অর্থনীতি
অর্থ পাচার রোধ করা না গেলে উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম গত ২০ জুন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপনকালে অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’। ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের যে সংকট চলছে তার পেছনে অর্থ পাচার একটি বড় কারণ। সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য অর্থ পাচার জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কীভাবে তারা এত টাকা বানালেন?
সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচিত কিছু দুর্নীতিবাজকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এত টাকা কামালেন যে, দেশেই থাকতে পারলেন না, তাতে লাভটা কী হলো?’ প্রশ্ন হলো, তারা এত টাকা বানালেন কী করে? রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তারা যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনলেন; রাজধানীর অভিজাত এলাকায় কোটি কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনলেন; দেশের বিভিন্ন স্থানে রিসোর্ট বানালেন; নিজের কিংবা শ্বশুরবাড়িতে অট্টালিকা তৈরি করলেন; স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নামে ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার এফডিআর করলেন- তার কিছুই সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কিংবা তারা যেসব মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করতেন কিংবা তাদের যারা পদস্থ কর্মকর্তা- তাদের কেউই টের পাননি?
আসন্ন মুদ্রানীতিতে ট্যাক্স আদায় বৃদ্ধির সুস্পষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে
জুলাই মাসের প্রথম পাক্ষিকে ঘোষিত হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) প্রথম ষান্মাসিক মুদ্রানীতি। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ প্রায় ইতিমধ্যেই শেষ করে এনেছে। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি কেমন হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য যে মুদ্রানীতি প্রণীত হচ্ছে, তা কার্যত সংকোচনমূলক হবে। পরপর গত কয়েকটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তাবিত মুদ্রানীতিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন সাধন করবে না। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) চাচ্ছে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ যেন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করে। তাই সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই ঘোষণা করবে।
প্রস্তাবিত তামাক কর ও দাম নিয়ে প্রজ্ঞার বিশ্লেষণ
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কর ও তামাকজাত দ্রব্যমূল্য বাড়ানো নিয়ে তাদের মতামত ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। প্রজ্ঞা জানিয়েছে, বাজেটে তামাক কর ও তামাকজাত দ্রব্যের দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ানো হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে যদি এই কর ও মূল্য গৃহীত হয়, তাহলে তামাকজাত পণ্য আবার সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে পড়বে। তরুণ সম্প্রদায় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে আরও উৎসাহ বোধ করবে। ফলে তামাকদ্রব্য ব্যবহারজনিত কারণে অসুস্থতা বাড়বে। মৃত্যু বাড়বে।
লাগামহীন মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবানুগ বলে উল্লেখ করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান। তবে তিনি আরও বলেছেন, এই প্রস্তাবনাগুলোকে আরও ন্যায়ানুগ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়নি: উন্নয়ন সমন্বয়
২০২৪-২৫ অর্থবছরের যে-বাজেট আজ মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হলো সেখানে সিগারেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধূমপানের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির যে সুযোগ ছিল তা কাজে লাগানো হয়নি। উন্নয়ন সমন্বয়-সহ দেশের তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে এই বাজেটে সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপের যে প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দিয়েছিল তা এই প্রস্তাবে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি।
অর্থ পাচার কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এবং বর্তমান সরকারের আমলে ধারাবাহিক ১৬তম বাজেট। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় অর্থনীতি কতটা উপকৃত হচ্ছে
নতুন অর্থবছর (২০২৪-২৫) জন্য প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। এ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রণয়ন যে কোনো বিচারেই একটি কঠিন কাজ ছিল। অর্থমন্ত্রী সেই কঠিন কাজটিই সম্পন্ন করেছেন।
ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করেছেন। নতুন অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রণয়ন নিশ্চিতভাবেই ছিল খুবই দুরূহ একটি কাজ। নতুন অর্থমন্ত্রী সেই কাজটি বেশ দক্ষতার সঙ্গেই করেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনুন
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট উপস্থাপন। আমাদের মতো দেশে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন সব সময়ই অত্যন্ত জটিল একটি কাজ। বাজেটের মাধ্যমে সব মহলকে সমভাবে খুশি করা যায় না। ঘোষিত বাজেটে নতুন অর্থমন্ত্রী জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোতে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা বাজেটের একটি ভালো দিক।