বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন
স্ত্রী, সন্তান পুড়ে গেছে তাই পুড়লেন তিনিও
রাজধানীর গোলাপবাগে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় হৃদয়বিদারক একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে, জানলায় শরীরের একাংশ বাইরে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য নাড়া দিয়ে গেছে দেশবাসীকে।
জানা যায়, জানালায় ঝুলে থাকা সেই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার স্ত্রী ও সন্তান পুড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বের হতে রাজি হননি।
তার ঘাড়ের উপর জানলা নেমে এসেছিল। জানালা ভেঙে তাকে বের করার চেষ্টা করছিল স্থানীয়রা, তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বাচ্চা ও বউ অলরেডি পুইড়া গেছে। আমারও ৯০ পারসেন্ট পুইড়া গেছে। আমি আর বের হয়েই বা কী করব। থাইকাই বা কী লাভ?’
এদিকে ততক্ষণে বগিটির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। আগুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছিল উত্তাপ। এক সময় উদ্ধারের চেষ্টায় থাকা মানুষদেরকে সরে আসতে হয় নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এলেও ততক্ষণে সেই ব্যক্তি ও তার স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যু হয়।
ভোট ঘিরে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাত শুক্রবার ৯টার দিকে আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগি পুড়ে যায়। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়, দগ্ধ অবস্থায় একজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বেনাপোল থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢোকার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর আগে সায়েদাবাদ থেকে গোলাপবাগের পথে ওই ট্রেনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে