শিল্প ও সংস্কৃতি
সামাজিক উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
বাঙালির জীবনে বিনোদনের সংস্কৃতি ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে আর এটি স্পষ্টভাবে লক্ষণীয় হতে শুরু করেছে। এক সময়ে ঈদ, পুজা, বাংলা নববর্ষ, বড় দিন, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো সামাজিক উৎসবে দেশজুড়ে গ্রামবাংলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন খেলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রা, নাটক, সার্কাস, কবিগান, বয়াতিদের মধ্যে গানের মাধ্যমে লড়াই ও গম্ভীরার আয়োজন হতো। শহর থেকে উৎসবের জন্য যোগসূত্র এবং নাড়ির টানে আবালবৃদ্ধবণিতা প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভ ও বিভিন্ন স্পর্শকাতরতায় গ্রামে ছুটে যেতেন। এরা এবং গ্রামে বসবাসরত মানুষ মিলে একসঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেন। সেসব দিন, উৎসব-উদ্দীপনার ক্ষেত্রে এখন ভাটার টান।
ভুলে গেছি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে?
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ। কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলো। যখনই কারফিউ শিথিল করা হয়, তখনই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বাইসাইকেল নিয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পরে পলাশী ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, রোকেয়া হল, ব্রিটিশ কাউন্সিলের চারদিকে ঘুরেছেন- লাশের পর লাশ দেখেছেন। তারপর তিনি জঘন্যতম গণহত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওইদিন বিকেলে একজন বিহারির বাসায় জোর করে ঢুকে বন্দুক নিয়ে নেন এবং একটি ছোট দল গঠন করেন। দলকে বোঝান- ‘আমাদের আরও অস্ত্রের প্রয়োজন।’ এর মধ্যে কয়েকজন বিহারির বাসা থেকে অস্ত্র ছিনতাই করেন। পরে এ অস্ত্রগুলো দিয়ে জিঞ্জিরায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি করেন। [মুক্তিযুদ্ধের আগুনমুখো গল্প : হাবীব ইমন]
নেক্সাস টিভিতে সাতদিনের ঈদ আয়োজন
ঈদ-্উল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল নেক্সাস টেলিভিশন আয়োজন করেছে সাতদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে সিনেমা, বিনোদনমূলক টকশো, রূপচর্চা বিষয়ক অনুষ্ঠান ও গানের অনুষ্ঠান।
সংস্কৃতির বাতিঘর সনজীদা খাতুন এক মৃত্যুহীন প্রাণ
যে কোনো দেশ বা জাতি কিংবা সংস্কৃতির কেউ না কেউ থাকেন যারা আমৃত্যু কাটিয়ে দেন নিরলস সংস্কৃতিচর্চায়, মানবতার কল্যাণে, দেশের হিতৈষে। কাণ্ডারি হয়ে, আলোকবর্তিকা হয়ে। ফিরে তাকান না নিজের দিকে, সাময়িক সুখের দিকে। তেমনই একজন মানুষ ছিলেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন (৪ এপ্রিল ১৯৩৩-২৫ মার্চ ২০২৫)। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার বাতিঘর। তার হাত ধরে, তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে শুদ্ধ সংগীতচর্চার ধারা। বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীতের প্রমিতচর্চা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে ছায়ানটের প্রযত্নে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে সনজীদা খাতুন আত্মনিবেদিত প্রাণ। বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বেও দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলার সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন তিনি
সেদিন সাতই মার্চ
মানুষ মাত্রই এক বা একাধিক নাম থাকে। নামেই তার পরিচয়। কারও বা একটি মাত্র নাম দিয়ে কেটে যায় গোটা জীবন। কারও বা একাধিক নামের প্রয়োজন হয়। জীবনের বাঁক বদলের সময় পদবি বা সুগন্ধী বিশেষণ এসে নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঝুলতে ঝুলতে এক সময় মূল নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়, তখন কোনটা মূল আর কোনটা যে ডালপালা তা শনাক্ত করাও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। তবু মানুষ কিন্তু নামের কাঙাল, নাম নিয়েই বাঁচে-মরে। নামের মধ্যেই বসবাস সবার।
বাংলাদেশের শিল্পসম্পদ বিশ্বমঞ্চে স্থান পাওয়ার যোগ্য: ক্লেয়ার হিন্ডেল
ওয়ার্ল্ড আর্ট ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউএএফ) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্লেয়ার হিন্ডেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শিল্পসম্পদ বিশ্বমঞ্চে স্থান পাওয়ার যোগ্য। বিশ্বজুড়ে এদেশের শিল্পীদের অনেক কাজ করার আছে’।
স্মৃতি সমুদ্রে অঞ্জনদার বিদায়
অঞ্জনদা নেই- এই খবরটা হঠাৎ চমকে দিল। অবিশ্বাস্য। বিশ্বাস করা কঠিন যে চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আমাদের প্রিয় অঞ্জনদা আর আমাদের মাঝে নেই। অঞ্জনদাকে আর দেখব না আজিজ মার্কেটে, শাহবাগে; বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে-সেমিনারে।
রাষ্ট্রীয় সব কাজ মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে
আমি তো মনে করি, শত্রু কখনো কখনো শত্রুতা সাধন করতে গিয়ে মিত্রের কাজ করে বসে। শত্রু যখন শত্রুতা সাধনে বিরত থাকে কিংবা কিছু উদারতা প্রদর্শন করে, তখন বরং নানা রকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, শত্রুর প্রতি মনোভাব অনেক নরম হয়ে আসে। শত্রুর এরকম অবস্থান শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, ক্ষতিকরও। শত্রু বুদ্ধিমান হলেই এমন ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে সুখের কথা এই, বুদ্ধিমান শত্রুরও মাঝে মাঝে বুদ্ধিবিভ্রম ঘটে থাকে। সে রকম বুদ্ধিবিভ্রমের শিকার শত্রুই মিত্রের চেয়েও বড় মিত্র হয়ে যায়। সেভাবেই বাঙালি ও বাঙালিত্বের মহাদুশমন এবং পাকিস্তান-স্রষ্টা একান্ত ধূর্ত ও অতি বুদ্ধিমান দুই ‘কায়েদ’ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও কায়েদে মিল্লাত লিয়াকত আলী খান বাঙালি জাতির পরম মিত্রতা সাধন করেছিলেন।
বাংলা ভাষার প্রকৃত সমস্যা, ভাষাটির সর্বস্তরে প্রয়োগ নেই
বাংলাদেশের লেখ্য, দৃশ্য ও শ্রাব্য গণমাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের নদীগুলোর মতোই দূষিত হয়ে উঠেছে। এই দূষণ নাকি হচ্ছে প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে: ১. ইংরেজি বা আঞ্চলিক ঢঙে প্রমিত বাংলা উচ্চারণে, ২. কথা বলার সময় বাংলা শব্দের পরিবর্তে ইংরেজি-হিন্দি-আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহারে এবং ৩. বানান বিকৃতিতে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের দিকে। বাস্তবতা হচ্ছে, গণমাধ্যমে তথাকথিত শুদ্ধ উচ্চারণে প্রমিত বাংলা বলা হলেও ইংরেজি ঢঙে বাংলা বলা বা বাংলায় ইংরেজি শব্দমিশ্রণ বন্ধ হবে না। এফএম রেডিও শুনে মানুষ ভাষা শেখে না, খদ্দের-শ্রোতা যে ভাষায় কথা বলে এফএম রেডিও সেই ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় মুনাফার স্বার্থে।
বান্দরবানে একযুগ পর মঞ্চায়িত হলো 'চইংজা:খ্রাং'
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি'র প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে এবং প্রথম মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব-২০২৫ উপলক্ষে বান্দরবানে দীর্ঘ একযুগ পর মঞ্চ নাটক 'চইংজা:খ্রাং' মঞ্চায়িত হয়েছে।