শিল্প ও সংস্কৃতি
সেদিন সাতই মার্চ
মানুষ মাত্রই এক বা একাধিক নাম থাকে। নামেই তার পরিচয়। কারও বা একটি মাত্র নাম দিয়ে কেটে যায় গোটা জীবন। কারও বা একাধিক নামের প্রয়োজন হয়। জীবনের বাঁক বদলের সময় পদবি বা সুগন্ধী বিশেষণ এসে নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঝুলতে ঝুলতে এক সময় মূল নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়, তখন কোনটা মূল আর কোনটা যে ডালপালা তা শনাক্ত করাও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। তবু মানুষ কিন্তু নামের কাঙাল, নাম নিয়েই বাঁচে-মরে। নামের মধ্যেই বসবাস সবার।
বাংলাদেশের শিল্পসম্পদ বিশ্বমঞ্চে স্থান পাওয়ার যোগ্য: ক্লেয়ার হিন্ডেল
ওয়ার্ল্ড আর্ট ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউএএফ) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্লেয়ার হিন্ডেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শিল্পসম্পদ বিশ্বমঞ্চে স্থান পাওয়ার যোগ্য। বিশ্বজুড়ে এদেশের শিল্পীদের অনেক কাজ করার আছে’।
স্মৃতি সমুদ্রে অঞ্জনদার বিদায়
অঞ্জনদা নেই- এই খবরটা হঠাৎ চমকে দিল। অবিশ্বাস্য। বিশ্বাস করা কঠিন যে চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আমাদের প্রিয় অঞ্জনদা আর আমাদের মাঝে নেই। অঞ্জনদাকে আর দেখব না আজিজ মার্কেটে, শাহবাগে; বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে-সেমিনারে।
রাষ্ট্রীয় সব কাজ মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে
আমি তো মনে করি, শত্রু কখনো কখনো শত্রুতা সাধন করতে গিয়ে মিত্রের কাজ করে বসে। শত্রু যখন শত্রুতা সাধনে বিরত থাকে কিংবা কিছু উদারতা প্রদর্শন করে, তখন বরং নানা রকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, শত্রুর প্রতি মনোভাব অনেক নরম হয়ে আসে। শত্রুর এরকম অবস্থান শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, ক্ষতিকরও। শত্রু বুদ্ধিমান হলেই এমন ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে সুখের কথা এই, বুদ্ধিমান শত্রুরও মাঝে মাঝে বুদ্ধিবিভ্রম ঘটে থাকে। সে রকম বুদ্ধিবিভ্রমের শিকার শত্রুই মিত্রের চেয়েও বড় মিত্র হয়ে যায়। সেভাবেই বাঙালি ও বাঙালিত্বের মহাদুশমন এবং পাকিস্তান-স্রষ্টা একান্ত ধূর্ত ও অতি বুদ্ধিমান দুই ‘কায়েদ’ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও কায়েদে মিল্লাত লিয়াকত আলী খান বাঙালি জাতির পরম মিত্রতা সাধন করেছিলেন।
বাংলা ভাষার প্রকৃত সমস্যা, ভাষাটির সর্বস্তরে প্রয়োগ নেই
বাংলাদেশের লেখ্য, দৃশ্য ও শ্রাব্য গণমাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের নদীগুলোর মতোই দূষিত হয়ে উঠেছে। এই দূষণ নাকি হচ্ছে প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে: ১. ইংরেজি বা আঞ্চলিক ঢঙে প্রমিত বাংলা উচ্চারণে, ২. কথা বলার সময় বাংলা শব্দের পরিবর্তে ইংরেজি-হিন্দি-আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহারে এবং ৩. বানান বিকৃতিতে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের দিকে। বাস্তবতা হচ্ছে, গণমাধ্যমে তথাকথিত শুদ্ধ উচ্চারণে প্রমিত বাংলা বলা হলেও ইংরেজি ঢঙে বাংলা বলা বা বাংলায় ইংরেজি শব্দমিশ্রণ বন্ধ হবে না। এফএম রেডিও শুনে মানুষ ভাষা শেখে না, খদ্দের-শ্রোতা যে ভাষায় কথা বলে এফএম রেডিও সেই ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় মুনাফার স্বার্থে।
বান্দরবানে একযুগ পর মঞ্চায়িত হলো 'চইংজা:খ্রাং'
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি'র প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে এবং প্রথম মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব-২০২৫ উপলক্ষে বান্দরবানে দীর্ঘ একযুগ পর মঞ্চ নাটক 'চইংজা:খ্রাং' মঞ্চায়িত হয়েছে।
মানুষের জন্য সাধ্যমতো কাজ করে বিদায় নিতে চাই
আমার প্রথম শৈশবের পরিবেশ ছিল এর ঠিক উল্টো। সুস্থ সবল মন নিয়ে বেড়ে ওঠার পক্ষে তা ছিল খুবই অনুকূল। আমি বাড়ির বড় ছেলে। আমার সবচেয়ে বড় বোন-বড় আপা-আমার চেয়ে আট বছরের বড়। তার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন আমার মেজো বোনের জন্ম হয়। বাড়ির সবাই তখন ছেলে-সন্তানের জন্য উন্মুখ। তাই পরপর দুটি মেয়ে হওয়া সবাইকে খুব হতাশ করেছিল। সবচেয়ে বেশি খেপে গিয়েছিলেন বড় আপা নিজে। কেন তার ভাই না হয়ে ফের বোন হলো- এই ক্ষোভে তিনি আমার মেজো বোনের দেড়-দুবছর বয়সের সময় একটা সাইকেলের পাম্পার তার মুখে ঢুকিয়ে পাম্প করতে করতে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।
রাজধানীতে শুরু হলো চিত্রপ্রদর্শনী ‘দ্য স্টোরি অব আর্ট’
ঢাকা স্টোরিটেলার্স আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী ‘দ্য স্টোরি অব আর্ট’ রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডের আলোকি গ্রীনহাউসে শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে দেশের ২৮ জন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
যা ভাবি, যা বিশ্বাস করি, যা বলতে চাই, তা নিয়েই সিনেমা বানাই
দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ভুবন মাঝি (২০১৭) সরকারি অনুদান লাভ করে। এরপর তিনি গণ্ডি (২০২০), জেকে ১৯৭১ (২০২৩) নির্মাণ করেন। লালন সাঁইকে নিয়ে তৈরি করেছেন প্রামাণ্যচিত্র ‘হকের ঘর’। ২০২০ সালে ‘গণ্ডি’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পান তিনি। তার ‘নীল জোছনা’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণাধীন। ভিউজ বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপে ফাখরুল আরেফিন খান কথা বলেছেন নিজের নির্মাণ, চিন্তা এবং চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারজানা সারজিন অর্চি।
বাণিজ্যিক সিনেমা অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে আর ভিন্ন ধারার সিনেমা দর্শক খরায় ধুঁকছে
পেশাগত প্রয়োজনে একবার চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা নির্মাণ হবে। কোনো ছবি হলে দর্শক টানবে, লোকে লাইন ধরে দেখবে। আবার কোনো সিনেমা বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধিত্ব করবে, পুরস্কার জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। শুনে ভেতর থেকে একটি দ্বিধার বিদায় ঘটে। ভিন্ন ঘরানার ছবির ঝুলিতে রাশি রাশি পুরস্কার জুটলেও হলে সারি সারি দর্শক জোটে না।