Views Bangladesh Logo

সম্পাদকীয় মতামত

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত কেন?
গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত কেন?

সম্পাদকীয় মতামত

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত কেন?

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৭ থেকে ১০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে হয়ে গেল বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫। বিডার প্রধান আশিক চৌধুরী খুবই গ্লামারাস এক প্রেজেন্টেশন্স দিয়েছেন। তার তুখোড় ইংরেজিতে চারদিকে হইচই পড়ে গেছে, কে এই আশিক চৌধুরী! এমন তো আর দেখি নাই! হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের খবর পাওয়া গেল। শোনা গেল, ২০৩৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ড হয়ে যাবে। চারদিকে ধন্য ধন্য রব। অন্তর্বর্তী সরকারের বহু ব্যর্থতা এই এক বিনিয়োগ সম্মেলন দিয়ে ঢাকা পড়ে গেছে।

অপরাধ দমনের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাও জরুরি
অপরাধ দমনের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাও জরুরি

সম্পাদকীয় মতামত

অপরাধ দমনের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাও জরুরি

গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেখা যাচ্ছে দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। আগে হয়তো বড় বড় অপরাধ হতো, যার অনেকই থেকে যেত লোকচক্ষুর আড়ালে; কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সমানে দৃশ্যমান অপরাধের হার এত বাড়ছে যে সাধারণ মানুষও তা দিব্যচোখে দেখছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমন উদ্বেগের কথা শোনা যায়। পুলিশের গত তিন মাসের অপরাধবিষয়ক পরিসংখ্যান তাদের উদ্বেগকে জোরালোভাবে সমর্থন করছে। এই পরিসংখ্যান অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরছে।

বিনা তদন্তে সরকারি কর্মচারীদের অব্যাহতি আইন কতটা যৌক্তিক?
বিনা তদন্তে সরকারি কর্মচারীদের অব্যাহতি আইন কতটা যৌক্তিক?

সম্পাদকীয় মতামত

বিনা তদন্তে সরকারি কর্মচারীদের অব্যাহতি আইন কতটা যৌক্তিক?

বাংলাদেশে অনেক বছর ধরেই একটা কথা প্রচলিত আছে, সরকারি চাকরি নিজে থেকে না ছাড়লে কখনো যায় না। অর্থাৎ, যতই অনিয়ম-দুর্নীতি করুক, হয়তো বদলি হয়, জরিমানা হয়, অন্যান্য শাস্তি হয়; কিন্তু চাকরি কখনো যায় না। এবার সেই আইনেরই পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুতি বা অব্যাহতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। নতুন আইনে সরকার কর্মচারীদের মাত্র ৮ দিনের নোটিশে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা পাবে, বিশেষ করে যারা দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন।

সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতি কেন?
সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতি কেন?

সম্পাদকীয় মতামত

সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতি কেন?

আমাদের প্রত্যাশা ছিল গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষাঙ্গন পাব; কিন্তু হলো বিপরীত গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনগুলো রাজনীতিতে ছেয়ে গেছে। রাজনীতি না বলে একে মব বলাই সঙ্গত- যেখানে কোনো বিচার-আচার নেই, সুষ্ঠু তদন্ত নেই; কোনো পক্ষ কারও বিরুদ্ধে লাগলেই নানা প্রতিবাদের মুখে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করে। গণ-অভ্যুত্থানের পর পর আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই অভিযোগে অনেক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যক্ষ-উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নিয়োগের সাত মাসের মাথায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসকে শরীফুল আলমকে চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে
এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে

সম্পাদকীয় মতামত

এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে

সেদিন ছিল বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩। সকাল ৮টা বেজে ৪৫ মিনিট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেদিন। ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানা প্লাজা নামে আটতলা একটি ভবন ধসে পড়ে। ভবনটি ছিল একটি পোশাক কারখানা। মুহূর্তে খবরটি রাষ্ট্র হয়ে যায় সারা দেশে।

প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন
প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন

সম্পাদকীয় মতামত

প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন

ঢাকার যে কোনো রাস্তাতেই হাঁটতে গেলে দেখা যাবে রাস্তার পাশে পড়ে আছে প্রচুর ব্যবহৃত প্লাস্টিক। প্লাস্টিকে ঢেকে আছে ড্রেন, ম্যানহোলগুলো। খালগুলো ভরে আছে প্লাস্টিকে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, ধলেশ্বরীসহ ঢাকার আশপাশের সব নদীতেই প্লাস্টিকের স্তূপ জমে আছে। একই চিত্র কমবেশি সারা দেশে। প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রগুলোও প্লাস্টিকে ছেয়ে আছে। এক সময় মানুষ বাড়ির আশপাশে সবজি চাষ করত, অনেক গ্রামের বাড়িতে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না, প্লাস্টিকে ঢেকে গেছে মাটি।

স্বাস্থ্য খাতে সরকারি গবেষণার নাজুক অবস্থা দূর করুন
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি গবেষণার নাজুক অবস্থা দূর করুন

সম্পাদকীয় মতামত

স্বাস্থ্য খাতে সরকারি গবেষণার নাজুক অবস্থা দূর করুন

আধুনিক পৃথিবীতে জ্ঞানই সম্পদ এবং যে কোনো বিষয়ে জ্ঞানার্জন ও উন্নতির জন্য সে বিষয়ে প্রভূত গবেষণা প্রয়োজন। গবেষণা ছাড়া জ্ঞান উৎপাদন হয় না। জ্ঞান ছাড়া কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান করা যায় না; কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রায় সব খাতেই গবেষণা অপ্রতুল। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-সমাজের কোনো বিষয় নিয়েই এখানে তেমন গবেষণা নেই। জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ার এটা আমাদের একটা বড় কারণ।

ঐকমত্যের আংশিক ভিন্নমতের ধোঁয়াশা দূর করুন
ঐকমত্যের আংশিক ভিন্নমতের ধোঁয়াশা দূর করুন

সম্পাদকীয় মতামত

ঐকমত্যের আংশিক ভিন্নমতের ধোঁয়াশা দূর করুন

গণঅভ্যুত্থানের সময় থেকেই স্লোগান উঠেছিল, ‘রাষ্ট্র সংস্কার লাগবে’। রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী কাঠামো বদলাতে হবে। এবং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৪টি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে এবং কমিশন এখন তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করছে। কমিশন ইতোমধ্যে ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে। বিএনপির সঙ্গে বর্তমানে আলোচনা চলছে।

দীর্ঘ ছুটির ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন
দীর্ঘ ছুটির ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন

সম্পাদকীয় মতামত

দীর্ঘ ছুটির ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার যে কোনো দিক নিয়ে কথা বলতে গেলেই এক করুণ চিত্র ফুটে ওঠে। মনে হয় এ দেশের শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করার জন্যই বোধহয় তাদের শিক্ষাজীবনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি সরকারই যেন পরিকল্পনা করেই এমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে, যাতে শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত কেবল পিছিয়েই যায়। এ দেশের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম থেকে শ্রেণিকক্ষের পড়াশোনা, পরীক্ষাব্যবস্থা সবই পশ্চাৎপদ, প্রশ্নবিদ্ধ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অস্বাভাবিক ছুটি।

ওয়াসার সিবিএদের কাছ থেকে দায়িত্ববোধের পরিচয় চাই
ওয়াসার সিবিএদের কাছ থেকে দায়িত্ববোধের পরিচয় চাই

সম্পাদকীয় মতামত

ওয়াসার সিবিএদের কাছ থেকে দায়িত্ববোধের পরিচয় চাই

শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে মতামত বিনিময় করার জন্য কর্মচারী-শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী নিজস্ব সংগঠন হলো সিবিএ (যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি)। জাতীয় প্রতিষ্ঠানে, কলকারখানায় সিবিএর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রম অধিদপ্তরের অধীনে নিয়োজিত ঢাকা ওয়াসায় সিবিএরা আছেন নামমাত্র। যেমন খুশি তেমন তারা অফিসে আসেন, কেউ মাসের সব দিনই অনুপস্থিত। কেউ মাসে দু-চার দিন অফিসে পা রাখলেও আসছেন দেরিতে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর এই ধারা চললেও মাস ফুরালে সময়মতো পাচ্ছেন বেতন। তারা সবাই ঢাকা ওয়াসার বিএনপিপন্থি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা।

ট্রেন্ডিং ভিউজ