রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স
ডলারের দাম এক লাফে বাড়ল ৭ টাকা
দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকট রয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে ডলারের অফিসিয়াল দাম ১১৭ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭ শতাংশ: আইএমএফ
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালে আনুমানিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল।
২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার আরএডিপি অনুমোদন
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলেও শুল্ক সুবিধা পাবে আরও ৩ বছর
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার পর বাংলাদেশ আরও তিন বছর শুল্ক সুবিধা পাবে।
বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ মিলেছে ৩৯২ কোটি টাকার
মাসব্যাপী চলা এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এর পাশাপাশি মেলায় প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির সামঞ্জস্যহীনতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমস্যা সৃষ্টি করছে
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশকে নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিকূলে বিরাট ঘাটতি রয়েছে, এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে বাণিজ্য ঘাটতি থাকবেই। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানি ব্যয় এবং রপ্তানির আয়ের মধ্যে যে গ্যাপ সেটাই বাণিজ্য ঘাটতি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের প্রতিকূলে ঘাটতি থাকবেই। কারণ আমরা প্রতি বছর যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করছি তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করছি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যিক ভারসাম্য আমাদের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভোগব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বর্ধিত ভোগব্যয় মেটানোর জন্য বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের পণ্য রপ্তানি সেভাবে বাড়ছে না। ফলে আমদানি ব্যয় এবং রপ্তানি আয়ের মধ্যে সৃষ্ট ব্যবধান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি কমানো আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথা অনুযায়ী, বিরোধী দলের আন্দোলনের দিকে মনোনিবেশ করার চেয়ে নতুন সরকারের জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি কমানো; কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানো আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কেন শ্রীলঙ্কার পথ অনুসরণ করছে না, তা নিয়ে অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা অহর্নিশ পত্রিকার পাতায় এবং টকশোতে শুনতে পাই। এসব আলোচনা-পর্যালোচনা শুনলে মনে হয়, মূল্যস্ফীতি হ্রাস করা খুব সহজ, শুধু টকশোর কথা ও অর্থনীতিবিদদের কথামত কাজ করতে হবে।
গ্রামে উন্নয়নের হাওয়া ও বৈষম্যের ফাঁদ!
গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেক দিন ধরেই এক ধরনের নীরব রূপান্তর ঘটছে। আমরা যদি লক্ষ্য করি, তাহলে দেখব, জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, অন্তত জিডিপি উৎপাদনের দিক থেকে তা সত্য। জিডিপিতে কৃষি খাতের বর্তমান অবদান কেউ বলছেন মাত্র ১৪ শতাংশ। আবার কেউ বলছেন সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ। জিডিপিতে কৃষি খাতের বর্তমান অবদান কত শতাংশ সেই বিতর্কে না গিয়েও আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, কৃষি খাতের অবদান কমছে।
প্রবাসীদের উপার্জিত রেমিট্যান্স বিনিয়োগে আসছে না কেন?
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জনশক্তি রপ্তানি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মূলত গত শতাব্দীর সত্তরের দশক থেকে ব্যাপক মাত্রায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করা হয়। পরে এই খাতটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করতে থাকে। বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করছে। জনশক্তি রপ্তানি খাত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনয়ন করা ছাড়াও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ক্রমেই কমছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ কেন হ্রাস পাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানো প্রয়োজন।
পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধক
গল্পটি ব্রিটিশ আমলের। ব্রিটিশ বাংলায় একবার সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে পশু শুমারির উদ্যোগ নেয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল, দেশের গবাদি পশুর পূর্ণাঙ্গ এবং সঠিক হিসাব লিপিবদ্ধ করা। সারা দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে গবাদি পশুর শুমারি শুরু হয়। তৃণমূল অর্থাৎ ইউনিয়ন কাউন্সিল পর্যায় থেকে এই শুমারি কার্যক্রম শুরু হয়। একটি ইউয়নে পশু শুমারি নির্দেশনা পৌঁছুতে অস্বাভাবিক বিলম্ব হয়ে যায়। যেদিন থানা পশুসম্পদ অধিদপ্তরে রিপোর্ট দাখিলের নির্ধারিত তারিখ, তার মাত্র এক দিন আগে একটি ইউনিয়নের কাছে এই নির্দেশনা গিয়ে পৌঁছে। চেয়ারম্যান পশু শুমারির নির্দেশনা পেয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি ভাবতে থাকেন কি করে মাত্র এক দিনের মধ্যে সারা ইউনিয়নের গবাদি-পশুর হিসাব বা পরিসংখ্যান বের করা সম্ভব? চেয়ারম্যান তার আসনে বসে গালে হাত দিয়ে চিন্তামগ্ন হয়ে পড়েন; কিন্তু কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না।