Views Bangladesh Logo

বইমেলায় গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব, বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা

রাজনৈতিক অস্থিরতা-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অতীত হলো ২০২৪ সাল। জুলাই-আগস্টে ঘটে গেল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান। পতন হলো দীর্ঘসময়ের স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ ও আওয়ামী দুর্বৃত্তায়নের। রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও গণঅভ্যুত্থানের সমান প্রভাব লক্ষ করা গেছে। শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-মননশীল প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে গণঅভ্যুত্থানের ব্যাপক প্রভাব।

এর মধ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। বইমেলা কেমন হবে, মেলায় গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও এর প্রভাব কী ধরনের হতে পারে- এ নিয়ে লেখক-প্রকাশকরা দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন মতামত। এবারের মেলায় মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি নব্বই ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ব্যাপক প্রভাব থাকবে বলে মত দিয়েছেন লেখক-প্রকাশকরা। অনেকে আবার বিশৃঙ্খলার আশঙ্কাও করছেন।

বইমেলায় গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব:
ভিউজ বাংলাদেশের কথা হয় ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিনের সঙ্গে।  সাংস্কৃতিক দিক থেকে বইমেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব উল্লেখ করে মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন: ‘আমাদের প্রত্যাশা হবে গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে আমরা নতুন যে সময়ে এসেছি, গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, তার একটি প্রতিফলন যাতে এই বইমেলায় দেখতে পাই।’

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ইউপিএল থেকে কিছু মানসম্মত বই বের হচ্ছে জানিয়ে মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন, শুধু এই গণঅভ্যুত্থান না, বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি সবকিছু নিয়েই আমাদের সবসময় কাজ চলতেই থাকে।

তিনি বলেন, অতীতের সবকিছু যেমন থাকবে নতুন সময়েরও একটা প্রতিফলন থাকবে আমাদের কাজের মধ্যে।

মাহরুখ মহিউদ্দিন


সব ধরনের বৈষম্য দূর হয়ে একটা ভালো বইমেলার প্রত্যাশা করে চৈতন্য প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘১৯৪৭, ১৯৭১-এর পর ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে যে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সবার মাঝে সেটার প্রতিফলন থাকবে।

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এই মেলায় প্রচুর বই বের হবে উল্লেখ করে মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটে যাওয়ায় এটার একটা প্রভাব বইমেলায় থাকবে। বিশেষ করে এ বিষয়ে প্রচুর বই বের হবে। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে এ বিষয়ে বেশকিছু বই আসবে। সব মিলিয়ে যেহেতু এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে একটি বড় ঘটনা, তার প্রভাবের বাইরে থাকার তো কথা না।

বইমেলায় গণঅভ্যুত্থানের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে লেখক-অনুবাদক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন: এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেলে বইমেলায় এর প্রভাব না পড়ে যাবে না। মোটামোটিভাবে শুধু শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন না, কিছুটা আদর্শিক পরিবর্তনও নিশ্চিতভাবে ঘটছে।

মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যেমন প্রচুর মানহীন বই বেরিয়েছিল গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এমন বই বের হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে লেখক-অনুবাদক ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, কিছু উৎসাহী লোকজন এসব করবে কিন্তু সেগুলোতে কোনো অ্যানালাইসিস থাকবে কি না, এখনো না দেখে বলা যাচ্ছে না।

নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবার খুব সুন্দর একটা বইমেলা পাবো। কারণ মানুষের মধ্যে স্বপ্ন আছে একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের। বইমেলা কেবল বই বিক্রির হাট নয়, বইমেলা সৃষ্টিশীলতার উৎসব। আমরা আশা করি সবাই বইমেলায় আসবেন। বিশেষ করে তরুণদের আমন্ত্রণ জানাই। একটা জ্ঞানবান্ধব উন্নত বাংলাদেশ চাইলে আমাদের বইয়ের কাছে আসতেই হবে। বই স্বপ্নকে শাণিত করে।’

বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার আশঙ্কা:
বাংলাদেশের এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক একটা অস্থিরতা চলছে। এবারের মেলায় কোনো সমস্যার সম্ভাবনা দেখছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন: ‘না, সুন্দর-স্বতঃস্ফূর্ত একটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় সবার একটা অংশগ্রহণও থাকবে। প্রতি বছর যেভাবে আমরা একটা সার্থক বইমেলা করে থাকি, এই মেলায়ও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করি।’

খালিকুজ্জামান ইলিয়াস


তবে লেখক-অনুবাদ খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন ভিন্ন কথা। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একদল আছে, যারা একটু মৌলবাদী ধরনের। তারা চাচ্ছে তাদের একটা নখ বসাতে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনেক কিছুই তারা করতে চাচ্ছে। যেমন পাঠ্যপুস্তকে তারা যেসব পরিবর্তন এনেছে সব আমাদের আশার মতো হয়নি। আগে ব্যক্তিপূজা করেছে ঠিক আছে কিন্তু তার পরিবর্তে এমন কিছু করে ফেলেছে যেসব সমর্থনযোগ্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘এসব একটু বাড়াবাড়ি। এ জিনিসগুলো হওয়াতে এখন সবকিছুই সন্দেহজনক এবং একটু ঢিলেমির মধ্যে চলছে পুরো জাতি। কেউ বুঝতে পারছে না কোথায় যাচ্ছি, কি হচ্ছে, কার কন্ট্রোলে আছে, কারা কি সুবিধা নিচ্ছে। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এই যে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা এর একটা প্রভাব তো বইমেলায় পড়বেই।’

খালিকুজ্জামান ইলিয়াস আরও বলেন, মনে হচ্ছে যারা একটু প্রগতিশীল প্রকাশক, তারা পারমিশনই পাবে না। আবার অনেক দল আছে ধর্মীয় গ্রন্থ এসবের স্টল হয়তো বসাবে। তবে এখন কিছু-ই বলা যাচ্ছে না। সবকিছুই অনিশ্চিত এখন পর্যন্ত।

তিনি আশা করেন, অবশ্যই প্রগতিশীল জিনিসগুলো থাকতে হবে। অযাচিতভাবে ধর্মকে ইমপ্রোজ করা মোটেও ঠিক না। ধর্ম যার যার তার তার, এটা ব্যক্তির ব্যাপার। এটাকে শো-আপ করার কিছু নেই।

লেখক-অনুবাদক ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, ‘ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যেটা বলব, প্রতি বছর বইমেলার আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রকাশকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যে, মেলায় আমাদের কী দিচ্ছেন এসব। এই বছর প্রথম আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। বুঝতে পারলাম যারা মেলা নিয়ে তৎপর থাকে, এবার তাদের তৎপরতা নাই। কেন তৎপর নাই একথা আমি জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে যে, মেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা আছে। নেতৃত্বস্থানীয় প্রভাবশালী প্রকাশকরা হয়তো শঙ্কায় আছেন, সে কারণে তারা হয়তো চুপচাপ আছেন বলে আমার ধারণা।’

অথবা অংশগ্রহণ করলেও নতুন কোনো বই হয়তো প্রকাশ করবে না। না হলে অবশ্যই যোগাযোগ করত আমার সঙ্গে। কারণ গত ৫-৬ বছর ধরে দেখছি তারা বলে। এবার তারা প্রথম বলেনি- যুক্ত করেন তিনি।

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমার যেটা মনে হচ্ছে তারা অংশগ্রহণ করলেও নতুন কোনো বই প্রকাশে এই মুহূর্তে হয়তো আগ্রহী নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য এখন একটু ধীরগতিতে চলছে। সেই কারণে তারা এই মুহূর্তে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না হয়তো।’

ফারুক মঈনদ্দীন


সার্বিক মেলা নিয়ে আশা-প্রত্যাশা কোনো কিছু নেই জানিয়ে ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, ‘আমরা শুধু পর্যবেক্ষণ করব, এবারের মেলাটা কেমন হবে। আমরা নিজেরাও কৌতূহলী, এবার মেলাটা কেমন হবে।’

সামাজিক অস্থিরতা বইমেলায় কেমন প্রভাব থাকবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে না। বই তো বের হচ্ছে; কিন্তু বড় বড় প্রকাশকরা যদি তাদের প্রকাশনা না আনে, তাহলে হয়তো স্তিমিত থাকবে। মেলায় মানুষের মধ্যে, লেখক-পাঠকের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে, সেটা হয়তো কিছুটা স্তিমিত থাকবে।

রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর একটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে, সেটার প্রভাব মেলায় থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এ লেখক বলেন, একটু প্রভাব তো থাকবেই মনে হচ্ছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলো শক্তি সঞ্চয় করেছে বলে মনে হচ্ছে। সুতরাং তারা কতখানি তৎপর থাকবে, তাদের অ্যাকটিভিটিস কী হবে, তাদের প্রকাশনায় নতুন কিছু আনবে কি না, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আপনি যেটা বলতে চাচ্ছেন সেটা তো ঠিক যে ধর্মভিত্তিক দলগুলো শক্তি সঞ্চয় করেছে, তবে তারা কী করবে সেটা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।

বিষয়টি নিয়ে কবি শাহেদ কায়েস বলেন, সংকট তো সবসময় থাকেই। যেহেতু একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, অনেক কিছুই তো আসলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতে আগের মতো অনেক কিছুই থাকবে না- এটা খুব স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রত্যাশা করছি, প্রতি বছর সুন্দরভাবে যেমন মেলা হয়, সেভাবে যেন হয়।

টিকিট সিস্টেমের দাবি:
বইমেলায় টিকিট সিস্টেমের দাবি উঠেছিল গত কয়েকটি মেলায়। বিষয়টি নিয়ে ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, বইমেলায় অধিকাংশ ছেলেপেলে মজা করতে যায়, বই কিনে না। বইয়ের স্টলে গিয়ে বন্ধুকে বলে ছবি তুলে দিতে। একটা বইয়ের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়। বইমেলা একটি বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। মেলায় টিকিট সিস্টেম হলে উটকো লোকজন যাবে না, মেলায় ঝামেলাটা কম হবে।

ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, অতীতেও চেষ্টা করা হয়েছিল টিকিট সিস্টেম করার জন্য। কোনো বিশেষ মহলের কারণে এটা করা যায়নি। এবার তো কোনো চাপ নেই। দেখা যাক কী হয়। টিকিট হলে এটলিস্ট এরকম দলে দলে ঘুরে বেড়ানো, অবাধ বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হবে না।

টিকিট সিস্টেমের বিষয়টি নিয়ে কবি শাহেদ কায়েস বলেন, সারা পৃথিবীতেই বইয়ের প্রতি আগ্রহ এমনিতে দিন দিন কমছে। টিকিট সিস্টেম করলে কিছু রাজস্ব আসবে; কিন্তু যেটা হবে অনেকেই আসবে না। এখন এই যে মানুষ আসে, সবাই হয়তো বই কেনে না। অনেকে হয়তো প্রেম করতে আসে, আড্ডা দিতে আসে, ঘুরে বেড়াতে আসে। এই যে আসা-যাওয়া। দেখতে দেখতে বইয়ের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়। মেলায় সবাই যে বই কিনতেই আসবে এমন তো কোনো কথা নেই। কাজেই আমি মনে করি, টিকিট সিস্টেম করে দিলে আমার মনে হয় না ভালো কিছু হবে। এমনিতে মানুষ আসতে চায় না মেলায়।

ব্যাপক পরিমাণের খাবারের স্টলের বিরোধিতা করেও শাহেদ কায়েস বলেন, যেটা প্রয়োজন সেটা হলো চা। আমাদের বাঙালি কালচারে আড্ডার জন্য চা থাকা উচিত।

দেখা যায়, মেলায় কফি ছাড়া কিছু বিক্রি করা যাবে না। কফি থাকুক, চাও থাকা উচিত-যোগ করেন শাহেদ কায়েস।

বইমেলায় টিকিট সিস্টেমের বিরোধিতা করে চৈতন্য প্রকাশনীর কর্ণধার রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘বইমেলায় হুট করে এরকম সিস্টেম করে ফেললে অনেকেই আসবে না। বইমেলায় এরকম সিস্টেমের সঙ্গে আমরা পরিচিত নই। আর পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বইমেলা উন্মুক্তই থাকে। অনেকেই একদিন এসে পরে আর আসতে চাইবে না।’

মেলায় খাবারের দোকানের আধিক্য কম রাখতে পারলে ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ড. সরকার আমিন বলেন, এ বছর বইমেলায় টিকিট সিস্টেম থাকবে না। টিকিট সিস্টেম চালু করতে হলে সবার মতামত নিয়ে এগোতে হবে। এই বিষয়ে যেমন মত আছে, তেমনি ভিন্নমতও আছে।

ড. সরকার আমিন

কপিরাইট বই বন্ধের দাবি:
বইমেলায় কপিরাইট বই বিক্রি দেখা যায়। কপিরাইট বই বইমেলায় ঢুকতে না দেয়ার দাবি জানিয়ে ফারুক মঈনদ্দীন বলেন, মেলা নিয়ে প্রতি বছর নানারকম সমস্যা থাকে, ফুটপাতে বই বিক্রি হয়, মেলার বাইরে কপিরাইট বই বিক্রি হয়, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ধুলোবালি যেন না থাকে সেজন্য পানি দেয়া, হাঁটাচলার পথগুলো প্রশস্ত করে চলাচলের উপযোগী করা- সব মিলিয়ে এ বিষয়গুলোর প্রতি কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে সতর্ক থাকতে হবে কোনো স্টলে যাতে কোনো প্রাইভেট বই বিক্রি না হয়।

কপিরাইট বই নিয়ে চৈতন্য প্রকাশনীর কর্ণধার রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘কপিরাইটের প্রতি এখন সচেতনতা বৃদ্ধি পাইছে। আমরাও অনুবাদের বইয়ের ক্ষেত্রে কপিরাইট আইন মেনে প্রকাশ করছি; কিন্তু এই সংখ্যা কম। তবে সচেতনতা তৈরি হওয়া ভালো লক্ষণ।’

ড. সরকার আমিন বলেন, ‘এবার বইমেলা পুরোপুরি নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে। বইমেলা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন লেখক, প্রকাশকসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। একটি নিয়মনিষ্ঠ বইমেলা বাস্তবায়নে সবার সহায়তা কামনা করছি।’

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান লেখক-প্রকাশকরা।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ