বিশেষ লেখা
নিনমাসে চিকিৎসায় স্থবিরতা, ভোগান্তিতে রোগীরা
ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হাজার হাজার রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সে (নিনমাস)। অথচ গত দেড় মাস ধরে বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের থেকে এই সময়ে রোগীর সেবা অনেকটাই কমে এসেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নেয়া প্রায় ১০ হাজার থাইরয়েড ক্যান্সার আক্রান্ত নিয়মিত রোগীসহ ও নতুন রোগীরা।
ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল বন্ধ ১২৩ দিন, বিপাকে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা
ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল টানা ১২৩ দিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় দুই দেশের সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ, বিশেষত রোগীরা।
ব্যাংকখাতে ৫৫ হাজার কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে মোট প্রভিশন তথা নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। গত জুন শেষে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৩০ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। এ সময়ে সরকারি ৬ ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ২৮ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। এতে ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
মিথ্যা মামলাকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার পরামর্শ আইনজীবীদের
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানে বহু হতাহতের ঘটনায় এরপর দেশজুড়ে একের পর এক হত্যা মামলা করা শুরু হয়। তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা ঢালাওভাবে সারা দেশে গায়েবি মামলা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনো অভিযোগ এসেছে যে, এসব গায়েবি মামলায় পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও শায়েস্তা করা, পূর্বশত্রুতা ও চাঁদাবাজির জন্য বহু নিরাপরাধ মানুষকে আসামি করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও পড়েছে বিব্রতকর অবস্থায়।
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত
মাত্র দুমাস বাকি থাকলেও ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত, শঙ্কিত পাঠক, দর্শনার্থী এবং প্রকাশকরা।
খাদ্য নিরাপত্তায় অশনিসংকেত
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনে মন্থরগতি, আমদানি হ্রাস ও সরবরাহ চেইনে বিপত্তি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। সাধারণত ২০ থেকে ২২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা অবহিত ছিলাম। এখন তা বেড়ে ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
কিংবদন্তির পরিবারই শঙ্কায়- এ লজ্জা কোথায় রাখি!
দেশের সবচেয়ে বেশি রেটিংধারী খেলোয়াড়। সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি অলিম্পিয়াড খেলেছেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ু ছিলেন প্রয়াত জিয়াউর রহমান। গত জুলাইয়ে অনন্তলোকের পথে হাঁটা দাবাড়ুর পরিবারই এখন দুস্থ! উদীয়মান দাবাড়ুদের খেলাটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আগের লাইনটাই যথেষ্ট!
সিডরের স্মৃতি: ডাইন পাশ দিয়া যান, বাম পাশে গণকবর
সিডর আঘাত হানার পরদিন থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ উপকূলের নানা এলাকায় সংবাদ কাভার করার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, সিডর আসলে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। ধান, রবিশস্য, গাছ, মাছ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি মিলিয়ে ঠিক কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিরূপণ করা যায়নি। তবে ঘটনার ১৫ দিন পরে ৩০ নভেম্বর সরকারের তরফে যে হিসাব দেয়া হয়, সেখানে বলা হয়, ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সময়ে জমিতে ছিল আমন, ইরি ও স্থানীয়ভাবে নাম দেয়া আরও কিছু ধান। তবে ইরি বা উফশী জাতের ধানের চেয়ে আমন ও দেশি অন্যান্য ধানের ক্ষতি কম চোখে পড়ে। স্থানীয় কৃষক এর কারণ হিসেবে স্থানীয় ধানের গোড়া তুলনামূলকভাবে শক্ত বলে জানান।
সংকট কাটিয়ে গতি ফিরছে ব্যাংক খাতে
দেশের ব্যাংক খাতে এস আলম গ্রুপের লুটপাট, বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে যে স্থবিরতা চলছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। ‘আস্থা হারিয়ে’ যেসব গ্রাহক ব্যাংক ছেড়েছিলেন একদিকে তারা যেমন ফিরে আসছেন, অন্যদিকে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেন। ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে মুদ্রা বাজারেও। এতে স্থবিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাতটি।
চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেশি উৎপাদকদের
স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারে কমিশন গঠন করলেও চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্প নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীরবতায় হতাশ দেশি উৎপাদকরা। সরকারি প্রণোদনা, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কছাড়সহ নীতিগত সহায়তা না পেলে এ খাতে চরম বিপর্যয়ের শঙ্কা তাদের। দুই দশকের প্রচেষ্টার পর ২০২২ সালে দেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতকে উদীয়মান শিল্পের স্বীকৃতি দেয় সরকার। এতে শিল্পবান্ধব সহায়ক কর কাঠামোসহ অন্য সুবিধা পেতে আশাবাদী হয়েছিলেন দেশি উৎপাদকরা। তবে চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় এইচএস কোডগুলো বাদ এবং উন্নয়ন প্রণোদনা আটকে দেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তারা।