অর্থনীতি
আর্থিক সংকট এত গভীর নয়
নভেম্বর ১১, ২০২৪-এ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা কর্তৃক আয়োজিত ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন,
বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন ডলারের আধিপত্য কি খর্ব হতে চলেছে?
সম্প্রতি রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া ও চীন এই চারটি দেশ মিলে প্রাথমিকভাবে ব্রিক গঠিত হয়েছিল। পরে সাউথ আফ্রিকা এই জোটে যোগদানের পর এর নামকরণ করা হয় ব্রিকস। গত বছর অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও ৫টি দেশ এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হলে এর সদস্য সংখ্যা ১০-এ উন্নীত হয়। তবে জোটের নাম আগের মতোই ব্রিকস অব্যাহত রাখা হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাজান সম্মেলনে ব্রিকসের ১০টি সদস্য দেশ ছাড়াও আরও ২৫টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান করে। এই পর্যবেক্ষক দেশগুলো যে কোনো সময় ব্রিকসের সদস্যা পদ লাভ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিকস মূলত একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক জোট। যে দেশটি দেশ বর্তমানে ব্রিকসের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদের জনসংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ। বিশ্ব জিডিপির ৪৭ শতাংশ এখন ব্রিকস দেশগুলোর অধিকারে রয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য আইনি সংস্কার জরুরি
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে ব্যাংকিং সেক্টরের দুরবস্থা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলেছে, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। ফলে এই সেক্টর বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পতিত হয়েছে। দেশে ব্যবসায়রত ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে অন্তত ২৯টি নানা কারণেই স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হবার পর্যায়ে রয়েছে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের স্থল ব্যাংকিং সেক্টরকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সংঘটিত ২৪টি বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে একটি চিহ্নিত মহল। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া এই অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
শেয়ারবাজারের দরপতনের রহস্য উন্মোচিত করুন
উন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি চাহিদা পূরণের জন্য উদ্যোক্তারা সাধারণত ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপর নির্ভর করে থাকেন; কিন্তু আমাদের দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারছে না। নানা কারণেই উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে পুঁজি সংগ্রহের প্রতি বেশি উৎসাহী থাকেন না। বরং তারা ব্যাংকিং খাত থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। অথচ দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী স্থান।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন
ছাত্রদের আন্দোলনের পর এক বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় তিন মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এই সরকারের প্রতি জনপ্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্ট ক্ষত দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে, এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা; কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হলেও সেই কমিশনের কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে এবং সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আগামীতে কতটা প্রত্যক্ষ করতে পারব, তা নিয়ে সাধারণভাবে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
আমাদের অর্থনীতি ও অর্থনীতিতে নোবেল
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ বিরাজ করছে। আইন-পুলিশ-প্রশাসন সবখানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
দেশের বিনিয়োগ-বাণিজ্যের পরিবেশ যে কারণে প্রতিকূল হচ্ছে
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বিজনেস রেডি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিদ্যমান ব্যবসায়-বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ মোটেও অনুকূল নয়। ফলে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে খুব একটা ভালো করতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান বাস্তব পরিবেশ বিবেচনায় বাংলাদেশকে তালিকায় চতুর্থ স্থানে ঠাঁই দেয়া হয়েছে। মোট ১০টি সূচক বিবেচনায় নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৩ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট লাভ করেছে।
ই-কমার্সের প্রতারিত গ্রাহকরা অর্থ ফেরত পাচ্ছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া উদ্যোগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রতারিত গ্রাহকরা অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তারা ফেরত পেয়েছেন ৪১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
অক্টোবর মাসের প্রথম ১২ দিনে ৯৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর ফলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।