দেশ ও রাজনীতি
অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল কাজ হচ্ছে গণতান্ত্রিক বিধিবিধানের মধ্য দিয়ে দেশকে সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করানো। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দনীয় সরকার গঠন করতে পারবে- এটাই সবার প্রত্যাশা এবং মূল আকাঙ্ক্ষা। এখানে কোনো ধরনের ছলচাতুরীর সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সুবিধা সংস্কার প্রশ্নে। পরবর্তীকালে তা সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। আন্দোলনের মূল উপজীব্য ছিল গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র।
রাজনৈতিক শিষ্টাচারে খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ড অনুসরণীয়
যে কোনো দেশের ইতিহাসে এমন এক সময় আসে যখনকার ঘটনাবলি অন্যান্য ঘটনাকে ম্লান করে দেয়। এমন ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটে যিনি প্রকৃতির চলমান গতির পরিবর্তন ঘটান, জাতির গতি সঞ্চার করেন, নতুন দিকনির্দেশনা দেন, উদ্বুদ্ধ করেন আত্ম-অনুসন্ধানে। তেমনই একজন হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ধারক বেগম খালেদা জিয়া। টানা চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সংসদীয় আসনে বিজয়, আপসহীন সংগ্রামে দুটি স্বৈরশাসনকে বিদায় দেওয়ার অসামান্য কৃতিত্ব তার।
অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি
যদি একটি জাতির খারাপ হতে ৫৪ বছর লাগে তাহলে এক বছরে কীভাবে ভালো হওয়া সম্ভব? যদি বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ণ এবং সৃজনশীল হতে চায় তবে সেটা কি মাত্র এক বছরের মধ্যে সম্ভব? প্রকৃত সত্য হলো- ৫৪ বছরের দুর্নীতির আগুন এক বছরে নিভিয়ে ভালো কিছু করা যায় না।
পাথরখেকোদের হাত থেকে সাদা পাথর রক্ষা করুন
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাদা পাথর ও বাংকার এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রমিকরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত শতাধিক বারকি নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সেসব পাথর বিক্রির জন্য ধলাই নদ দিয়ে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর সাইট এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ বন্ধ এবং সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ‘অনিবার্য কারণ’
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ঠিক চার দিন আগে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলে যা ঘটেছে- তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যকে যেমন প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, তেমনি সাংবাদিকের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা, এখতিয়ার ও সীমারেখার বিষয়টিও সামনে এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি আপনারা মন খুলে আমাদের সমালোচনা করুন। আমরা সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মিডিয়া যাতে কোনোরকমের বাধাবিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে, সেজন্য একটি মিডিয়া কমিশন করার ইচ্ছা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে।’
দেশে এখন কোনো প্রগতিশীল শক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না
বাংলাদেশে শক্তিমান, সমৃদ্ধিমান, উন্নতশীল, জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ কোন পথে- এ প্রশ্নের উত্তর আমরা সন্ধান করি। কেবল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে কোনো সুফল নেই। এর দ্বারা বড় জোর এক অপশক্তির বদলে আরেক অপশক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনা সম্ভব। গঠনমূলক চিন্তা ও কাজ দরকার। প্রচলিত আইন-কানুন, বিধি-ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলাকে ভাঙতে হবে উন্নততর নতুন আইন-কানুন, বিধি-ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা প্রবর্তন করার জন্য; বিশৃঙ্খল অবস্থাকে স্থায়ী করার জন্য নয়। ভাঙতে হবে নতুন করে গড়ার জন্য- কেবল ধ্বংস করার জন্য নয়। এখন গড়ার ব্যাপারটাতেই গুরুত্ব দিতে হবে।
মে দিবসে জোরালো হোক কর্মসংস্থানের দাবি
শ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে সভ্যতা এগিয়েছে। শ্রম দিলেই শ্রমিক- এটা যেমন ঠিক, আবার শ্রমিক বলতে প্রথমে শিল্প শ্রমিকের ধারণা চলে আসে; কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের বিস্তৃতি আরও অনেক ব্যাপক। কেননা পৃথিবীর সব মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে আর যে কোনো কাজ করতে গেলেই প্রয়োজন হয় শ্রমের। এই নিরিখে পৃথিবীর সব মানুষকেই শ্রমিক বলা যায়। আবার মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শ্রমিক শ্রেণি হলো সবচেয়ে আধুনিক এমন এক শ্রেণি, যারা সমাজবিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে। কার্ল মার্কস কারখানার শ্রমিকদের বিপ্লবী শ্রেণি হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন। কেননা তারা শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীন শ্রমিকশ্রেণি হিসেবে দাস ব্যবস্থার বিপরীতে উঠে এলেও তারা কারখানার এক ছাদের তলায়, একই স্বার্থে একটি সংঘটিত শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
দেশে শ্রম আইন থাকতে বাস্তবায়নে অবহেলা কেন?
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নেপথ্যের তিন চালিকাশক্তি হলো- কৃষিতে উচ্চ ফলনশীল ধান, শ্রমনিবিড় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প এবং বিদেশে কর্মসংস্থান থেকে রেমিট্যান্স। আবার এ তিনের মুখ্য চালক শ্রম এবং শ্রমজীবী মানুষ। তবে উন্নয়নের হিস্যায় এ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ খুবই কম। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনো ক্ষেত্রেই মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো বাঁচার মতো মজুরি, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ অন্যান্য ন্যায়সংগত অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কি বন্ধ হবে?
আজ ২৮ এপ্রিল, ২০২৫। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ৩ বছর ৩ মাস ৫ দিনে গড়াল। অর্থাৎ ১ হাজার ১৫৯ দিনে। হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ যুদ্ধ ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ। ক্ষতিটা যদিও সবচেয়ে বেশি হয়েছে ইউক্রেনের; কিন্তু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে এ যুদ্ধ সারা বিশ্বকেই নানাভাবে ভোগাচ্ছে; বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়াকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন এবং তার সহযোগিতায় যুদ্ধ বন্ধের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলেন।
‘নাকচের সংস্কৃতি’ থেকে বাংলাদেশ কবে বেরিয়ে আসবে
পহেলা এপ্রিল, ২০২৫; দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ নিচ্ছে ইসলামি কট্টরপন্থিরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে ‘মিসিলিডিং’ বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে শুধু বাছাই করা কিছু ঘটনা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের মতে এতে বিশ্বে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।