টেলিকম
পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের পারফরম্যান্সকেন্দ্রিক আইকনিক নাম্বার সিরিজ থেকে নতুন দুটি স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে। রিয়েলমি ১৪ ৫জি এবং ১৪টি ৫জি ফোন দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১২ই মে দেশের বাজারে বাজারে উন্মোচন করা হবে।
খসড়া প্রস্তাব ভালো, তবে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে
বর্তমান সময় কিংবা আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী টেলিযোগাযোগ কাঠামো নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আইএলডিটিএস পলিসি সংশোধনে বিটিআরসির উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রায় দুই দশক ধরে চলমান পুরোনো লাইসেন্সিং ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্কার এক অর্থে অনিবার্য। বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে অর্থপূর্ণ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে একটি ভিত্তি তৈরির জন্য এই সংশোধনের উদ্যোগ পরিচালিত হবে, এটাই কাম্য। প্রথমেই খসড়াটির ইতিবাচক প্রস্তাবের দিকে চোখ রাখি। খসড়াটিতে অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারীদের গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া বা ক্ষেত্রে কিছু শর্ত ও সীমাবদ্ধতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?
প্রায় ১৫ বছর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রণীত আইএলডিটিএস (ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস) পলিসি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হবে, কারণ গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর ঘটেছে। এক অর্থে ১৫ বছর আগের চিত্র আমূল বদলে গেছে। আগে যেখানে ক্লিয়ার চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল আদান-প্রদান হতো, এখন সেখানে ওটিটি অ্যাপভিত্তিক কল চলে এসেছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অ্যাপ টু অ্যাপ আইডিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কল করা যায় বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। শুধু আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান নয়, বরং টেলিযোগাযোগে সার্বিকভাবে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভয়েস কলের আধিপত্য শেষ হওয়ার পথে। যার হাতে স্মার্টফোন আছে তিনি আর সাধারণত সরাসরি কল করেন না, কোনো না কোনো ওটিটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এমনকি ফোরজি প্রযুক্তিতে ডিরেক্ট ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও ভোল্টই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ডাটা টার্মিনাল ব্যবহার করে ভয়েস কল সেবা দেয়া হয়। ভোল্টই থেকে এখন অধিকতর উচ্চতর প্রযুক্তি ভিওওয়াইফাই বা ভয়েস ওভার ওয়াইফাই প্রযুক্তির ব্যবহারও মোবাইল টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে, যেটা পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর।
বিগত সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সত্যিই কি উদ্ঘাটিত হবে?
বাংলাদেশের তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিগত ১৫ বছরে কি ঘটেছে, কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর। সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে অনিয়মের চিত্র যা পেয়েছি তা রিপোর্ট করেছি; কিন্তু পতিত সরকারের আমলে সাংবাদিকদের জন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়াও সহজ ছিল না। সম্ভবত, বিগত সময়ের সেই তথ্য পাওয়ার সেই চ্যালেঞ্জের মুখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরাও পড়েছেন। যে কারণে মুখে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অনেক অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব কমই জনগণের সামনে এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে তদন্ত কমিটি হয়েছে। দু-একটি কমিটি রিপোর্টও দিয়েছে; কিন্তু সেই কমিটির রিপোর্ট জনগণের সামনে আসেনি।
কোন দিকে যাচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা, কার হাতে থাকবে নিয়ন্ত্রণ
পরিসংখ্যানটা খবরের শিরোনামের জন্য বেশ চটকদার। ‘মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ৪৪ লাখ।’ টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিআরসি যেহেতু প্রতি মাসেই দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সেবার গ্রাহক তথ্যের একটি পরিসংখ্যান দেয়, সে কারণে খুব সহজে সাংবাদিকরা তথ্যটিও পায়। আগের মাসের তথ্যের সঙ্গে নতুন মাসের গ্রাহক তথ্যের পার্থক্যটা দিয়ে সহজেই বাজার চলতি একটা রিপোর্টও করা যায়। গ্রাহকসংখ্যার পার্থক্য নিজেদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটা নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি বিশ্লেষণও দেখা যায়। গ্রাহকসংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে না বুঝেই আঁতকে ওঠার মতো আবেগঘন বক্তব্য দিতেও দেখা যায় দু-একজন বিশ্লেষককে। বড় বড় সংবাদমাধ্যমে যখন গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়, তখন ব্যবসা-বাজারের গতি-প্রকৃতি বুঝি-না বুঝি আমরা আমজনতাও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ি!
নিম্নমানের সেবা, মোবাইল অপারেটররা আর কতদিন দায় এড়িয়ে যাবে?
বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় নিম্নমান নিয়ে অভিযোগ চলে আসছে বহুদিন ধরে। এ অভিযোগের যেন শেষ নেই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ ফোরজির যুগ পেরিয়ে ফাইভজি প্রযুক্তির দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা, গ্রাহকের হাসিমুখ আজও নেই! ভয়েস কলে কল ড্রপ আর ইন্টারনেটে ধীরগতি কিংবা অতিমাত্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যুক্ত হওয়ার খেলা (ফ্লাকচুয়েশন) যেন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সেবার ক্ষেত্রে ধ্রুব সত্য!
দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হোক সংস্কার
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গত ১৬ বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী? এ প্রশ্নের জবাব একবাক্যে দিতে হলে বলতে হবে, টেলিযোগাযোগ খাতে দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা। অর্থাৎ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সার্বিকভাবে বিদেশি কোম্পানি এবং বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়নি। উপরন্তু টেলিযোগাযোগ খাত থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিটিআরসির ৩০ শতাংশ অনুরোধ রাখছে ফেসবুক, ৩ বছরে ৫০ হাজার পোস্ট অপসারণ
ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে ব্যাপকহারে বাড়ছে আপত্তিকর কনটেন্ট ও অপরাধমূলক কার্যক্রম। আর এসব সামাল দিতে তৈরি হচ্ছে বিটিআরসিও।
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পালালেন তিনি
আমেরিকা গিয়ে পালিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানির (বিটিসিএল) এক কর্মকর্তা।
২০২৭ সালে বাজারে আসছে প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন
সূত্র মতে, ফোল্ডেবল ডিসপ্লের সরবরাহ ও চাহিদাসহ সব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি নিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে একটু দেরিতে হলেও ফোল্ডেবল আইফোন বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।