Views Bangladesh Logo

‘জ্বালানি অপরাধীদের’ বিচারের আওতায় আনার দাবি ক্যাবের

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন অযৌক্তিক চুক্তির মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করার জন্য ‘জ্বালানি অপরাধীদের’ বিচারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ক্যাব আয়োজিত ‘জ্বালানি খাত সংস্কার’ শীর্ষক গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে এই দাবি জানানো হয়।

ক্যাবের উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি অপরাধীদের বিচার ভোক্তা সুরক্ষা আইন এবং বিইআরসি আইন ২০০৩-এর অধীনে পরিচালিত হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান রাজু, গবেষণা সমন্বয়কারী শুভ কিবরিয়া।

শামসুল আলম বলেন, আগের সরকারের সঙ্গে আমরা রাস্তায় মুখোমুখি হয়েছি। বর্তমান সরকারের সঙ্গে থেকে, পাশাপাশি থেকে, পিছে পিছে থেকে চলতে চাই। কিন্তু সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে ব্যথিত করেছে।

তিনি বলেন, এই সরকার এসে প্রথম দিনেই যে কথা বলতে পারত, এখনও বলতে পারে। বলা উচিৎ-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ব্যবসা করবে না। এই খাত হবে সেবা খাত। সরকার না ঘোষণা দেওয়ায় হতাশ হয়েছি। শেষ দিন পর্যন্ত তারা বলবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে বিদ্যুৎ জ্বালানিকে সেবাখাত ঘোষণা দিতে হবে। এখানে মুনাফা করা যাবে না। বিদ্যুৎ দিতে হবে কস্ট প্রাইস (না লাভ না লোকসান) ভিত্তিতে। ব্যবসা ও মুনাফা করার কোনও সুযোগ নেই। কোম্পানিগুলো বিশাল অংকের মুনাফা করছে, তারা প্রফিট বোনাস নিচ্ছে, আর তার দায় চাপানো হচ্ছে ভোক্তাদের কাঁধে।

শামসুল আলম বলেন, সরকারের কিছু কর্মকাণ্ডে আমাদের আতঙ্কগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে দায়মুক্তি আইন (বিশেষ বিধান আইন) ও বিইআরসি আইনের বিষয়ে যেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে হতাশ হয়েছি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা চোরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। যেসব আমলারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করেছেন সেই মুখগুলোকেই ঘুরে ফিরে দেখা যাচ্ছে। এতে করে আগের ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। এখনও মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করবে কেন? কেন বিইআরসির হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় না?

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের জ্বালানি বুভূক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে, উৎপাদন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে, দাম বাড়ালে আরও বেড়ে যেতে পারে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে একটি লুণ্ঠন গ্রুপ তৈরি হয়েছে, তারা লুণ্ঠন করে যাচ্ছে। এই লুণ্ঠন প্রতিহতের প্রধান অন্তরায় ছিল সরকার। তার অধিনায়ক পালিয়ে গেছে। এখন তো ন্যায়বিচার আশা করতেই পারি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে শঙ্কা বাড়ছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ