বিশেষ লেখা
ক্ষুধা যেখানে বাঘের ভয়কেও হার মানায়
মাহফুজা বেগম। বয়স ৫২। প্রতিদিন দক্ষ হাতে তিনি নৌকা চালিয়ে যান মাঝনদীতে। পেরিয়ে যান গভীর বনজঙ্গল। নদীতে জাল ফেলে তিনি গলদা চিংড়ি ধরেন। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই তার সংসার চলে।
বোরোর উৎপাদন মৌসুম, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ও খাদ্য নিরাপত্তা
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। এ দেশে ধান উৎপাদিত হয় তিনটি মৌসুমে। এগুলো হলো আউশ, আমন ও বোরো। উৎপাদনের পরিমাণ বিচারে বোরো শীর্ষে। তারপর রয়েছে যথাক্রমে আমন ও আউশ। একসময় আমন ও আউশ ছিল ধানের প্রধান মৌসুম। বোরোর মৌসুম ছিল কম গুরুত্বপূর্ণ। হাওড়, বিল ও অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলে এর আবাদ ছিল সীমিত; কিন্তু আধুনিক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ফলে বোরো ধানের আবাদ ক্রমাগতভাবে বেড়ে যায়। হ্রাস পায় ঝুঁকিপূর্ণ আউশ ও আমনের আবাদ।
খালেদা জিয়ার ফেরা: স্বস্তির বাতাস বিএনপিতে
চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ঘটনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অনুপ্রেরণার, আশা উদ্দীপক এবং স্বস্তিদায়ক হিসেবে দেখছে। নেতাকর্মীরা মনে করছেন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে চলা এ দেশের পুনর্গঠনে দলটির ভূমিকা আরও বলিষ্ঠ হবে।
যেখানে আমার মন পড়ে রয়
সপ্তাহে একবার ঢাকার হট্টগোল ছেড়ে আমি বাড়ির পথে রওয়ানা হই। বিমানবন্দরে এসেই গন্ধ পাই জেট জ্বালানির। তুমুল ব্যস্ততা চারদিকে; কিন্তু আমার কাছে এটি শুধু টার্মিনাল নয়, পবিত্র কিছুর কাছে যাওয়ার সূচনাবিন্দু। একা একা ভ্রমণ করি, শখে বা কাজে নয়, প্রাণের টানে। পরিবারের কাছে যাই। এমন এক আকুলতার দিকে ছুটে যাই, যা এই শহর আমাকে দিতে পারে না। বাড়ি।
ডিইপিজেড চালু রাখতে পল্লী বিদ্যুতের লাইন, বিপাকে ভোক্তারা
গ্যাস না থাকায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারছে না ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের কারখানাগুলো। এরকম পরিস্থিতে এগিয়ে এসেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। এতে ডিইপিজেডের কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে ফিরেছে। তবে বিপাকে পড়েছেন ডিইপিজেডের আশপাশের এলাকাগুলোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা। দীর্ঘসময় লোডশেডিং থাকার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকসহ এলাকার কয়েক লাখ গ্রাহক।
রুদ্র বৈশাখে প্রশান্তির দিন
বৈশাখ হলো বাংলা বছরের প্রথম মাস, গ্রীষ্মকালেরও প্রথম মাস। পূর্বাভাস ছিল, পহেলা বৈশাখ থেকেই টানা ৫ দিন ঝড়-বৃষ্টি হবে। প্রকৃতিতে বৈশাখের আগমন ঘোষণা দেয় কালবৈশাখী। দিগন্তজুড়ে ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ, জোর হাওয়া বইতে থাকে, থোকা ধরা কচি আমগুলো সে হাওয়ায় বেসামাল হয়ে যায়।
শুটিংয়ে অস্ত্রের বৈধতা যাচাই, থমকে আছে কমিটি গঠন
বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশনকে অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সার্চ কমিটি; কিন্তু তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। জানা গেছে, এই কমিটি ঘোষণা দেরি হওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো শুটিং ফেডারেশনের সংশ্লিষ্টদের অস্ত্রের বৈধতা যাচাই করা এখনো শেষ না হওয়ায়।
বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, লাগাম টানবে কে?
বর্তমান সময়ে আতঙ্কের আরেক নাম কিশোর গ্যাং। শুধু শহরই নয়, গ্রামের অলিগলিতেও বেড়েছে তাদের উৎপাত। তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেইসঙ্গে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সাধারণ মানুষের। পুলিশ সদস্যসহ সাংবাদিকরাও হচ্ছেন হামলার শিকার।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতটা পেশাদার?
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ ঘটা করেই পালিত হলো মহান মে দিবস। শ্রমজীবীদের এই দিবসে বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করেছে। আয়োজন করা হয়েছে সভা-সেমিনার। সব জায়গায়ই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কড়া বক্তব্য এবং কিছু আশার বাণী শোনা গেছে। এই আশার বাণী প্রতি বছরই আমরা শুনি; কিন্তু এর ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয় না; বরং বছর বছর শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় বাড়ছে। এর প্রমাণ মেলে শ্রম ভবনে গেলে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
গ্রীষ্মের শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট: চরম ভোগান্তির শঙ্কায় গ্রাহক
চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ সরবরাহের সামান্য ঘাটতি গ্রীষ্মের শুরুতেই বড় রকমের ভোগান্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবহাওয়া এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রখর না হলেও লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে দেশজুড়ে, বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা রীতিমতো ভীতিকর। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা যখন চূড়ান্তে পৌঁছায় তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা। এমনকি কৃষিকাজেও এর প্রভাব পড়ছে। মৌসুমের শুরুতেই এই অবস্থা থাকলে গ্রাহকদের মনে শঙ্কা, তীব্র গরমে এই সংকট আরও বাড়বে।