শিল্প
ডিজিটালাইজেশন ব্যর্থ হবে, যদি না...
সরকারের ডিজিটালাইজেশন এমন একটি ব্যবস্থা, যেটি সবাই সমর্থন করে। কর এড়িয়ে যাওয়া থেকে দুর্নীতি বা কৃষিতে অদক্ষতা- এই ডিজিটাল পদ্ধতিকেই সর্বরোগনিবারক ওষুধ হিসেবে দেখা হয়। যে সমস্যাই দেখানো হোক না কেন, সমাধান চলে আসবে, পুরোটা না হলেও অন্তত আংশিক।
বাংলাদেশ-আদানি টানাপড়েন থেকে যে শিক্ষা পাওয়া গেল
সম্প্রতি এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অস্বীকার করছে’ এরকম আমি কিছু শুনেছি কি না। প্রশ্ন শুনেই আমি বুঝে গেলাম, একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে তিনি আসলে কোন প্রশ্নের বিষয়টি জানাতে চাচ্ছেন। আমি উল্টা প্রশ্ন করে বসলাম, ‘আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই যে, মাত্র কয়েক বছর আগেই আমাদের বিদ্যুৎ ছিল না। কারণ, আমরা জ্বালানি এবং কয়লা আমদানির অর্থ দিতে পারিনি?
নিম্নমানের সেবা, মোবাইল অপারেটররা আর কতদিন দায় এড়িয়ে যাবে?
বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় নিম্নমান নিয়ে অভিযোগ চলে আসছে বহুদিন ধরে। এ অভিযোগের যেন শেষ নেই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ ফোরজির যুগ পেরিয়ে ফাইভজি প্রযুক্তির দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা, গ্রাহকের হাসিমুখ আজও নেই! ভয়েস কলে কল ড্রপ আর ইন্টারনেটে ধীরগতি কিংবা অতিমাত্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যুক্ত হওয়ার খেলা (ফ্লাকচুয়েশন) যেন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সেবার ক্ষেত্রে ধ্রুব সত্য!
‘টাইটানিক’ কোম্পানি: প্রভাবশালী থেকে দেউলিয়া
মাই হার্ট উইল গো অন…। টাইটানিকের নাম শুনলেই নিশ্চয়ই লাখো দর্শকের কানের কাছে বেজে উঠবে সেলিন ডিওনের গানটি। চোখের সামনে ভেসে উঠবে জ্যাক আর রোজ দাঁড়িয়ে আছে বিশাল জাহাজের মাথায়, হাতে হাত ধরে চার হাত দুদিকে প্রসারিত করে তারা তাকিয়ে আছে দূর নীল সমুদ্রের দিকে। লন্ডন থেকে জাহাজটি যাচ্ছে নিউইয়র্কের দিকে। আদিগন্ত আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে। কোনো এক স্বপ্নের ভূমিতে পা রাখবে তারা, তারপর রচনা করবে স্বাপ্নিক এক ভবিষ্যৎ; কিন্তু হঠাৎ জাহাজটি ধাক্কা খায় বিশাল এক বরফখণ্ডের সঙ্গে- আর তারপর! সবাই জানেন কী হয়েছিল তারপর।
সেরা ডেভেলপারদের নিয়ে রবির মিলনমেলা
ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা পিএলসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ডেভেলপারদের মিলনমেলা ‘বিডিঅ্যাপস কানেক্ট: এনগেজ অ্যান্ড ইনোভেট ২০২৪’।
দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হোক সংস্কার
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গত ১৬ বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী? এ প্রশ্নের জবাব একবাক্যে দিতে হলে বলতে হবে, টেলিযোগাযোগ খাতে দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা। অর্থাৎ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সার্বিকভাবে বিদেশি কোম্পানি এবং বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়নি। উপরন্তু টেলিযোগাযোগ খাত থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা ডিভাইসগুলো যেভাবে বোমায় পরিণত হচ্ছে
লেবাননের সশস্ত্র যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অনলাইন মেসেজিং টুলস টিএলডিআর। এর সঙ্গে থাকে পেজার আর রেডিও। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই আক্রমণের বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এই টিএলডিআর প্রযুক্তিকে। এই প্রযুক্তিতে একটি ‘চিট মেসেজ (প্রতারণামূলক বার্তা) পাঠিয়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় অসংখ্য পেজার ডিভাইসের। সন্দেহ করা হচ্ছে এর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কারণ ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর আক্রমণের ঝুঁকি তীব্র হতেই এই অস্বাভাবিক পেজার হামলার শিকার হলো হিজবুল্লাহ। ফলে প্রতিদিনের ব্যবহার করা ডিভাইস যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা নিয়ে বড় উদ্বেগের সৃষ্টি হলো।
ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার কারণ ছিল পরিকল্পিত
জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ যখন উত্তাল, তখনই হঠাৎ করে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছিলেন আন্দোলকারীদের। তিনি বলেছিলেন, অগ্নিসংযোগের কারণে ডেটা সেন্টার পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আদতে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এর পুরোটাই ছিল পলকের মিথ্যাচার। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানাতেই এই প্রতিবেদন পাঠকের সামনে হাজির করা হলো। মিথ্যার ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল অবকাঠামো ও অর্থনীতিতে এর কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে তা এই প্রতিবেদনে দেখানো হবে।
মোংলা বন্দর ব্যবস্থাপনা: শুধু বিচক্ষণ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, ভূরাজনৈতিক নয়
ভারত বাংলাদেশের মোংলা বন্দর টার্মিনালের অপারেশনাল স্বত্ব অর্জন করেছে, যেটিকে চীনের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত’ জয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই পদক্ষেপকে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক প্রভাব সীমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোংলা বন্দরটি ইন্ডিয়ান পোর্ট গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল), ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে একটি প্রাইভেট লিমিটেড ইউনিয়ন সরকারি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হবে। ভারত ইরানের ছাবার বন্দর এবং মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর পরিচালনার জন্য বিড জিতে যাওয়ার পরে এটি আসে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রামের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। আইপিজিএল ইরানি ছাবার বন্দরের সঙ্গেও অংশীদার। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ট্রানজিট এবং মাল পরিবহনের জন্য অনুমতি দিয়েছে, ভারতকে তার উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গে পণ্য পরিবহনের সময় এবং খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করেছে। যাতে বঙ্গোপসাগরে আঞ্চলিক যোগাযোগ সহজতর হয়। সফল রপ্তানি-চালিত বৃদ্ধির কৌশলগুলোর জন্য উচ্চমানের, দক্ষ বন্দর অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি উত্পাদন এবং বিতরণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, উত্পাদন এবং সরবরাহকে সমর্থন করে, চাকরি তৈরি করে এবং আয় বাড়ায়।
বিটিআরসির ৩০ শতাংশ অনুরোধ রাখছে ফেসবুক, ৩ বছরে ৫০ হাজার পোস্ট অপসারণ
ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে ব্যাপকহারে বাড়ছে আপত্তিকর কনটেন্ট ও অপরাধমূলক কার্যক্রম। আর এসব সামাল দিতে তৈরি হচ্ছে বিটিআরসিও।