সম্পাদকীয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়টি (ববি) যারা নিজ চোখে দর্শন করেছেন, তারা জানেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি এখনো বেশ অগোছালো। ভবনগুলো ছাড়া ছাড়া, অনেক জায়গায় জঙ্গলের মতো এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি দূর থেকে অনেকটা পরিত্যক্ত মনে হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়টির বয়স হয়েছে ১৪ বছর। ২০১১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তার চেয়েও দুঃখজনক খবর, নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব সময়ই অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করে।
মাতৃভাষার প্রতি সবার সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই একুশের শিক্ষা
আমাদের জাতীয় জীবনে যত সব গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় আছে, তার মধ্যে জাতীয় শহীদ দিবস অন্যতম। এখন পর্যন্ত দল-মত নির্বিশেষে সবাই দিবসটি সম্মানের সঙ্গে পালন করেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে যেমন কতিপয় দুষ্কৃতকারী নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে বা করছে; জাতীয় শহীদ দিবস নিয়ে আজ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি এটা একটা ভাগ্যের কথা। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার। বাংলাকে মাতৃভাষার দাবিতে ভাষা আন্দোলন হয়নি, ভাষা আন্দোলন হয়েছিল বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে।
তিস্তার পানি বণ্টনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে
গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নদীপাড়ের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ভারত বছরের পর বছর তিস্তা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করেছে যার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশের পাঁচ জেলার অন্তত ২ কোটি মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে এসব এলাকার মানুষ ফসল ফলাতে পারে না। আবার বন্যার সময় হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দেয়ায় ব্যাপক এলাকা ভাঙনের শিকার হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আন্দোলনকারীরা পানিতে অবস্থান করেন।
এ কেমন বাংলাদেশ?
বাদ্যযন্ত্র মানুষের প্রাচীন সঙ্গী। সুখে-দুঃখে মানুষ সুর সৃষ্টি করে। সেই সুর মানুষের মনকে কোমল করে। সুর এমনই অপূর্ব সৃষ্টি যা এক মুহূর্তে মানুষকে এই অসীম মহাজগতের সঙ্গে এক করে। সুরের প্রতি মানুষের এমনই সহজাত টান, দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র না থাকলে হাতের কাছে যা থাকে, মাটি-পিতল-সিলভারের হাঁড়িপাতিল, বাঁশ-কাঠ-টিন দিয়েও মানুষ সুর সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষও অনাদিকাল ধরের সুরের প্রতি তাদের প্রেম-ভালোবাসা দেখিয়েছে। যার কারণে দেখা যায় আজও দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের কদর। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ধারা লোকগান। আর এসব লোকগানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাক, ঢোল, খোল, ডুগি, নাল, কঙ্কন, একতারা, দোতারা, সারিন্দা ও বাংলা ঢোলসহ হাতে তৈরি বাদ্যযন্ত্র। বাদ্যযন্ত্র-সুর-সংগীত কেবল ঐতিহ্যের অংশ নয়, অনেক ধর্মীয় সংস্কৃতিরও অংশ। এসব বাদ্যযন্ত্র যদি কোনো গ্রামে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে ধরে নিতে হবে বাংলাদেশের সামনে ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে।
সংস্কৃতিচর্চায় বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
সংস্কৃতিচর্চায় বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আমাদের ঐক্য ও সংহতির পথ দৃঢ় হোক
জাতীয়তাবাদ- ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি, যা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল এশিয়া, অফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে- তা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতেই ইউরোপের দুটি দেশে- ইতালি ও জার্মানিতে আত্মপ্রকাশ করেছিল ফ্যাসিবাদ হিসেবে। সেই জাতীয়তাবাদ আবার ফিরে আসছে নয়া আদলে। বাংলাদেশের চারদিকে বলিষ্ঠ জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটছে। মিয়ানমারের উগ্র জাতীয়তাবাদের নেতিবাচক ফল বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন। ভারতেও একই বিষয় ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যেও এমন ইঙ্গিত মিলছে। চারদিকেই এক ধরনের বলিষ্ঠ জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটছে।
প্রেমের ফাঁদ’ থেকে কিশোরীদের মুক্ত রাখুন
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভিউজ বাংলাদেশের সব পাঠককে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। যদিও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নানা অভিমত রয়েছে। অনেকে দিবসটি আড়ম্ভরতার সঙ্গে পালন করতে চাইলেও অনেকের আছে আপত্তি; তারা এতে কোনো সাড়াশব্দ দিতে চান না, অনেক তরুণ-তরুণী আবার তা মানতে চান না; সব সামাজিক বাধা-নিষেধ তারা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চান। ভালোবাসা দিবসটি ভালোবাসার চেয়ে প্রেমের দিবস হিসেবেই বেশি উদযাপিত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে প্রেম এখন হাতের মুঠোয়। প্রেমের এই সাংস্কৃতিক বিবর্তন নিয়ে অন্যরকম অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখা যেতে পারে; কিন্তু আজ আমরা অন্য একটি দিকে দৃষ্টি দিতে চাই।
‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’ যেন আর ফিরে না আসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে ‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’ চালু হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সেই অমানবিক ‘গেস্টরুম কালচার’ দূর হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। খবরটি নিঃসন্দেহে আনন্দের ও আশা জাগানিয়ার। কারণ, শিক্ষার্থীদের ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত ছাত্রলীগের কর্মীরা। শুধু তাই নয়, হলের খাবারের দোকান ও ক্যান্টিনে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, এসবও তারাই নিয়ন্ত্রণ করত। ছাত্র-জনতার ‘জুলাই বিপ্লব’-এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সেই হাওয়া লাগছে দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও।
নার্সদের কর্মপরিবেশ উন্নত করুন
রোগীকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের পাশে থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে সেবা দিয়ে যান নার্সরা। তারা ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগীর সার্বিক দেখভাল করে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োজনের তুলনায় ৭৬ শতাংশ কম নার্স দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। আবার যারা আছেন, তাদের সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী নার্স নিয়োগ ও তাদের মানোন্নয়ন করা একান্ত প্রয়োজন।
দুর্বৃত্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন
দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ততই অস্থির হয়ে উঠছে। সিনেমার ঘটনার মতো ঘটনা ঘটছে সারা দেশে। কবে এসব থামবে কেউ জানে না। গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার দিনভর গাজীপুরে যেসব ঘটনা ঘটল তা ছিল একেবারেই অনভিপ্রেত। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে হামলায় আহত সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দিনভর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হামলায় জড়িতদের আওয়ামী লীগের লোক দাবি করে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে তারা। এদিকে সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে সেখানে বৈষম্যবিরোধীদের একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।