অর্থনীতি
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিসংখ্যান মোতাবেক, গত নভেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এটা গত চার মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। শহর এবং গ্রাম সর্বত্রই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উপনীত হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনীতিতে মুদ্রার জোগান কমিয়ে এনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা; কিন্তু বাস্তবে কোনো ব্যবস্থাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হচ্ছে না। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়তই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ধাবমান রয়েছে।
জনগণের অর্থনৈতিক প্রত্যাশা পূরণের পথে সরকারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানার জন্য যে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল, সে কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে। বিভিন্ন সূত্রে শ্বেতপত্রের যেসব দুর্নীতি অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা যে কোনো বিবেকবান মানুষকেই আতঙ্কিত করবে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা যে খুব একটা ভালো নয়, তা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাবার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তনের চেয়ে কিস্তি আদায় জোরদার করা জরুরি
খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তনের চেয়ে কিস্তি আদায় জোরদার করা জরুরি
উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না
উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?
বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন ডলারের আধিপত্য কি খর্ব হতে চলেছে?
সম্প্রতি রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া ও চীন এই চারটি দেশ মিলে প্রাথমিকভাবে ব্রিক গঠিত হয়েছিল। পরে সাউথ আফ্রিকা এই জোটে যোগদানের পর এর নামকরণ করা হয় ব্রিকস। গত বছর অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও ৫টি দেশ এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হলে এর সদস্য সংখ্যা ১০-এ উন্নীত হয়। তবে জোটের নাম আগের মতোই ব্রিকস অব্যাহত রাখা হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাজান সম্মেলনে ব্রিকসের ১০টি সদস্য দেশ ছাড়াও আরও ২৫টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান করে। এই পর্যবেক্ষক দেশগুলো যে কোনো সময় ব্রিকসের সদস্যা পদ লাভ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিকস মূলত একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক জোট। যে দেশটি দেশ বর্তমানে ব্রিকসের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদের জনসংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ। বিশ্ব জিডিপির ৪৭ শতাংশ এখন ব্রিকস দেশগুলোর অধিকারে রয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য আইনি সংস্কার জরুরি
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে ব্যাংকিং সেক্টরের দুরবস্থা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলেছে, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। ফলে এই সেক্টর বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পতিত হয়েছে। দেশে ব্যবসায়রত ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে অন্তত ২৯টি নানা কারণেই স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হবার পর্যায়ে রয়েছে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের স্থল ব্যাংকিং সেক্টরকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সংঘটিত ২৪টি বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে একটি চিহ্নিত মহল। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া এই অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন
ছাত্রদের আন্দোলনের পর এক বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় তিন মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এই সরকারের প্রতি জনপ্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্ট ক্ষত দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে, এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা; কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হলেও সেই কমিশনের কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে এবং সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আগামীতে কতটা প্রত্যক্ষ করতে পারব, তা নিয়ে সাধারণভাবে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
আমাদের অর্থনীতি ও অর্থনীতিতে নোবেল
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ বিরাজ করছে। আইন-পুলিশ-প্রশাসন সবখানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।