেন বিদায় নিচ্ছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পকে পরাজিত করার পর বাইডেনের এক মেয়াদের দায়িত্ব শেষ হয়। তবে গত গ্রীষ্মে রাজনীতি থেকে তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর ফের ক্ষমতায় ফিরছেন ট্রাম্প।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ওভাল অফিস থেকে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আজ আমেরিকায় এমন একটি অভিজাততন্ত্র গড়ে উঠছে, যার প্রভাব আমাদের পুরো গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার এবং সবার জন্য সমান সুযোগের ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
এ সময় “ধ্বংসপ্রায়” মুক্ত গণমাধ্যম, সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের প্রভাব, বাড়তে থাকা ভুল তথ্য এবং রাজনীতি থেকে কালো অর্থ সরানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে সংবিধান সংশোধনেরও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেন কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অপরাধ করলে তার দায় থেকে মুক্তি না পান।
এ ছাড়াও বিদায়ী ভাষণে বাইডেন তার প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিনিয়োগ, ওষুধের দাম কমানোর উদ্যোগ, মহামারির পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেয়া, বড় ধরনের সংরক্ষণ প্রকল্প এবং যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাত পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা।
এদিকে এর আগেই ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেন বাইডেন, যা তার প্রেসিডেন্সির একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হতে পারে। ১৫ মাস ধরে গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধ করতে গত বসন্তে এই চুক্তির প্রস্তাব করেছিলেন বাইডেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে