বইমেলা
বইমেলায় বই কেনার চেয়ে ছবি তোলায় বেশি আগ্রহ
বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর চতুর্থ দিন বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়লেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই কম। বইমেলার অধিকাংশ স্টলকর্মী বই বিক্রিতে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
বইমেলায় টংক আন্দোলনের কুমুদিনী হাজং স্মরণানুষ্ঠান
ঔপনিবেশিক জুলুমবিরোধী কৃষক আন্দোলনের এক সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজং। তিনি ঔপনিবেশিক শাসন, বৈষম্য, সার্বভৌমত্ব, আত্মপরিচয়, ন্যায্য মজুরি, কৃষি, ভূমি, অরণ্য কিংবা সমাজ রূপান্তরের প্রশ্নগুলো জারি রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
বইমেলায় নজর কেড়েছে গণঅভ্যুত্থানের স্লোগানগুলো
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এ দর্শনার্থীদের কাছে দারুণ নজর কেড়েছে ২০২৪ সালে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত পোস্টারগুলো। শাহবাগ মোড় থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন পয়েন্টে গণঅভ্যুত্থানের স্লোগান সংবলিত পোস্টারগুলো সাঁটাতে দেখা যায়।
ভাষাহীন মানুষ বেঁচে থাকতে পারলেও বৈচিত্র্যময় কাজ করা সম্ভব নয়
বাঙালির সভ্যতার ভিত রচিত হয়েছে একুশের শহীদদের আত্মদানের ওপর। ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে। নির্মম সত্য কথা। মানুষের যখন ভাষা ছিল না, তখন মানুষ ও পশুর সঙ্গে পার্থক্য ছিল না।মানুষের ব্যক্তি জীবন, সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন ও জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষা মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার। এ হাতিয়ার কেড়ে নিতে চেয়েছিল শাসকরা, রুখে দিয়েছিল ভাষাশহীদরা। মানুষের মতো মানুষ হতে হলে চাই মাতৃভাষা, চাই নিজেদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি। স্বদেশ প্রেম জন্মভূমির জন্য মানুষের এক ধরনের অনুরাগপূর্ণ ভাবাবেগ। এক কথায় স্বদেশ প্রেম বলতে বোঝায় নিজের জন্মভূমিকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা।
‘হায়দার কখনো কট্টরপন্থার অনুসারী ছিলেন না’
বিশিষ্ট সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেছেন, ‘হায়দার আকবর খান রনো কখনো কট্টরপন্থার অনুসারী ছিলেন না। তিনি ভিন্ন মেরুর বামপন্থী নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে আলোচনার পথ খুলে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে রনোর ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ’।
বইমেলায় একটি পোস্টার ঘিরে কেন এত বিতর্ক
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে ‘৫২-এর চেতনা ২৪-এর প্রেরণা’ স্লোগান লেখা একটি পোস্টার ঘিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত কয়েকটি জায়গায় লাগানো হয় পোস্টারটি।
বইমেলায় কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘আই লাভ ইউ’
এই উপন্যাস নিয়ে ফেসবুকে গুণ লিখছেন, ‘১৭৪ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি রচনা করতে আমার ৫০ বছর লেগেছে। চারটি প্রকাশনী থেকে এই গ্রন্থটি একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে।’
বইমেলায় কবি হেলাল হাফিজকে স্মরণ
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে স্মরণ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত প্রেম, দ্রোহ ও মানবতার কবি হেলাল হাফিজকে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে সূচনা সংগীতের মধ্য দিয়ে এ কবিকে নিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।
অমর একুশে বইমেলা: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই নিয়ে এবার কী হবে?
বাঙালির প্রাণের মেলা ও প্রাণের উৎসব বললে যে দুটি আয়োজনের কথা আমাদের চোখে ভাসে, তার একটি অমর একুশে বইমেলা- যেটি প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলে বাংলা একাডেমি এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অন্যটি পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখের কিছু আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মতভিন্নতা থাকলেও বইমেলার প্রশ্নে কোনো বিভক্তি নেই। কেননা এই আয়োজন ও উৎসবের সঙ্গে কোনো ধর্ম বা রাজনীতির গন্ধ নেই। বইমেলার ভেতরে মাঝে-মধ্যে কিছু রাজনৈতিক গন্ধ ছড়ানো হলেও বা যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের কিছু প্রভাব থাকলেও সামগ্রিকভাবে বইমেলাকে দল-মত-ধর্ম ও বয়স নির্বিশেষে সব মানুষের প্রাণের মেলা বলে স্বীকার করে নিতে কারো দ্বিধা নেই। এমনকি একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা এই আয়োজনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব বললেও ভুল হবে না।
বাঙালি লেখকরা সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ
জাকির তালুকদার বাংলাদেশের অগ্রগণ্য কথাসাহিত্যিক। তার আলোচিত উপন্যাস পিতৃগণ, মুসলমানমঙ্গল, কবি ও কামিনী, কুরসীনামা, ১৯৯২ ইত্যাদি। প্রায় ২৫টি উপন্যাস ও শতাধিক ছোটগল্প লিখেছেন তিনি। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধও লিখেছেন। ‘কার্ল মার্কস মানুষটি কেমন ছিলেন’ তার একটি আলোচিত গ্রন্থ। ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন; কিন্তু ১০ বছর পর ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক ইস্যু নিয়ে সবসময়ই সরব এবং প্রতিবাদমুখর এ কথাসাহিত্যিক। প্রগতিশীল এবং বিজ্ঞানমনষ্ক এই লেখক পেশায় চিকিৎসক। অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ শুরুতেই কিছু সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বইমেলা ও দেশের বর্তমান নানা পরিস্থিতি নিয়ে ভিউজ বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হলো স্বনামধন্য এ লেখকের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কথাসাহিত্যিক কামরুল আহসান।