শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপি ও সমমনা জোটের
বিভিন্ন দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপ দিতে খুব শিগগিরই মিত্র দলগুলোর সাথে যৌথ কর্মসূচি ঘোষণায় প্রস্তুত বিএনপি, যার মূল দাবি হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে যুক্তিসঙ্গত সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর ১২-দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, ‘আমরা, বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে খুব শিগগিরই অতীতের মতো আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দলের এ বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।
এ বৈঠকের মাধ্যমে ঐক্যকে সুসংহত করতে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে মতামত জানতে আওয়ামী লীগ শাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করল বিএনপি।
বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে অংশ নেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান। সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করে দলটি।
আগামী দিনে অন্যান্য সমমনা দল ও জোটের সঙ্গেও বৈঠক করবে বিএনপি। বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি এবং জনগণের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যদি কোনো কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেই, সেগুলো পরে ঘোষণা করবো’।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাঁসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে ১২ দলীয় জোট বিএনপির সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাঁসিবাদের পতন নিশ্চিতের সংগ্রামে অত্যন্ত সাহসী এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে জোটটি’।
মোস্তফা জামাল হায়দার জানান, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তবে, আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি’।
তিনি আরও বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে