বিজয় এক্সপ্রেস: দুর্ঘটনার ‘সম্ভাব্য’ দুই কারণ চিহ্নিত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার তিন দিন পর দুর্ঘটনার কারণ সনাক্তের কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত রোববার (১৭ মার্চ) দুর্ঘটনার পরপর ‘গরমে লাইন বেঁকে যাওয়ার’ বিষয়টি আলোচনায় এলেও তদন্ত কমিটির সদস্যরা এই বিষয়টি উল্লেখ করেননি।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কমিটি সেতুর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং সেতুর বিয়ারিং প্লেট খুলে ফেলার কথা উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
রোববার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কুমিল্লার হাসানপুর স্টেশন সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হয়।ট্রেনটি ময়মনসিংহ থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে ১৮টি বগি ছিল। এর মধ্যে ৯টি লাইন ছাড়িয়ে আশেপাশে পড়ে যায়। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
তবে কেবল চট্টগ্রামের দিকে নয়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথেও ট্রেন চলাচল সম্ভব ছিল না। কারণ, কিছু বগি এই লাইনেও পড়ে ছিল।
দুর্ঘটনার ব্যাপকতা এতটাই বেশি ছিল যে তৃতীয় দিন বুধবার (২০ মার্চ) রাত পর্যন্ত সব কটি বগি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় একটি লাইনে ট্রেন চলায় অপর দিক থেকে আসা ট্রেনগুলোকে আশেপাশের স্টেশন বা আউটারে ক্রসিং দিতে হচ্ছে। এতে সময় বিপর্যয় ঘটেছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দুর্ঘটনায় প্রায় আধা কিলোমিটার রেলপথ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। লাইনচ্যুত বগিগুলো পার্শ্ববর্তী মাঠে ও বাড়িতে গিয়েও পড়েছে।
ঘটনার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের হুক খুলে গেলে চালক ও ইঞ্জিনটি রক্ষা পায়। পরে চালক ট্রেনের ইঞ্জিনটিকে হাসানপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে ঘটনাটি তদন্তে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে কমিটি করে রেলওয়ে। কমিটির অপর তিন সদস্য হলেন রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. নির্ঝর এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে