যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর অংশীদারত্ব ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান
দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ; কিন্তু উন্নত ও বিনামূল্যে চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে ব্যাপকসংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর অংশীদারত্ব ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে (সুরমা হল) আয়োজিত ‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সহযোগীদের মধ্যে কার্যকর অংশীদারত্ব ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বক্তারা।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস, ডা. আফজালুর রহমান, উপপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; ডা. আহমেদ পারভেজ জাবিন, বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ, গ্লোবাল ফান্ড; শায়লা ইসলাম, সহকারী পরিচালক, ব্র্যাকসহ প্রমুখ।
এতে ব্র্যাক, আইসিডিডিআরবি, পিএইচডি, কেএমএসএস, নাটাব, বিজিএমইএ, সহ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে জড়িত সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ মোট ৪০ জনের ও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ জন। দেশে প্রতি বছর অন্তত প্রতি লাখে ২২১জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এর মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ জন ওষুধ প্রতিরোধী (এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্ত। যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকার ২০২১-২০২৫ পাঁচ বছর (২০২১-২০২৫) মেয়াদি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে