টেলিকম
নিম্নমানের সেবা, মোবাইল অপারেটররা আর কতদিন দায় এড়িয়ে যাবে?
বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় নিম্নমান নিয়ে অভিযোগ চলে আসছে বহুদিন ধরে। এ অভিযোগের যেন শেষ নেই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ ফোরজির যুগ পেরিয়ে ফাইভজি প্রযুক্তির দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা, গ্রাহকের হাসিমুখ আজও নেই! ভয়েস কলে কল ড্রপ আর ইন্টারনেটে ধীরগতি কিংবা অতিমাত্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যুক্ত হওয়ার খেলা (ফ্লাকচুয়েশন) যেন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সেবার ক্ষেত্রে ধ্রুব সত্য!
দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হোক সংস্কার
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গত ১৬ বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী? এ প্রশ্নের জবাব একবাক্যে দিতে হলে বলতে হবে, টেলিযোগাযোগ খাতে দেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা। অর্থাৎ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সার্বিকভাবে বিদেশি কোম্পানি এবং বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়নি। উপরন্তু টেলিযোগাযোগ খাত থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিটিআরসির ৩০ শতাংশ অনুরোধ রাখছে ফেসবুক, ৩ বছরে ৫০ হাজার পোস্ট অপসারণ
ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে ব্যাপকহারে বাড়ছে আপত্তিকর কনটেন্ট ও অপরাধমূলক কার্যক্রম। আর এসব সামাল দিতে তৈরি হচ্ছে বিটিআরসিও।
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পালালেন তিনি
আমেরিকা গিয়ে পালিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানির (বিটিসিএল) এক কর্মকর্তা।
২০২৭ সালে বাজারে আসছে প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন
সূত্র মতে, ফোল্ডেবল ডিসপ্লের সরবরাহ ও চাহিদাসহ সব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি নিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে একটু দেরিতে হলেও ফোল্ডেবল আইফোন বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বিটিআরসি চেয়ারম্যান
স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত টেলিযোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস- ২০২৪ (MWC) আসরে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
এআই চিপ তৈরি করবে হুয়াওয়ে
এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) চিপ তৈরিতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে হুয়াওয়ে। চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই চিপের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সমস্যার মূলে হাত দিন
গত প্রায় এক যুগ ধরে দেখা যাচ্ছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যিনিই দায়িত্ব নিচ্ছেন, তার প্রথম প্রতিশ্রুতি হচ্ছে টেলিযোগাযোগ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে লাভজনক করা হবে। এবারও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক সেই একই ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে বিটিসিএল, টেলিটক এবং টেশিশ- এই তিনটি কোম্পানির ওপর বেশ চড়াও হয়েছেন। লাভজনক না হলে এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনবেন, সে ঘোষণাও দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগ গ্রহণ করার স্পষ্ট ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
অবৈধ পথে আসা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ
দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কড়া বার্তা দিয়েছেন। নতুন শপথে তার দায়িত্বের পরিধি বেড়েছে। আগে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা, কোনোভাবেই অপারেটরদের কাছে কাম্য নয়
অবশ্যই মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি, পরিচালনা এবং সেবা দানের ক্ষেত্রেঅবশ্যই মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি, পরিচালনা এবং সেবাদানের ক্ষেত্রে বড় একটা বিনিয়োগ এবং ব্যয় আছে। কিন্তু নেই ব্যয়ের বিপরীতে কোন মানদণ্ডে সেবার বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটা সাধারণ গ্রাহকের কাছে অজানা এবং অস্পষ্ট। সেটা ভয়েস কল এবং মোবাইল ইন্টারনেট, দুই ক্ষেত্রেই। ভয়েস কলের ক্ষেত্রে একটা মানদণ্ডের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হলেও মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে অপারেটরদের সর্বোচ্চ লাভের অঙ্ক ছাড়া আর কোনো মানদণ্ড আছে কি না, সেটা এখনও অজানা। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ‘কস্ট মডেলিং’-এর জন্য টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা সফল হয়নি। কেন এই উদ্যোগ সফল হলো না, সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয়। বড় একটা বিনিয়োগ ও ব্যয় আছে। কিন্তু ব্যয়ের বিপরীতে কোন্ মানদণ্ডে সেবার বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটা সাধারণ গ্রাহকের কাছে অজানা এবং অস্পষ্ট। সেটা ভয়েস কল এবং মোবাইল ইন্টারনেট, দুই ক্ষেত্রেই। ভয়েস কলের ক্ষেত্রে একটা মানদণ্ডের ভিত্তিতে কলরেটের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হলেও মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে অপারেটরদের সর্বোচ্চ লাভের অঙ্ক ছাড়া আর কোনো মানদন্ড আছে কি না, সেটা এখনও অজানা। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ‘কস্ট মডেলিং’-এর জন্য টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা সফল হয়নি। কেন এই উদ্যোগ সফল হল না, সে বিষয়টিও পরিস্কার নয়।